ক্রিটিভ রাইটিংঃ মেয়েদের জীবন

in hive-129948 •  11 days ago  (edited)
আমার বাংলা ব্লগের সকলসদস্যবিন্দু আমার নতুন একটি ব্লগে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম ! আমি @mdemaislam00 বাংলাদেশ থেকে। আজ , মঙ্গলবার ফেব্রুয়ারি ১১/২০২৫


হ্যালো বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আশাকরি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যবৃন্দু আল্লাহর রহমতে ভালো আছে। আমার নাম ইমা অন্য দিনের মতো আজও আমি আপনাদের সাথে নতুন কিছু শেয়ার করতে এসেছি। আমি বেশিরভাগই রেসিপি ও ড্রাই পোস্ট করে থাকি ।আজকে ভাবলাম একটু ভিন্ন ধরনের পোস্ট করি ।আজকে আমি আপনাদের সাথে মেয়েদের জীবনের কিছু কথা তুলে ধরতে এসেছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে ।মেয়ে মানেই মা ,আর মায়েদের জীবনের পেছনে অনেক কিছু লুকিয়ে রয়েছে ।কৃষক ,জেলে ,তাঁতি ব্যবসা জিবি, চাকরিজীবী সব কিন্তু মেয়েদের পেট থেকে জন্মগ্রহণ করে ।অনেকেই রয়েছে মায়ের পেট থেকে জন্মগ্রহণ করে যখন নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে স্বাবলম্বী হয়ে যায় ।তখন এই মায়ের কথাই ভুলে যাই যে আমি এই মায়ের পেট থেকে জন্মগ্রহণ করেছিলাম। অনেকেই মায়ের পরিচয় লুকিয়ে থাকে যখন সে উচ্চপদে চলে যায়। এটা কিন্তু মোটেও ঠিক না। যে মা আমাদের পথ দেখিয়েছে যে মা আমাদের পৃথিবীর আলো দেখিয়েছে যে মা আমাদের হাটতে শিখিয়েছে সে মাকে অস্বীকার করা।


1000008749.jpg
Source


আজও কিন্তু মেয়েরা অত্যাচার ও শাসন থেকে মুক্তি পায়নি ।অনেক অনেক জায়গায় আছে আজও মেয়েদের ঘর বন্দি করে রাখা হয়। তাদেরকে নিজস্ব কোন স্বাধীনতা দেওয়া হয় না ।আবার অনেক অনেক ঘরের মেয়েরা আছে তারা আজও মুখ বুজে অত্যাচার সহ্য করে যাচ্ছে ।আমাদের বাড়ির পাশে একজন মেয়ে আছে তার স্বামীকে অনেক ভালোবাসে সে। দেখতে তেমন একটা সুন্দর না গায়ের রং কালো বলে তার স্বামী তাকে একটুও পছন্দ করেনা ।দিনরাত শুধু তাকে কথা শোনায় ও গায়ের রঙের সাথে তুলনা করে। সুযোগ পেলে তাকে গায়ে হাত পর্যন্ত তুলে থাকে। কিন্তু এসব মেয়েদের যদি একটু ভালোবাসা ও আদর স্নেহ দেওয়া যায় তাহলে কিন্তু এই মেয়েরা অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারে। কিন্তু তাদের ভালোবাসা ও আদর দূরে থাক তাদেরকে ঠিকমতো সম্মান দেওয়া হয় না ।আবার অনেক অনেক মেয়েরা আছে সমাজ ও পরিবারের কারণে লেখাপড়া করে অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছে। তারা নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে তারা আজকে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ।তাদেরকে কেউ কথা বলতে গেলে একটু ভয় পায়। কিন্তু যারা আজও নিচু পদে আছে অর্থাৎ ঘরবন্দী লেখাপড়া করেনি।

তাদেরকে সবকিছু আদেশ মত করানো হয় ।তাদের নিজের কোন মতামত নেই। লেখাপড়ার দিকে যদি আমার একটু খেয়াল করে দেখি তাহলে দেখতে পাওয়া যায় মেয়েদেরকে তেমন একটা লেখাপড়া করা হয় না ।বিশেষ করে আমাদের গ্রাম অঞ্চলে মেয়েদেরকে সবসময় ভাবে তাদেরকে অল্প কিছু লেখাপড়া করে বিয়ে দিয়ে দিবে। কিন্তু তারা এটা ভাবেনা ছেলেদের মতো যদি মেয়েদের কেউ অনেক দূর পড়ায় তাহলে তাদের সামনের পথ আরো উজ্জ্বল হবে ।এবং এসব মেয়েদের আর অন্যের ঘরে যেয়ে কথা শুনতে হবে না। তারাও নিজের স্বাধীন মতো চলতে পারবে। কিন্তু তাদেরকে লেখাপড়া না করিয়ে তাদেরকে ছোট থেকে বোঝানো হয় তারা মেয়ে তাদেরকে অল্প কিছু দূর পড়াশোনা করে বিয়ে দিয়ে অন্যের ঘরে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। সেজন্য তাদেরকে ঘর সংসারের কাজের দিকে বেশি খেয়াল রাখতে বলা হয়। একটা পরিবার যদি একটা মেয়েকে ভালো শৈশব না দিতে পারে তাহলে অন্যের ঘরে যেয়ে সেই মেয়েটা যে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ পাবে তার কিন্তু কোন গ্যারান্টি নেই।

ছোটকাল থেকেই মেয়েদের যেমন সংসারের কাজ শেখানো হয়, তেমন যদি তার পরিবার তাদেরকে লেখাপড়ার দিকে বেশি আগ্রহ করে বাইরের কাজ শেখায় তাহলে কিন্তু মেয়েরা অনেক দূর এগিয়ে যায়। কিছুদিন আগে আমাদের গ্রামে ইন্টার স্কুলের খেলা হয়েছিল সেখানে খেয়াল করে দেখলাম মেয়েরা ফুটবল খেলা খেলছে ।তাদেরকে পরিবার থেকে খেলতে দিয়েছে বলে তারা ফুটবল খেলা খেলছে। তারা এই ফুটবল খেলা খেলতে খেলতে একদিন অনেক দূর এগিয়ে যাবে। যেমন পা দিয়ে ফুটবল মারতে পারছে তেমনি তাদের কেউ কিছু বললে তাদেরকে ছেড়ে কথা বলবে না ।পা দিয়ে যেমন ফুটবল মারতে সাহস পেয়েছে তেমনি মুখ দিয়ে কথা বলতেও সাহস পাবে একটুও ভয় পাবে না। সেজন্য মেয়েদের কেউ সব কাজেই এগিয়ে যাওয়ার জন্য অনুপ্রেরণা জাগানো উচিত ।হয়তো একদিন এই মেয়েরাই ভবিষ্যত উজ্জ্বল করতে পারবে।

আপনার একটু খেয়াল করে দেখবেন একটা মেয়ের ক্যারিয়ার উজ্জ্বল হয় কিন্তু পরিবার থেকে। একটা মেয়ে যেমন পরিবার থেকে বড় হয় তেমনি পরিবার থেকেই তার জীবন সুন্দর করতে পারে। কিন্তু সেই পরিবার যদি সেই মেয়েটাকে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য অনুপ্রেরণা না জিগিয়ে মাথা চাপ দিয়ে বসিয়ে দেয় তাহলে সে মেয়েটা হয়তো কোনদিনই আর সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারবেনা ।অনেক অনেক সমাজ কিছুটা বদলে এসেছে আগেকার নিয়ম কানুন থেকে। আবার অনেক অনেক পরিবার এখনো সেই আগেকার যুগে পড়ে আছে। তারা ভাবে মেয়েরা শুধু ঘর-সংসারই করতে পারে তারা কখনো অফিসের কাগজে কলম ধরতে পারে না ।এটা কিন্তু ভুল চেষ্টা করলে সব কিছুই সম্ভব ।চেষ্টা করলে পাহার পাড়ি দেওয়া যায়। আশা করি আমার এই কথাগুলো আপনাদের ভালো লেগেছে? কতটা ভালো লেগেছে কমেন্টে জানাতে পারেন?

🌹 ধন্যবাদ সবাইকে🌹

আল্লাহ হাফেজ...! আবারো খুব শীঘ্রই দেখা হবে ইনশাল্লাহ ❣️❣️❣️


ব্লগার@mdemaislam00
ব্লগিং ডিভাইসinfinix note 11pro
অনুবাদেমোছাঃ ইমা খাতুন
শ্রেণীক্রিটিভ রাইটিং
Screenshot_2024_0519_194135.jpg
আমার নাম মোছাঃ ইমা খাতুন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার বর্তমান ঠিকানা ষোলটাকা, গাংনী মেহেরপুর। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি করতে অনেক পছন্দ করি এছাড়াও আমি লেখালেখি এবং ডাই পোস্ট করতে ভালোবাসি। আমি এসএসসি পাশ করেছি আমাদের গ্রাম থেকে এবং পাশাপাশি ব্লগিং করি এবং নিজের যোগ্যতাকে যোগ্য অবস্থান দেওয়ার চেষ্টা করি। আমি বিশ্বাস করি মানুষ একদিন হয়তো থাকবে না কিন্তু মানুষের কর্ম সারা জীবন থেকে যাবে এই জন্য আমি কাজের ভিতরে আসল শান্তি খুঁজে পাই।

6VvuHGsoU2QBt9MXeXNdDuyd4Bmd63j7zJymDTWgdcJjnzhd7Ad93hjKY7XXqXwCYMpoU77gVuL2GHGFkJzK3LBmmPDKPbSFkaNFXCeqsm5mEKePEnGR2EDVeYe2eA.png

2FFvzA2zeqoVJ2SVhDmmumdPfnVEcahMce9nMwwksSDdRvZ6f4GKSwLn3BBFmPFifbbr21AhPTJ7XiTPJGbzxXNzpL3AeDnWebvp5DxFE241B8HGEVAqqCDY5m5Sn.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

মেয়েদের জীবন কখনো কখনো এক লড়াইয়ের অধ্যায় হিসাবে দেখা যায়। আজকের সমাজেও সেই লড়াইতে ইতি নেই। বিভিন্ন প্রান্তিজ জায়গায় আমরা বিভিন্ন সময় মেয়েদের জীবনযুদ্ধে লড়াইয়ের দৃষ্টান্ত দেখতে পাই। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই পোস্টে সেই দিকগুলোই সুন্দর ভাবে তুলে আনলেন। আমাদের সমাজ এই সমস্যার সমাধান কবে দেবে সেই দিকেই আমাদের নজর। মেয়েরা সকলে ভালো থাকুক।

ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর ভাবে মতামত দেয়ার জন্য।

1000008750.jpg

1000008755.jpg

1000008756.jpg

1000008757.jpg

ঠিক বলেছেন আপু, মেয়েদের ক্ষেত্রে পরিবার থেকে অনুপ্রেরণা না পেলে সামনে এগিয়ে যাওয়াটা অনেক কঠিন। বেশ ভালো লাগলো আপনার লেখাগুলো পড়ে। আমাদের জীবনের বাস্তব কথা গুলোই লিখেছেন পোস্টে। ঠিকই বলেছেন, চেষ্টা করলে সব কিছুই করা সম্ভব। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

মেয়েদের জীবন উজ্জ্বল করার পেছনের হাত থাকে তাদের পরিবার। আর পরিবার যদি দূরে ঠেলে দেয় তাহলে ভালো কিছু আশা করা অসম্ভব।

মেয়েদের জীবন শিরোনামে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট লিখেছেন আপনি। আপনার লেখা পোস্ট আমাকে মুগ্ধ করেছে। সত্যি মেয়েদের জীবনটা কিন্তু পরের হাতে হাতে এবং কর্মের মধ্যে। ছোট থেকে যেমন কাজ শিখতে হয় তেমনই বড় হয়ে সেই কাজের উপর ভিত্তি করে সংসার গড়তে হয়।

ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর মতামতের জন্য।