||লাইফ স্টাইল||পুকুরে খাবার দেওয়ার অনুভূতি||১০%@shy-fox এর জন্য

in hive-129948 •  5 months ago 

Screenshot_20240524_234113.jpg

আমার বাংলা ব্লগের সকলসদস্যবিন্দু আমার নতুন একটি ব্লগে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম !
আমি @mdemaislam00 বাংলাদেশ থেকে।আজ শুক্রবার, মে ২৪/২০২৪


হ্যালো বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আশাকরি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যবৃন্দ আল্লাহর রহমতে ভালো আছে। আমার নাম ইমা অন্য দিনের মতো আজও আমি আপনাদের সাথে নতুন কিছু শেয়ার করতে এসেছি । আজকে আমি আপনাদের সাথে পুকুরে খাবার দেওয়ার অনুমতি শেয়ার করব। আমি আগেই আপনাদেরকে বলেছি আমার কাজ করতে অনেক ভালো লাগে। কেননা কাজ করার মাধ্যমে আমি যেমন বিভিন্ন ধরনের কাজ শিখতে পারি। তেমন সেসব বিষয়ে অভিজ্ঞতাও বাড়ে ।কাজ করলে মন ভালো থাকে। সারাদিন বসে থাকতে তেমন একটা ভালো লাগে না। কিন্তু যদি সারাদিন একটু কাজের মধ্যে থাকি তাহলে ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে অনেক সুন্দর ভাবে দিনটা কেটে যায় ।আমি পুকুরে খাবার তেমন একটা দেয় না। কিন্তু যেদিন খুব ইচ্ছে করে মাছ দেখার জন্য তখন যে খাবার দিতে যায় তার সঙ্গে একটু যেয়ে মাছগুলো দেখে আসি। আজকে ঠিক তেমনি করেছি, ইচ্ছে হলো পাঙ্গাস মাছ গুলো দেখতে কেমন হয়েছে সেজন্য যে খাবার দিতে চাচ্ছিল মাছ দেখতে তার সাথে চলে গেলাম । তাহলে চলুন বন্ধুরা দেরি না করে দেখে আসা যাক পুকুর পাড়ের মাছগুলো।


IMG_20240524_204512-01.jpeg




আপনারা হয়তো খেয়াল করে দেখতে পাচ্ছেন কিছু মাছের খাবার। এগুলো হলো ছোট মাছের জন্য । এই খাবারগুলো যেকোন মাছকে দিতে পারেন। এই খাবারগুলো খাওয়ালে যেমন মাছগুলো খুব দ্রুত বাড়ে তেমন চওড়া ও মাছের বডি অনেক সুন্দর হয়ে থাকে ।এখন ছোট তাই মাছগুলোকে ছোট খাবার খাওয়াতে হবে ।যখন এক মাস হয়ে যাবে তখন খাবার পরিবর্তন করে একটু বড় খাবার দিতে হবে ।মাছ বড় হওয়ার সাথে সাথে খাবার পরিবর্তন করতে হবে। এ বছর বৃষ্টিপাত না হওয়ার কারণে মাছগুলো তেমন বাড়ছে না। ঠিকমতো খাবারও দেওয়া হচ্ছে না ।বেশি পরিমাণ খাবার দিলে মাছগুলো সম্ভবত মারা যেতে পারে ।যতো পানি পাবে ততো মাছগুলো পানিতে খেলা খেলবে এবং খাবার খাবে ।তাহলে মাছগুলো খুব দ্রুত বাড়বে। এবছর বৃষ্টিপাত না হওয়ার কারণে মাছ চাষীরা তেমন একটি লাভবান করতে পারছে না ।মাছ তেমন একটা বিক্রয় হচ্ছে না। মাছকে খাবার খাওয়ালেও মাছ তেমন একটা বাড়ছে না ।পানি না হলে হয়তো মাছ চাষীদের অনেক ক্ষতি হবে।


IMG_20240405_175420-01-01.jpeg




নিজের হাতে যখন পাঙ্গাস মাছ গুলোকে খাবার খেতে দিচ্ছিলাম তখন আসলে অনেক ভালো লাগছিল ।নিজের হাতে খাবার দেওয়ার অনুভূতি আসলেই অন্যরকম । যখন পাঙ্গাস মাছগুলোকে আমি খাবার দিচ্ছিলাম তখন মাছগুলো খুব দ্রুত এসে ভাগাভাগি করে খাবারগুলো খাচ্ছিল। খাবার দেওয়ার আগেই যখন আমি পুকুর পাড়ে গেছিলাম, তখন মাছগুলো পায়ের শব্দ পেয়ে পুকুরের মাঝখান থেকে পুকুরের পাড়ে এসে হানা দিছিল খাবার খাওয়ার জন্য। আসলেই মাছগুলো আগে থেকেই হয়তো বুঝতে পারে তাদের জন্য খাবার নিয়ে আসা হয়েছে। মাঝেমধ্যে খাবার দিলে যেমন বুঝতে পাওয়া যায় মাছগুলো কেমন হয়েছে ।এছাড়াও নিজের হাতে মাঝেমধ্যে মাছগুলোকে খেতে দিলে বোঝা যায় মাছগুলো কোন রোগ লেগেছে কিনা। অনেক সময় অনেকেই শুধু খাবার দিয়ে চলে আসে। একটু খেয়াল করে দেখে না যে মাছগুলোর গায়ে কোন রোগ লেগেছে কিনা। কিন্তু নিজে যদি খাবার দেওয়া যায় তাহলে এগুলো লক্ষ্য করা হয়।


IMG_20240405_175345-01-01.jpeg




আপনারা হয়তো দেখতে পাচ্ছেন মাছগুলো অনেক সুন্দর ভাবে খাবার খাচ্ছে। খাবার খেতে খেতে কিছু খাবার আবার পুকুরের পাড়ে এসে ভেসে বেড়াচ্ছে ।মাঝেমধ্যে খেয়াল করে দেখতে হয় পুকুরে কোন উকুন লেগেছে কিনা। অনেক সময় পুকুরে উকুন হলে মাছগুলোতে উকুন লেগে মাছগুলোর গা ঘেউ ঘেউ হয়ে যায়। তাই এদিকে সবসময় লক্ষ্য রাখতে হবে ।এক মাস পর পর পুকুরে পোকা নাশক, জীবানু নাশক ও বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন পানিতে মারতে হয়। তাহলে মাছগুলো তেমন একটা ক্ষতি হয় না। কোন রোগে আক্রান্ত হয় না। এগুলো দেওয়ার ফলে খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যায়। দু-এক দিন পর পর পুকুরে মটর দিয়ে পানিও চালাতে হয়। তাহলে মাছগুলো সুস্থ থাকে এবং খুব দূরত্ব বাড়তে সাহায্য করে। মাছগুলো যখন খাবার খাচ্ছিল তখন খেয়াল করে দেখলাম পাঙ্গাস মাছের সাথে সাথে কিছু রুই, জাপানি ও তেলাপিয়া মাছ । মাছগুলো পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার কারণে মাছগুলো খুব দ্রুত বেড়ে গিয়েছে।


IMG_20240405_175359-01.jpeg




যখন আমি পুকুর পাড়ে গিয়েছিলাম তখন প্রায় ছয়টা বেজেছিল ।তাই আবহাওয়া টা অনেক ঠান্ডা ও শীতল ছিল ।যখন পুকুর পাড়ে গেলাম তখন অনেক সুন্দর জিরিঝিরি বাতাস বই ছিল। আসলেই আবহাওয়াটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছিল ।সকালের হাওয়া খেতে আমার অনেক ভালো লাগে ।তাই আমি সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে পড়ি ।সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে পড়লে যেমন শরীরটা ভালো লাগে তেমন সবকিছু যেন টাইম এর মধ্যে গুছিয়ে নেওয়া হয়। প্রতিবছর আমরা বিভিন্ন ধরনের মাছ চাষ করে থাকি। এবার পুকুরটাতে পাঙ্গাস মাছের পাশাপাশি রুই মাছ তেলাপিয়া ও বিভিন্ন ধরনের মাছ চাষ করা হচ্ছে ।প্রতিবছরের চেয়ে এবার মনে হচ্ছে খাবারের দাম অনেক বেড়েছে। তাই খাবার কিনে মাছকে খেতে দিয়ে তেমন একটা লাভবান করা যাচ্ছে না।


IMG_20240405_175549-01.jpeg




আপনারা হয়তো খেয়াল করে দেখেছেন পুকুরে সুতো টাঙানো আছে ।যখন পাঙ্গাস মাছের বাচ্চা পুকুরে দেওয়া হয়েছিল তখন সুতো টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সুতো টাঙিয়ে দেওয়ার ফলে মাছরাঙ্গা বক পানকৌড়ি এবং বিভিন্ন ধরনের পাখিতে মাছগুলো তেমন খেতে পারে না । সুতো টাঙ্গিয়ে না দিলে দিলে মাছরাঙ্গা পানকৌড়ি এবং বিভিন্ন ধরনের পাখিতে মাছগুলো খেয়ে নেয় ।খেয়ে নেওয়ার ফলে দেখা যায় দিনশেষে তেমন একটা মাছ পাওয়া যায় না। চাসীদের অনেক ক্ষতি হয়ে যায় ।তাই পুকুরে মাছ দেওয়ার আগে পুকুরের চারদিকে পরিষ্কার করে এবং সুতো টাঙ্গিয়ে নিয়ে প্রস্তুত করতে হবে। তারপর মটর দিয়ে পানি দেওয়ার পর মাছগুলো এনে পুকুরে দিলে মাছগুলো অনেক সুস্থ এবং ভালো থাকে ।জানিনা পুকুরে খাবার দেওয়ার অনুমতি আপনাদের কেমন লেগেছে ।কতটা ভালো লেগেছে আশা করি কমেন্টে জানাবেন? আমার পোস্টটা পড়লে আপনারা হয়তো মাছ চাষ বিষয়ে অনেক কিছু জানতে পারবেন।

🌹 ধন্যবাদ সবাইকে🌹

আশা করি আমার পুকুরে খাবার দেওয়ার অনুভূতি আপনাদের ভালো লাগবে । আজকে এই পর্যন্ত শেষ করছি অন্য দিন নতুন কিছু নিয়ে আবার আপনাদের সামনে হাজির হব।

ব্লগার@mdemaislam00
ব্লগিং ডিভাইসvivo y 12a
অনুবাদেমোছাঃ ইমা খাতুন
Screenshot_2024_0519_194135.jpg
আমার নাম মোছাঃ ইমা খাতুন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার বর্তমান ঠিকানা ষোলটাকা, গাংনী মেহেরপুর। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি করতে অনেক পছন্দ করি এছাড়াও আমি লেখালেখি এবং ডাই পোস্ট করতে ভালোবাসি। আমি এসএসসি পাশ করেছি আমাদের গ্রাম থেকে এবং পাশাপাশি ব্লগিং করি এবং নিজের যোগ্যতাকে যোগ্য অবস্থান দেওয়ার চেষ্টা করি। আমি বিশ্বাস করি মানুষ একদিন হয়তো থাকবে না কিন্তু মানুষের কর্ম সারা জীবন থেকে যাবে এই জন্য আমি কাজের ভিতরে আসল শান্তি খুঁজে পাই।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

যখন আমাদের গ্রামের বাসায় যেতাম তখন এরকম দৃশ্য অনেক দেখতাম। পুকুরে খাবার দেওয়ার সময় মাছগুলো ভেসে উঠতো। আপু আপনি আপনার পোষ্টের মাধ্যমে অনেক সুন্দর করে মাছের খাবার দেওয়ার মুহূর্তগুলো তুলে ধরেছেন দেখে ভালো লাগলো।

অনেক অনেক ভালো লাগলো রিমা মাছের খাবার দেওয়া দেখে। খুব সুন্দর ভাবে মাছের খাবার প্রস্তুত করেছো। এক কথায় বলতে গেলে অসাধারণ হয়েছে। মাছের খাবার দেয়ার মুহূর্তটা আমারও খুবই ভালো লাগে। আশা করি দ্রুত মাছগুলো বড় হয়ে যাবে।

আসলে মাছকে পুকুরে খাবার দিলে খুব ভালো লাগে।মাছের খাবার সঠিক সময়ে দিলে মাছ দ্রত বাড়ে।সত্যি এবার অনাবৃষ্টির কারনে মাছ ব্যাবসায়িরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়বেন। মাছকে খাবার দেয়ার পর তাদের খাওয়া দেখতে ভীষন ভালো লাগে।ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।

খুবই সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপনি৷ এরকম মাছকে খাবার দেওয়ার একটা মুহূর্ত আমি অনেক আগে দেখেছিলাম৷ আজকে আবার আপনার কাছ থেকে এই মুহুর্ত দেখে খুবই ভালো লাগছে৷ এখানে খাবার দেওয়ার সময় যেভাবে সবগুলো মাছ এখানে একসাথে জড়োভাবে খাবার খাচ্ছিল তখন সেই মুহূর্ত দেখে খুবই ভালো লাগছে৷ অসংখ্য ধন্যবাদ৷