আসসালামু আলাইকুম । সবাই কেমন আছেন , আমার বাংলার দ্বিতীয় ব্লগ সবাইকে স্বাগতম আশাকরছি সবাই ভালো আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।
ইন্ডিয়া বাংলাদেশ সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও সবার প্রতি আমার ভালবাসা রইল।
কোনো এক শীতের সকাল ঘুম থেকে উঠে দেখি কুয়াশায় চারদিক শুধু কুয়াশা ঘড়িতে তাকিয়ে দেখি এখন বাজে সকাল সাতটা কিন্তু চারদিকে ঘন কুয়াশা যেখানেই চোখ যায় থৈ থৈ কুয়াশা পাশের মানুষরেই দেখা যায় না এমন কুয়াশা আমি কখনো ভাবতে পারিনি এই নেত্রকোনা এসে এরকম একটা অনুভূতি বা শীতের সকাল আমি পাব ধন্যবাদ জানাই আমার ছোট ভাই রানা ইসলামকে ওর বাসায় আমি ঘুরতে গিয়েছিলাম। আমি সব সময় ঢাকায় থাকি কখনো এরকম কুয়াশা আমি খুবই ঢাকাতে কম দেখেছি নেত্রকোনায় যেয়ে দেখলাম এত কুয়াশা আমি দীর্ঘ দশ বা পনেরো বছর পর এরকম কুয়াশা দেখলাম আগে আমাদের ঢাকা শহরে এরকম কুয়াসহ হইত যখন আমি ছোট ছিলাম, দুই হাজার চার সাল বা দুই হাজার পাঁচ সাল আমাদের ঢাকায়ও এরকম কুয়াশা হতো তখন,আমি ঘুড্ডি উড়াইতাম , মা কত ধরনের পিঠা বানাতো, আর আমার ঘুড্ডি উড়াইতে খুব ভালো লাগতো শীতের সকাল ঘুম থেকে উঠেই ঘুড্ডি নিয়ে বেরিয়ে যেতাম যেদিন আমার স্কুল বন্ধ ছিল ওই দিনই সকালবেলা আমি ঘুড্ডি নিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে যেতাম আমাদের বাড়ির পাশে একটা মাঠ ছিল ওই মাঠেই আমি ঘুরতে উড়াইতাম। এখন আমার বাড়ির পাশে সেই মাটি নেই ওই মাঠে এখন বিশাল বড় দালানকোঠা, আমার অতীতকাল গুলোর কথা মনে পড়ে গেল, যখন আমি নেত্রকোনায় গেলাম তখন আমি অনুভব করতে পারলাম আমার শৈশবকাল। গ্রামের মানুষ ঘুম থেকে উঠে দেখি সবাই পিঠা বানাচ্ছে কেউ ভাপা পিঠা কেউ তেলের পিঠা আর কত রকমের পিঠা সকল পিঠা একটু একটু করে সকল পিঠা খাইলাম , খাওয়া শেষ করে রানা আর আমার কয়েকটা বন্ধু বান্ধব মিলে এখন ঘুরার উদ্দেশ্য আমরা সবাই মিলে বাসা থেকে বের হলাম ,এখন আমাদের ঘোড়ার পালা, পাহাড়ে যাব নেত্রকোনার পাঁচগাও নামে একটি স্থান আছে ঐখানে সুন্দর পাহাড় আছে ,বাংলাদেশের নেত্রকোনা অবস্থান হচ্ছে উত্তর দিকে উত্তর দিকে তেমন পাহাড় পড়ে নাই বড় বড় পাহাড়গুলি সবই ভারতের আর কিছু পাহাড় বা টিলা কিছু রয়েছে বাংলাদেশের অঞ্চলে সেই উদ্দেশ্য নিয়েই বাসা থেকে বের হলাম আজকে পাহাড় দেখব। রাস্তায় যাবার পথে যেখানে তাকায়ই গ্রামের প্রকৃতির দৃশ্য আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম চারদিকে শুধু থৈথৈ আর মিথ বাতাস আর শীত টন, টনা,টন , কাছের মানুষ দেখাই যায় না এই শীতে কি আজব বিষয় আর ঢাকা শহরে আমরা এই শীত পাই না যাই হোক আমরা পৌছালাম পাঁচগাও তখন দুপুর একটা বাজে এই অল্প সময় নেত্রকোনা আমি ঠিক মতন ঘুরতে পারিনি আরও বিভিন্ন রকমের জায়গা আছে যা আমি ঘুরতে পারিনি যেমন হচ্ছে , লেঙ্গুরা , বিরিশিরি, দুর্গাপুর ,চিনামাটির পাহাড় ইত্যাদি। যাই বলেন না কেন এত অল্প সময়ের মধ্যে যে আমি পাঁচগাও ঘুরছি আর এগারো জন শহীদদের কবর দেখেছি,আমার কাছে খুব ভালোই লাগছে কি সুন্দর দৃশ্য , এই সুন্দর দৃশ্যগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আমি কিছু ছবি আপলোড করলাম,
আমি জানি এই স্টীম সাইটে সারা জীবন থেকে যাবে তাই আমার এই ঘুরতে যাওয়ার অভিজ্ঞতা আপনাদের সবার কাছে শেয়ার করলাম আশা করি সবারই ভালো লাগবে আর আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন।
নেত্রকোনা আগে ছিল ময়মনসিংহের সাথে মানুষ নেত্রকোনা বললেই কেউ চিনতই না এখন জেলা ভাগ হয়েছে ময়মনসিংহ আলাদা জেলা নেত্রকোনা আলাদা জেলা এখন মানুষ চীনে আর নেত্রকোনা নামটি শুনলেই জানি কেমন লাগে কোনা থেকে উঠে আসছে নেত্রকোনা। সত্য কথা বলতে কি বাংলাদেশের উত্তরের কুনাতে অবস্থিত নেত্রকোনা।
নেত্রকোনার বিখ্যাত বালিশ মিষ্টি খুব নামকরা বালিশ মিষ্টি আমিও খেয়েছি খুব সুস্বাদু আর নেত্রকোনার আরো আছে সোমেশ্বরী নদী সিলেকশন ভালো যাকে বলে আমরা লালবালু এই নেত্রকোনার দুর্গাপুর থেকেই এই বালু ওঠানো হয় আরো আছে চিনামাটির পাহাড় সবচাইতে অদ্ভুত বিষয় হলো বাংলাদেশের সকল নদীর নাম হচ্ছে মেয়ে নদী কিন্তু একটি নদী আছে যে নদীটির নাম হচ্ছে ভ্রমপত্র নদী এই নদী অবস্থান নেত্রকোনায় যা সরাসরি ভারত থেকে এসেছে বাংলাদেশে এবং এই নদীটি দুই ভাগে বিভক্ত হয়েছে একটি হয়েছে কংস নদী আর অন্যটি হয়েছে সোমেশ্বরী নদী, নেত্রকোনা আপনারা ঘুরতে গেলে পাবেন এগারো পীরের মাজার যা হচ্ছে এগারো জন মুক্তিযুদ্ধার কবরস্থান বড় বড় টিলা লিঙ্গড়ার পাহাড় নীল পানির পাহাড় নীল পানি বলতে আসলে পানি নীল না পানির নিচের যেই মাটিটা আছে ওইটা একটু ধূসর বর্ণ এইজন্য পানির উপর থেকে দেখা যায় নীল পানি
আমি মোঃ সোহাগ মিয়া আমি ঢাকায় বাস করি আমি ঘুরতে ভালোবাসি, আমি ঘুরি উড়াইতে ভালোবাসি , আমি কবুতর পালতে ভালোবাসি মানুষের সাথে কথা বলতে ভালোবাসি ছবি দেখতে ভালবাসি গেমস খেলতে ভালোবাসি যদি আমার কোন ভুল হয়ে থাকলে সবাই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন আশা করি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য গুলো আমার জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে, সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন আমার জন্য দোয়া করবেন।
বর্তমান তারিখ-- চার দিন -- আগারো মাস- দুই হাজার চব্বিশ সাল ।
এটা হলো আমার ভ্রমণের শীতের সকাল এর তারিখ-- তিন দিন- দুই মাস -দুই হাজার চব্বিশ সাল ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ক্লাস না করলে আপনার পোস্ট নমিনেশন এ যাবে না।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
প্রথম দিন দাদা আমি বুঝতে পারি নাই তাই ক্লাস টা আমি করতে পারি নাই,, পরবর্তী ক্লাস গুলো আমি করব দাদা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আচ্ছা। ঠিক আছে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit