হ্যালো আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আসসালামু আলাইকুম/আদাব। সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন আশা করছি। আমিও মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ। সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমার ব্লগ লেখা শুরু করছি।
শহরের কিছুটা বাইরে হওয়ায় কোলাহল খুব একটা থাকে না। তাই বাচ্চাদের নিয়ে নিরিবিলি সময় কাটানো যায়। তবে কিছুদিন আগেও এই পার্ক অনেক জাঁকজমকপূর্ণ ছিল। এখন সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ না করার কারণে ধীরে ধীরে সবকিছু মলিন হয়ে যাচ্ছে। যাইহোক আমার ছেলে মেয়েদের নিয়ে আনন্দঘন কিছু মুহূর্ত আপনাদের মাঝে ভাগ করে নিচ্ছি।
পার্কে প্রবেশের পূর্বে অনেক বড় একটি পুকুর সাথে বাঁধানো ঘাট। বর্ষাকালে যখন পুরোপুরি ভরপুর থাকে পানিতে তখন এই ঘাট প্রায় তলিয়ে যায়। এখন পানি না থাকায় প্রত্যেকটা সিঁড়ি ভেসে উঠেছে।
ছেলে মেয়ে দুজনই পানিতে নামার জন্য বায়না শুরু করে দিল। কোনরকমে পিচ্চিটাকে সামলাতে পেরেছিলাম। সে সিঁড়িতে বসে বোনের পা ভেজানোর দৃশ্য দেখে মজা নিচ্ছিল।
উপজেলা পরিষদের বড় পুকুরে বিশাল আকারের বকের ভাস্কর্য আছে। সেখানে দাঁড়িয়ে আমরা অনেকটা সময় কাটিয়েছি। পুকুরের আশেপাশের দৃশ্য অনেক চমৎকার। সেখানে ভালো লাগার মত অনেক কিছুই আছে।
পুকুর পাড়ে দাঁড়িয়ে আমার মেয়ে প্রশান্তির ডানা মেলে দিয়েছে। আসলে সব সময় বদ্ধ পরিবেশে থাকতে থাকতে ওরাও যেন হাপিয়ে উঠেছিল। তাই মাঝে মাঝে যখন খোলামেলা পরিবেশে বেরিয়ে পড়ে তখন তাদের উচ্ছ্বাস দেখার মত হয়।
মস্ত বড় একটি হাতি তার সাথে হাতির একটি বাচ্চার ভাস্কর্য পুকুরের পাশে অপরূপ সৌন্দর্যের সৃষ্টি করেছে। এরা দুজন হাতির পিঠে ওঠার জন্য বায়না শুরু করলো। কি আর করা, এদিক-ওদিক তাকিয়ে যখন দেখলাম কেউ নেই তখন চুপিসারে হাতির পিঠে উঠিয়ে দিলাম। কেউ দেখতে পেলে হয়তো দু-চারটা কথা শুনিয়ে দিত।
পুকুর পাড়ে বেশ কিছু সময় কাটিয়ে পাশেই ছোট্ট সেই পার্কের দিকে হাঁটতে শুরু করলাম। এখানে পার্কে আসার জন্য এরা আগে থেকেই অনেক ব্যস্ত হয়ে পড়েছিল। এদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে স্লিপার ও দোলনায় উঠা। পার্কে সময় কাটানো মুহূর্তগুলো পরের পর্বে শেয়ার করব ইনশাআল্লাহ।
বন্ধুরা আজ আর লিখছিনা। অন্য কোনদিন অন্যকিছু অভিজ্ঞতা আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলে আসবো। আজকের জন্য বিদায় নিচ্ছি। সবার জন্য শুভকামনা। আল্লাহ হাফেজ।
ডিভাইস | realme narzo 50 |
---|---|
ফটো | @mayedul |
লোকেশন | উপজেলা পরিষদ, সদর, কুড়িগ্রাম |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ছুটির দিনে ছেলে-মেয়েদের নিয়ে পার্কের আনন্দঘন মূহুর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাই। পার্কে তোলা আপনার বাচ্চাসহ ছবিগুলো বেশ সুন্দর হয়েছে। শিশুদের ঘুরাঘুরি বা বিনোদনের জায়গার অভাব, তাও ভাল জরাজীর্ণ হলেও আপনার বাড়ির পাশে একটি পার্ক আছে! ভাল লিখেছেন। শুভ কামনা রইলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
This is a manual curation from the @tipu Curation Project.
Also your post was promoted on Twitter by the account josluds
@tipu curate
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Upvoted 👌 (Mana: 5/7) Get profit votes with @tipU :)
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ছুটির দিনে বাচ্চাদের সাথে বেশ ভালোই মুহূর্ত কাটিয়েছিলেন দেখছি। খুবই সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন বাচ্চাদের দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। এরকম জায়গা গুলোতে বাচ্চারা গেলে অনেক বেশি খুশি হয় তারা একটু বিনোদন নেওয়ার চেষ্টা করে। আপনাদের কাটানো সুন্দর একটা মুহূর্তের পোস্ট পড়ে ভালো লেগেছে। জায়গাটা কিন্তু খুবই সুন্দর। এরকম সুন্দর পরিবেশে বাচ্চাদের নিলে তাদের মনটাও ভালো থাকে। ভালোই উপভোগ করলাম সম্পূর্ণটা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ছুটির দিনে এভাবে বাচ্চাদেরকে নিয়ে ঘুরাঘুরি করা উচিত। আসলে বাচ্চারাও চায় বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করতে একটু বিনোদন নিতে। যেকোনো জায়গায় যাওয়ার থেকে বাচ্চারা পার্কে যেতে অনেক বেশি পছন্দ করে। পুকুর পাড়ে বেশ কিছু মুহূর্ত কাটানোর পরে আপনারা পার্কে গিয়েছিলেন। পার্কে সময় কাটানোর মুহূর্তগুলো পরের পর্বে শেয়ার করবেন যেন ভালো লাগলো। অপেক্ষায় থাকলাম সেই পরবর্তী পর্ব টি দেখার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit