||কৃষকের ঘরে ধান ওঠার কিছু মুহূর্ত||১০%@shy-fox এর জন্য

in hive-129948 •  13 days ago 
আমার বাংলা ব্লগের সকলসদস্যবিন্দু আমার নতুন একটি ব্লগে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম ! আমি @mdemaislam00 বাংলাদেশ থেকে। আজ , রবিবার ডিসেম্বর ৮/২০২৪

1000003436.jpg


হ্যালো বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আশাকরি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যবৃন্দু আল্লাহর রহমতে ভালো আছে। আমার নাম ইমা অন্য দিনের মতো আজও আমি আপনাদের সাথে নতুন কিছু শেয়ার করতে এসেছি। অন্যদিন আমি আপনাদের সাথে ড্রাই পোস্ট রেসিপি বা বিভিন্ন ধরনের জেনারেল পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে থাকি। কিন্তু আজকে আমি আপনাদের সাথে একটু অন্যরকম পোস্ট শেয়ার করতে এসেছি ।আপনারা হয়তো সকলেই জানেন এখন ধানের সিজেন ।সব জায়গাতেই হয়তো কৃষকের ঘরে ঘরে ধান আছে আবার মাঠেও আছে। আর এই ধানের সিজেনে প্রচুর পরিমাণ কাজ থাকে কৃষকের বাড়িতে ।আমাদের গ্রাম অঞ্চলে এই সময় শুধু যে ছেলেদের কাজ তা কিন্তু নয়। মেয়েদেরও অনেক কাজ থাকে বাড়িতে যেমন কৃষকদের জন্য খাবার রান্না করে মাঠে নিয়ে যাওয়া ।তাহলে চলুন বন্ধুরা কথা না বাড়িয়ে কৃষকের ঘরের ধান উঠার কিছু মুহূর্ত দেখে আসা যাক।


1000003403.jpg

1000003402.jpg




আমি সকাল বেলায় মাহাদিকে ভাত খাওয়াচ্ছিলাম ।তখন কিসের জেন একটা আওয়াজ পাচ্ছিলাম। তখন আমি আমাদের বাড়ির পাশে ভাবিদের বাসায় যায় এবং দেখতে পায় তাদের বাড়িতে ধান ঝারা হচ্ছে ।আমাদের এদিকে বেশিরভাগই ধান মেশিন দিয়ে ঝেড়ে থাকে। আগেকার দিনে তেমন একটা ধান মেশিন দিয়ে ঝাড়া হতো না ।বেশিরভাগই হাত দিয়ে বাড়িয়ে বাড়িয়ে ধান ঝাড়া হতো ।যেমন অনেক দেরি হতো ধান ছাড়তে তেমন নিজেদের শরীলের ও অনেক পরিশ্রম হতো। কিন্তু এখন আধুনিক বিভিন্ন মেশিনের কারণে কৃষকদের অনেকটাই কাজ কমে গিয়েছে ।তারা প্রায় একদিনে দুই তিন বিঘে ধান ঝাড়তে পারে। অনেকে আবার ধান মাঠ থেকে ঝেড়ে আনছে। মাঠ থেকে ধান ঝেড়ে আনলে ধান এবং খড় আনতে অনেক অসুবিধা হয়ে থাকে ।সেজন্য ধানগুলো যদি মহিষের গাড়ি বা বিভিন্ন ধরনের ইস্টারিং গাড়ি করে বাড়িতে আনা হয় তাহলে সকলে মিলে কাজগুলো করলে অনেক সুবিধা হয়ে থাকে ।


1000003406.jpg

1000003405.jpg




আমাদের এবার দু বিঘা ধান লাগিয়েছিল। দুই বিঘা ধান না লাগালে হয়তো এবার গরু পালন করা হতো না। ধানের তুলনায় খড়ের অনেক দাম । অন্যবার এতো দাম হয় না। কিন্তু এবার বন্যার কারণে চারিদিকের জায়গা পানিতে ডুবে গিয়েছে এবং সেই জায়গায় তেমন একটা ধান লাগাতে পারেনি বন্যার কারণে ।এবার ঘড়ের দাম আকাশ ছোঁয়া তবুও কিছু করার নেই গুরু পালন করতে হলে আকাশ হওয়া দাম দিয়েই খর কিনতে হবে। কোথাও খর বিক্রয় করছে ৫০০ টাকা আবার কোথাও খর বিক্রয় করছে ৬০০ টাকা। যার যেমন মন চাইছে সেরকম দাম বসিয়ে বিক্রি করছে ।সেজন্য বেশির ভাগই মানুষ গরু পালন করা বাদ দিয়ে দিচ্ছে। অনেক দাম দিয়ে গরুর খাবার কিনে কোন বিক্রয় করতে গেলে গরুর তেমন একটা দাম নেই আবার আমাদের বাড়ির আশপাশের অনেকগুলো বিক্রি করে দিয়েছে দেশের দাম শুনে বাড়ি থেকে বেশি কষ্ট হয়ে যায় কৃষকের মাঠ থেকে বিকিনি আনতে যাদের রাস্তা থেকে মাঠ অনেক দূর তাদের অনেক সময় মাথায় করে আনতে হয় আবার মার যদি শুকনো থাকে তাহলে স্টিয়ারিং গাড়িতে করে বা মহিষের গাড়িতে করে মিছিলে আনা হয়।


1000003404.jpg




এই শীতের মৌসুমে যেমন কৃষকের ঘরে ঘরে ধান তোলা হয় তেমনি পিঠাপুলি খাওয়ারও ধুম পরে। সব থেকে ভালো লাগে যখন সকালবেলায় রোদ ওঠে তখন কৃষকের মাঠের ধানের গায়ে লাগে তখন মনে হয় যেন সোনা ঝকমক করছে। আসলেই এই দৃশ্যটা দেখে মনে হয় ভোলার নয়। ছোটবেলায় এ সময় আমরা বন্ধুরা মিলে দল বেঁধে ধানের মাঠে খাবার দিতে যেতাম। আম্মু রান্না করে দিত আর আমরা আব্বুদের জন্য মাঠে খাবার নিয়ে যেতাম ।কিন্তু এখন সেই মুহূর্তগুলো মনে হলে অনেক ভালো লাগে। যখন আমি আমাদের বাড়ির পাশে ভাবিদের বাড়িতে ধান ঝাড়া দেখতে গেলাম এবং ছবি তুলছিলাম তখন যারা ধান ঝাড় ছিল তারা ভাবছিল না জানি আমাদের ছবি তুলে কি করবে। তারা অনেক ভয় পাচ্ছিল ।যারা ধান ঝাড়তে এসেছিল তারা আমাদের গ্রামের না ।সেজন্য তারা একটু অবাক হচ্ছিল একটা মেয়ে মানুষ আমাদের ছবি তুলছে। কিন্তু যারা কিছু মনে করে না তারা বিষয়টা তেমন ভাবে নেয় না ।অনেক সময় কিছু ছবি তুলতে গেলে কনফিউজে পড়ে যায় না জানি কিছু বলবে নাকি ।

🌹 ধন্যবাদ সবাইকে🌹

আল্লাহ হাফেজ...! আবারো খুব শীঘ্রই দেখা হবে ইনশাল্লাহ ❣️❣️❣️


ব্লগার@mdemaislam00
ব্লগিং ডিভাইসinfinix note 11pro
অনুবাদেমোছাঃ ইমা খাতুন
Screenshot_2024_0519_194135.jpg
আমার নাম মোছাঃ ইমা খাতুন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার বর্তমান ঠিকানা ষোলটাকা, গাংনী মেহেরপুর। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি করতে অনেক পছন্দ করি এছাড়াও আমি লেখালেখি এবং ডাই পোস্ট করতে ভালোবাসি। আমি এসএসসি পাশ করেছি আমাদের গ্রাম থেকে এবং পাশাপাশি ব্লগিং করি এবং নিজের যোগ্যতাকে যোগ্য অবস্থান দেওয়ার চেষ্টা করি। আমি বিশ্বাস করি মানুষ একদিন হয়তো থাকবে না কিন্তু মানুষের কর্ম সারা জীবন থেকে যাবে এই জন্য আমি কাজের ভিতরে আসল শান্তি খুঁজে পাই।

6VvuHGsoU2QBt9MXeXNdDuyd4Bmd63j7zJymDTWgdcJjnzhd7Ad93hjKY7XXqXwCYMpoU77gVuL2GHGFkJzK3LBmmPDKPbSFkaNFXCeqsm5mEKePEnGR2EDVeYe2eA.png

2FFvzA2zeqoVJ2SVhDmmumdPfnVEcahMce9nMwwksSDdRvZ6f4GKSwLn3BBFmPFifbbr21AhPTJ7XiTPJGbzxXNzpL3AeDnWebvp5DxFE241B8HGEVAqqCDY5m5Sn.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

এই সময়টায় চারিদিকে ঘরে ঘরে ধান তোলা হয়। এটা বেশ ভালো লাগে। আর ধান ঝাড়ার জন্য যদি মেশিন ব্যবহার করা হয় তাহলে কাজগুলো খুব সহজ হয়ে যায়। আমাদের এদিকেও ধানের থেকে খড়ের দাম অনেক বেশি । বন্যার কারণে সব দিকেই সব কিছু ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গিয়েছে।

সব জায়গায়তেই হয়তো ধানের থেকে খড়ের দাম অনেক বেশি আপু।

আগে থেকে এখন অনেক বেড়ে গেছে দাম।

1000003449.jpg

1000003450.jpg

1000003451.jpg

বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের প্রতিটি মাঠে ঘাটে সোনালী ধান ঘরে তোলার কাজ চলছে। আপনি দেখছি আজকে খুবই সুন্দর করে কৃষকের ঘরে ধান ওঠার কিছু সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এবছর সকল কৃষকের ধানের ফলন বেশ ভালোই হয়েছে। সকলেই বেশ হাসিমুখে ঘরে ধান তোলার চেষ্টা করেছেন। বেশ ভালো লাগলো।

সত্যি বলেছেন ভাইয়া এবছর সত্যিই কৃষকের মাঠে অনেক সুন্দর ধান হয়েছে যা বলার নয়।

এই সময়টাতে অনেক কৃষকের বাড়িতেই ধান মাড়াই করা থেকে শুরু করে অনেক ধরনের কাজ বেধে যায়। সত্যি বলতে যখন গ্রামে থাকতাম তখন এরকম দৃশ্য দেখতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগতো তবে অনেকদিন হলো এরকম দৃশ্য খুব কাছ থেকে উপভোগ করা হয় না। কৃষকের ঘরে যখন নতুন ধান আসে তখন সকলের মুখেই হাসি ফোটে এবং সকলেই সেই হাসিখুশি মাখা হৃদয় নিয়েই কাজ করতে থাকে। খুবই চমৎকারভাবে আপনি আমাদের মাঝে কৃষকের ঘরের ধান ওঠার মুহূর্ত তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

ঠিক বলেছেন ভাইয়া কৃষকের ঘরে যখন ধান আসে তখন সকলের মুখে অনেক হাসি থাকে।

এমন সুন্দর গ্রামীণ পোস্টগুলো আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। যেখানে কৃষকের ধান কাটা শেষ বাড়িতে আনবে মাড়াই করবে ধান সিদ্ধ করবে। আপনার পোস্ট আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো। বেশ দারুন ভাবে গুছিয়ে বলেছেন সবকিছু।

ধন্যবাদ আপু পোস্টটি ভাললাগার জন্য আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

আপু আমাদের এই দিকেও ধানগুলো মেশিন দিয়ে নেওয়া হয়। এখন প্রযুক্তি অনেক উন্নত হয়ে গেছে। আর এই সময় গ্রাম অঞ্চলে শুধু ধান আর ধান দেখা যায়। আর আমাদের এইদিকে বেশিরভাগ বাইরের এলাকার লোক এসে ধানের কাজ করে। আর অসীন লোকের সামনে হয়তোবা ফটো তুলতে আপনার কাছে একটু খারাপ লাগলো। যাই হোক আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো।

জি ভাইয়া অচেনা মানুষের ছবি তুলতে একটু খারাপ লাগছিল।

যখন কৃষকের ঘরে নতুন ধান আসে তখন তাদের মুখে হাসি ফুটে ওঠে। বর্তমানে গ্রামে গেলে এই দৃশ্যগুলো অনেক দেখা যায়। সবাই নিজেদের ধানের কাজকর্ম নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে। আপু আপনার এই পোস্ট দেখে ভালো লাগলো।

জি আপু গ্রাম অঞ্চলে এই দৃশ্যগুলো অনেক সুন্দর দেখা যায়।