আমার বাংলা ব্লগের সকলসদস্যবিন্দু আমার নতুন একটি ব্লগে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম !
আমি @mdemaislam00 বাংলাদেশ থেকে।আজ মঙ্গলবার, মে ১৪/২০২৪
Source
হ্যালো বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আশাকরি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যবৃন্দ আল্লাহর রহমতে ভালো আছে। আমার নাম ইমা অন্য দিনের মতো আজও আমি আপনাদের সাথে নতুন কিছু শেয়ার করতে এসেছি ।আজ আমি আপনাদের সাথে বিয়ে বাড়ির কিছু গল্প শেয়ার করব। যখন হাই স্কুলে পড়তাম তখন আমাদের তিনটা বান্ধবীর অনেক মিল ছিল ।আমরা যেখানেই যেতাম একসাথে তিন বান্ধবী যেতাম ।যা করতাম তিন বান্ধবী একসাথে করতাম। যেমন জামা পড়তাম ম্যাচিং করে পড়তাম। আসলেই আমাদের তিন জনার এতো মিল দেখে মানুষ বলতো তোদের জুটিটা অনেক ভালো মিলিয়েছে। বাসা থেকে আমরা যা টিফিন আনতাম তা তিনজন ভাগাভাগি করে খেতাম ।কেউ যদি রুটি আনতো তাহলে তাকে নিজের ভাত দিতাম এবং তার রুটি ভাগ করে খেতাম ।কারোর যদি সমস্যা হতো সেই সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করতাম আমরা। আমরা যেখানে পড়ালেখা করতাম সেই হাই স্কুল টা ছিল গ্রামের ভেতর ।আমি যুগিরগফার আর দুইজন ছিল সৌরাবাড়ির আসলে ওরা দুজন অনেক ভালো ছিল ।আমার সেই দুই বান্ধবীর নাম ছিল রুবিনা আর কবিতা ।কবিতা একটু ছটফটে ছিল সব সময় ও সব কাজেই গন্ডগোলবাধিয়ে থাকে।
Source
কবিতার চাচাতো বোনের বিয়ে সে চাচাতো বোনের বিয়েতে অনেক সাজুগুজু করেছিল ।তার সাজুগুজু দেখে একটা ছেলের ক্রাশ খেয়েছিল ।ক্রাশ খাওয়া বলতে তাকে অনেক পছন্দ করছিল । চাচাতো বোনের বিয়ে হয়ে গেল। বিয়ে হওয়ার পর চাচাতো বোনকে তার শাশুড়ি বাড়ি থেকে আনতে গিয়েছিল কবিতা। সেখানে অনেক বড় করে অনুষ্ঠান হয়েছিল। সেখানে গিয়ে আবার সেই ছেলের সাথে কবিতার দেখা ।সেই ছেলে অনেক খুশি হলো তাকে দেখে । নিজের গ্রামে কবিতাকে দেখে তখন সে তাকে কাগজে একটা নাম্বার লিখে তার হাতে দেয়। বলে এই নাম্বারে ফোন দিতে। কবিতার কোন ফোন ছিল না ।ভাবছিল কিভাবে তাকে ফোন দিবে। কবিতারও ছেলেটাকে দেখে অনেক পছন্দ হয়েছিল। সেজন্য সে ভাবলো কিভাবে তাকে ফোন দিয়ে তার সাথে কথা বলবে। তার মনের ভেতর ছটফট করছিল তার সাথে কথা বলার জন্য। কিন্তু কি আর করবে কবিতার কাছে কোন ফোন ছিল না ।ছেলেটা ভাবছিল আমি কবিতাকে নাম্বার দিলাম কিন্তু কবিতায এখনো আমাকে ফোন দিলো না। সেও অনেক হতাশ হয়েছিল। অবশেষে কবিতা তার ছোট আম্মুর ফোন নিয়ে ছেলেটার কাছে ফোন দেয়। ফোন দিয়ে সে কোন কথা বলছিল না ।তখন ছেলেটা ভাবছিল হয়তো ফোন দিয়ে লজ্জা পাচ্ছিল তখন সেটা বলছিল আপনি কি কবিতা বলছেন। কবিতা বললো আমি কবিতা বলছি ।তখন দুজন অনেকক্ষণ কথা বলল ।কথা বলার পর ছেলেটা কবিতার প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছিল ।কবিতাও ছেলেটাকে অনেক ভালবেসে ফেলেছিল।
Source
এভাবেই কবিতা ছেলেটির সাথে কথা বলতে শুরু করল ।তারা কথা বলতে বলতে দুই জন দুই জনার প্রতি অনেক মায়ায় পড়েছিল ।একদিন না কথা বললে হয়তো একজন আরেকজনের কথা মনে পড়তো ।এভাবে কথা বলতে বলতে ছেলেটা কবিতাকে একটা ফোন কিনে দেয়। ফোন কিনে দেওয়াতে কবিতা অনেক খুশি হয়েছিল ।কেননা তাদের কথা বলতে আরো অনেক বেশি সুবিধা হয়ে গেল। ফোন কিনে দেওয়ার পর কথা আরো বেশি করে বলতে লাগলো ।দুইজন কথা বলতে তো টাকার প্রয়োজন সেজন্য ছেলেটা অনেক চিন্তা করত। কেননা ছেলেটা বেকার ছিল যখন ফোনে কথা বলতো তখন টাকার প্রয়োজন লাগতো ।সেজন্য ছেলেটা মাঝেমধ্যে তার মায়ের মুরগি চুরি করে বিক্রি করে সেই টাকা দিয়ে ফ্লাক্সি পুড়তো। ছেলেটার মায়ের অনেক মুরগি ছিল সেজন্য দু-একটা নিয়ে বিক্রি করলে ছেলেটার মা মনে করতো মুরগি হারিয়ে গিয়েছে ।এভাবে কথা বলতে বলতে হঠাৎ কবিতার বাবা সিদ্ধান্ত নিল কবিতাকে বিয়ে দেবে। কোন ছেলে কবিতাকে দেখতে আসলে তখন কবিতা এভাবেই থাকতো সেভাবেই এসে বসত। তখন ছেলেরা দেখে ভাবতো হয়তো মেয়েটার কথাও রিলেশন আছে ।তা না হলে এভাবে এসে বসে কেন আমাদের সামনে। একটু সাজুগুজু করে আসলেই তো পারতো।
Source
কবিতা তার বড় ভাইকে দেখে অনেক ভয় পেত ।তাই তার সম্পর্কের কথা বাড়িতে জানাতে পারছিল না। কিন্তু তার ছোট আম্মু তার সম্পর্কে কথা জানত ।ছোটা আম্মু জেনে কি করবে তার নিজের মাকে তো সে বলতে পারবে না ।তখন কবিতা ছেলেটাকে জানায় । ছেলেটা তখন বলে আমি বেকার এখন কিভাবে আমরা বিয়ে করবো। বিয়ে করলে বা আমি তোমাকে খেতেই দেবো কি। একথা শুনে কবিতা অনেক কষ্ট পাই ।অবশেষে একটা ছেলের সাথে কবিতার বিয়ের কথা সম্পূর্ণ ।দুই দিন পর ছেলেটার সাথে কবিতার বিয়ে হবে। তখন কবিতা যাকে ভালোবাসে তাকে বলে তুমি আমাদের বাসার এদিকে আসো। আমি তোমার সাথে চলে যাব। তখন ছেলেটা কবিতাকে বলে তুমি রেডি হয়ে নাও আমি এখনিই আসছি ।তখন ছেলেটা কবিতাকে নিয়ে অনেক দূরে চলে যাই। কবিতার ভাইয়া কিছু একটা বুঝতে পারছিল তাই তাদেরকে ফলো করে ।তাদেরকে ধরার চেষ্টা করছিল কিন্তু কবিতারা তার ভাইয়াকে অনেক আগেই দেখে ছিল। তাই তারা গাড়ি থেকে নেমে মাঠের দিকে চলে যায় সেজন্য কবিতার ভাইয়া তাদেরকে আর ধরতে পারেনি। তখন ছেলেটা তার নিজের বাসায় নিয়ে যায় এবং তাদেরকে বিয়ে দিয়ে দেয় ।বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর ছেলের বাবা ছেলে ও মেয়েকে অন্য কোথাও রেখে আসে। কেননা কবিতার বাবা-মা হয়তো খোঁজে খোঁজে ছেলের বাসায় চলে আসতে পারে ।অনেকদিন পর যখন সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে গেল তখন তারা বাসায় ফিরে এলো। এবং কবিতার বাসার মানুষ সম্পর্কটা মেনে নেয়। তাদেরকে বাসায় বেড়াতে আসার কথা বলে ।এখন কবিতা এবং ছেলেটা অনেক সুখী ।ছেলেটা তার বাবার টাকা পয়সা নিয়ে এখন ব্যবসা করছে ।আল্লাহর রহমতে তারা এখন অনেক ভালো আছে। জানিনা বিয়ের বাড়ির গল্পটি আপনাদের কেমন লেগেছে। যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে কমেন্টে জানাতে পারেন।
🌹 ধন্যবাদ সবাইকে🌹
আশা করি বিয়ের বাড়ির গল্প আপনাদের ভালো লাগবে । আজকে এই পর্যন্ত শেষ করছি অন্য দিন নতুন কিছু নিয়ে আবার আপনাদের সামনে হাজির হব।
বিয়ে বাড়ির অনেক সুন্দর গল্প আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার এই গল্প পোস্ট পড়ে আমার অনেক ভালো লাগলো। বেশ চমৎকারভাবে উপস্থাপন করেছেন আপনার গল্পটা। আর এরই মধ্য দিয়ে অনেক কিছু জানার সুযোগ হয়েছে আমার।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit