রেসিপি পোস্টঃ সুস্বাদু মেসরি ভুনা রেসিপি

in hive-129948 •  15 days ago  (edited)
আমার বাংলা ব্লগের সকলসদস্যবিন্দু আমার নতুন একটি ব্লগে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম ! আমি @mdemaislam00 বাংলাদেশ থেকে। আজ , শনিবার জানুয়ারি ১১/২০২৪

1000006303.jpg


হ্যালো বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আশাকরি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যবৃন্দু আল্লাহর রহমতে ভালো আছে। আমার নাম ইমা অন্য দিনের মতো আজও আমি আপনাদের সাথে নতুন কিছু শেয়ার করতে এসেছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে পুঁই শাকের মেচরি ভুনা রেসিপি শেয়ার করব।মেচরি সাধারণত শীতকালে দেখতে পাওয়া যায়। শীতকালে ডাটার পাতার সঙ্গে সঙ্গে অনেক সুন্দর মেচরি তৈরি হয়।মেচরি গুলো খেতে আসলেই অনেক ভালো লাগে। সব থেকে যখন মেচরি গুলো লাল হয়ে যায় তখন রান্না করলে খেতে বেশি মজাদার লাগে। রান্নার কালারটা অনেক সুন্দর আসে। এখন শীতের সময় মেচরি রান্না করবো না তা কখনো হয়। মেচরি খেতে আমার অনেক ভালো লাগে মেচরির সাথে যদি একটু কালাইয়ের ডাল দিয়ে রান্না করা হয় তাহলে রান্নাটা জমে যায়। অনেকে হয়তো এভাবে মেচরি রান্না করে খাইনি ।কিন্তু একদিন রান্না করে খেয়ে দেখবেন আসলেই রান্নাটা খেতে অনেক মজাদার লাগে। আমি যখন রান্না করছিলাম তখন ভাবছিলাম না জানি রান্নাটা খেতে কেমন হবে। কিন্তু যখন রান্না করা শেষ হলো তখন দেখলাম খেতে আসলেই অনেক ভালো লাগছিল ।তাহলে চলুন বন্ধুরা দেরি না করে দেখে আসা যাক কিভাবে আমি মেচরি ভুনা তৈরি করেছি।

•••• ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় উপকরণগুল••••

ক্রমিক নম্বরউপাদানপরিমাণ
মেচরি১ কেজি পরিমাণ
কালাইয়ের ডাউল১০০ গ্রাম পরিমাণ
লবণস্বাদমতো
জিরাপরিমাণমতো
রসুন কুচি২ টি
পেঁয়াজ কুচি৩ টি
কাঁচা মরিচস্বাদ অনুযায়ী
হলুদের গুঁড়াপরিমাণমতো
সয়াবিন তেল২৫০ গ্রাম
ফটো-১


1000006277.jpg




প্রথমে আমি পুয়ের ডাটা থেকে মেচরি গুলো অনেক সুন্দর ভাবে ছিঁড়ে নিয়েছি ।আমি পুয়ের মেচরির সঙ্গে অল্প একটু পাতাও নিয়েছি ।
ফটো-২


1000006278.jpg




এবার আমি মেচরিগুলো সুন্দরভাবে সাইজ করে কেটে নিব। কেটে নেওয়ার পর পানি দিয়ে অনেকবার ধুয়ে নিব ।ছবিটা আপনারা যেরকম দেখতে পাচ্ছেন।
ফটো-৩


1000006276.jpg




এবার আমি পরিমাণমতো কাঁচামরিচ ,পরিমাণমতো পেঁয়াজকুচি ,রসুন কুচি, হলুদের গুড়া, লবণ ,জিরা নিয়ে নিয়েছি।
ফটো-৪


1000006267.jpg



এবার আমি চুলাইয়ে রাখা কড়াইয়েয পরিমাণমতো পানি দিব ।পানি দেওয়া হয়ে গেলে কালাইয়ের ডালগুলো দিয়ে দিব। ডাল গুলো দেওয়া হয়ে গেলে কেটে রাখা মেচরি গুলো দিয়ে দিব সিদ্ধ করার জন্য পরিমাণমতো মতো পানি দিব।যখন দেখব পানিটা অল্প একটু ফুটে উঠেছে তখন আমি পেঁয়াজ কুচি, রসুন কুচি ,কাঁচা মরিচ, জিরা পাটার সাহায্যে অনেক সুন্দর ভাবে বেটে নিব। বাটা হয়ে গেলে ফুটন্ত পানির ভেতর বেটে রাখা উপকরণগুলো দিয়ে দিব ।দিয়ে পরিমাণমতো হলুদের গুড়া লবণ দিয়ে দিব। কালাইয়ের ডাল ও মেচরি গুলো অনেকটা সিদ্ধ হয়ে এসেছে।
ফটো-৫


1000006270.jpg




অনেক সুন্দর ভাবে মেচরি গুলো সিদ্ধ করা হয়ে গিয়েছে। পানির পরিমাণও কমে এসেছে ।
ফটো-৬


1000006089.jpg




এবার আমি পেঁয়াজ কুচি, রসুন কুচি, চুলাইয়ে রাখা কড়াইয়ে সয়াবিন তেলের উপর ভাজার জন্য দিয়ে দিব।
ফটো-৭


1000006090.jpg




পেঁয়াজ ও রসুন কুচি কিছুটা লালচে কালার ধারণ করলে আমি জিরা দিয়ে দিব। আগে থেকে জিরা দিলে জিরাটা সম্ভবত পুড়ে যায়। তাই আমি একটু পরেই দিয়েছি ।
ফটো-৮


1000006272.jpg




এবার আমি পেয়াজ রসুন ও জিরা ভাজার মধ্যে সিদ্ধ করা মেচরি কালাইয়ের ডাল দিয়ে দিব। দিয়ে অনেকক্ষণ নাড়াচাড়া করব তাহলে তেল গুলো ভালোভাবে মিশবে ।
ফটো-৯


1000006274.jpg

1000006275.jpg




অবশেষে রান্না করা হয়ে গেল মেচরি ভুনা। আসলেই মেচরি ভুনাটা রান্না অনেক মজাদার হয়েছিল। আপনাদের যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে আমার ধাপগুলো অনুসরণ করলে খুব সহজেই রেসিপিটা তৈরি করতে পারবেন ।

🌹 ধন্যবাদ সবাইকে🌹

আল্লাহ হাফেজ...! আবারো খুব শীঘ্রই দেখা হবে ইনশাল্লাহ ❣️❣️❣️


ব্লগার@mdemaislam00
ব্লগিং ডিভাইসinfinix note 11pro
অনুবাদেমোছাঃ ইমা খাতুন
শ্রেণীরেসিপি
Screenshot_2024_0519_194135.jpg
আমার নাম মোছাঃ ইমা খাতুন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার বর্তমান ঠিকানা ষোলটাকা, গাংনী মেহেরপুর। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি করতে অনেক পছন্দ করি এছাড়াও আমি লেখালেখি এবং ডাই পোস্ট করতে ভালোবাসি। আমি এসএসসি পাশ করেছি আমাদের গ্রাম থেকে এবং পাশাপাশি ব্লগিং করি এবং নিজের যোগ্যতাকে যোগ্য অবস্থান দেওয়ার চেষ্টা করি। আমি বিশ্বাস করি মানুষ একদিন হয়তো থাকবে না কিন্তু মানুষের কর্ম সারা জীবন থেকে যাবে এই জন্য আমি কাজের ভিতরে আসল শান্তি খুঁজে পাই।

6VvuHGsoU2QBt9MXeXNdDuyd4Bmd63j7zJymDTWgdcJjnzhd7Ad93hjKY7XXqXwCYMpoU77gVuL2GHGFkJzK3LBmmPDKPbSFkaNFXCeqsm5mEKePEnGR2EDVeYe2eA.png

2FFvzA2zeqoVJ2SVhDmmumdPfnVEcahMce9nMwwksSDdRvZ6f4GKSwLn3BBFmPFifbbr21AhPTJ7XiTPJGbzxXNzpL3AeDnWebvp5DxFE241B8HGEVAqqCDY5m5Sn.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আপনি যাকে মেচরি বলছেন আমাদের এলাকায় তাকে পুইশাকের ফুল বলা হয়।আপনি পুইশাকের ফুল খুব লোভনীয় করে রান্না করেছেন। লাল রং হলে খেতে ভালো হয় ও কালার সুন্দর আসে জেনে ভালো লাগলো।আমি বহুদিন আগে একদিন খেয়েছিলাম আর খাওয়া হয়নি।আপনার রেসিপিটি দেখে খেতে মন চাচ্ছে কালকেই রান্না করে খাবো আমাদের গাছে অনেক ফুল দেখলাম আজকে।ধাপে ধাপে রন্ধন প্রনালী চমৎকার সুন্দর করে আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে লোভনীয় রেসিপিটি আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন জন্য।

দারুন সুন্দর মেছরি ভুনা রেসিপি করে আমাদের সঙ্গে শেয়ার করলেন। এমন খাবার দেখলে তো রীতিমতো খিদে পেয়ে যায়। এমন একটি সুন্দর রান্না ধাপে ধাপের রেসিপি বানিয়ে আমাদের সঙ্গে শেয়ার করবার জন্য ধন্যবাদ আপু।

আপু আজ আপনি ইউনিক রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আমরা এটাকে পুঁই শাকেরবীজ বলি। আজ আপনার থেকে একটি নতুন নাম জানলাম মেচরি। আর তার সাথে দারুন একটি রেসিপিও শিখে নিলাম।

সত্যি বলতে একই জিনিসের অনেক জায়গায় ভিন্ন নামে আখ্যায়িত করা হয়। যেমন আপনি যেই মেচরি ভুনার কথা বলেছেন এটা আমাদের দিকে অন্য আরেকটা নামে ডাকা হয় তবে আমার এখন সঠিক মনে নেই। যাইহোক পুইশাকের এই ভুনা আমার কাছে অনেক বেশি সুস্বাদু লাগে আমি কয়েকবার খেয়েছি। রেসিপিটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক বেশি সুস্বাদু ছিল। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

এটাকে আমরা পুঁইফল বা পুঁই শাকের বিচি হিসেবে চিনি। আর এটা খেতে এত মজার হয় যেটা প্রায়ই তৈরি করে খাওয়া হয়। তবে এটা খুব বেশি একটা পাওয়া যায় না। শীতের সময় যেহেতু পাওয়া যায় তাই এই রেসিপিটা করে খাওয়া হয়। কিছুদিন আগে আমরা করেছিলাম। তবে আপনি কালাইয়ের ডাল ব্যবহার করেছেন এটা আমার কাছে বেশ আলাদা লাগলো।

মেচরি ভুনা রেসিপি দেখে লোভ লেগে গেল। আপনারা যেটাকে মেচরি বলেন আমরা সেটাকে পুঁইশাকের বিচি বলি। যাইহোক আমার কাছে রেসিপি টা একটু বেশি ভালো লাগলো। কারন আমার কাছে পুঁই শাকের বিচি খেতে অনেক ভালো লাগে। এত মজাদার রেসিপিগুলো দুপুরবেলা কার না দেখতে ভালো লাগে। মজাদার রেসিপি শেয়ার করলেন আজকে কিন্তু।

পুঁইশাকের বিচি ভুলা করে খেতে আমার খুবই ভালো লাগে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে এই রেসিপি করেছেন। আসলে এই বিচিগুলো যদি একটু সুন্দর হবে ভুনা করা যায়, বিভিন্ন রকমের মসলা অথবা ডিমের সাথে তাহলে বেশি রুচি সম্মত হয়ে ওঠে।

1000006403.jpg

1000006404.jpg

1000006405.jpg

1000006398.jpg

এগুলোর নাম যে মেচরি জানা ছিল না। ছোটবেলায় এগুলো দিয়ে অনেক খেলেছি। বিশেষ করে লাল কালারের গুলো দিয়ে। এগুলো রান্না করলেও খেতে খুব ভালো লাগে। আপনার রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ মজাদার হয়েছিল। কালারও খুব সুন্দর এসেছে। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

||১০%%@shy-foxএর জন্য

এইসব লেখার কারণ কি? আর লাভ কি ?

দুঃখিত ভাইয়া ঠিক করে দিচ্ছি ‌। ওটা দ্বারা আমি বেনি ফিসারি বোঝাতে চেয়েছিলাম এবার থেকে আর লিখব না তাহলে

পরিমাণ গুলো ঠিকমত উল্লেখ করুন।

IMG_20250112_155727.jpg

আমরা এগুলোকে পুঁই শাকের বিচি বলি আর কাঁচা বিচি ভাজি কখনও খাওয়া হয়নি। আমি সবসময়ই পাকা গুলো খেয়েছি। তবে এই বিচি ভাজি খেতে খুবই সুস্বাদু। গরম ভাতের সাথে খেতে খুব ভালো লাগে। আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

আপনি যাকে মেচরি বলছেন আমাদের এলাকায় তাকে পুইশাকের বিচি বলা হয়।এই পুঁই শাকের বিচি গুলো খেতে বেশ ভালোই লাগে আমার। আপনার রেসিপিটি দেখে লোভনীয় লাগছে খেতে ও মনে হয় অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। আপনার প্রতিটি রেসিপি পোষ্ট আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে ধন্যবাদ।

আমরা তো এগুলোকে পুঁইফুল এবং কেউ কেউ পুঁই গোটা বলে থাকি। কিন্তু নতুন এই নামটি প্রথমবার আপনার পোষ্ট এর মাধ্যমে জানতে পারলাম। যাইহোক এই মেসরির রেসিপি আবার আমার খুবই প্রিয়। ধন্যবাদ

আমাদের এদিকে রেসিপিটাকে মেসরি বলে থাকে। ভাইয়া আমার কাছেও রেসিপিটা অনেক ভালো লাগে। শুনে অনেক ভালো লাগলো রেসিপিটা আপনার অনেক পছন্দ হয়েছে ।ধন্যবাদ ভাইয়া শুভকামনা রইল।

শীতকালীন সময়ে এই ধরনের খাবার সবার কাছে খুবই প্রিয়। দারুন একটি ভুনা রেসিপি করেছেন দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। অনেক ভালো লাগলো এই ধরনের রেসিপি গুলো দেখলেই ভালো লাগে ।সুন্দর উপস্থাপনার মাধ্যমে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।

ডাল দিয়ে পুঁই ফল রান্নার দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো আপু। মেসরি ভুনা রেসিপি দুর্দান্ত হয়েছে। দেখেই তো খেতে ইচ্ছে করছে। অনেক ইউনিক হয়েছে এবং লোভনীয় লাগছে আপু।

পুঁই ফল আমার ভীষণ পছন্দের একটি খাবার। তবে এ বছর এখনো খাওয়া হয়নি। পুঁই ফল সব সময় ভাজা খাওয়া হয়েছে। এভাবে কখনো রান্না করা হয়নি। নতুন লেগেছে রান্নাটি আমার কাছে। ধন্যবাদ আপু পুঁই ফলের ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।