কুমিল্লা টু চট্টগ্রাম রেল ভ্রমণ।।

in hive-129948 •  last year 
আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আজ আবার এসেছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। এমনিতে অফিসে কাজের চাপ অনেক বেড়ে গিয়েছে । তার উপর ঈদের এক মাস আগে থেকে সেই চাপ আরো অনেক বেড়ে গিয়েছে। এত ব্যস্ত হয়ে গিয়েছিলাম যে মাঝে মাঝে বাসায় গিয়ে কোন রকম রাতের খাবার খেয়ে কখন ঘুমিয়ে যেতাম টেরই পেতাম না। এভাবে কিছুদিন যাওয়ার পর বাসার লোকজনের মন খারাপ। তখন মন ভালো করার জন্য বললাম ঈদের কাজের চাপ শেষ হলে ঈদের ছুটিতে কোথাও ঘুরতে যাবো। এই কথা বলার পর ওয়াইফের মন ভালো হয়ে গেল। জিজ্ঞেস করলাম কোথায় যেতে চায় আর উত্তরে বলে দিল সে চট্টগ্রাম যায়নি সেখানে যেতে চায়। আমিও রাজি হয়ে বললাম নিয়ে যাব। এর মধ্যে ঈদের আগেই কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার ট্রেনের টিকেট কেটে রেখেছি।

IMG20230630093243.jpg

IMG20230630093304.jpg

ঈদ গ্রামের বাড়িতে করেই পরদিন সকালে মানে আজ চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছি। যেহেতু ট্রেন সকালে তাই খুব সকালে উঠে ট্রেনে খাওয়ার জন্য কিছু স্ন্যাকস, পাস্তা এগুলো রেডি করে গুছিয়ে নিয়েছি। আমার বাড়ি থেকে রেল স্টেশনে যেতে দুইবার ট্রান্সপোর্ট চেঞ্জ করতে হয়েছে। প্রথমে কথা হয়েছিল সি এন জি আমাদের স্টেশনে দিয়ে আসবে কিন্তু ক্যন্টনম্যন্ট আসার পর সি এন জি পুলিশ দেখে আর যেতে রাজি হয়না। পরে একটি মাইক্রো নিয়ে স্টেশনে পৌঁছাতে হয়েছে।

IMG20230630093318.jpg

IMG20230630101030.jpg

IMG20230630101038.jpg

স্টেশনে এসে দেখি আমরা অনেক আগেই চলে এসেছি। কুমিল্লা রেল স্টেশন অনেক পরিষ্কার। অনেক দিন পর আবার ট্রেনে ভ্রমণ করছি তাই খুব এক্সসাইটেড ছিলাম। কিছু ছবি তুললাম স্টেশনের। এর মধ্যে চা কফি চিপস আইস্ক্রিম অনেক কিছু খেয়ে নিয়েছি কিন্তু সময় যাচ্ছে না। এক সময় বিরক্ত হয়ে যাচ্ছিলাম। এরই মধ্যে এনাউন্সমেন্ট হলো ট্রেন কসবা পার করেছে কিছুক্ষণের মধ্যেই কুমিল্লা স্টেশনে পৌঁছাবে। শুনে খুব সস্তি আসলো মনে। আমরা রেডি হয়ে নিলাম। আরও কিছুক্ষণ পর এনাউন্সমেন্ট হলো ট্রেন পাঁচ মিনিটের মধ্যেই স্টেশনে পৌঁছাবে। ট্রেন আসতেই আমরা কামরা এবং সিট নাম্বার দেখে বসে পড়েছি।

IMG20230630113333.jpg

IMG20230630113337.jpg

ট্রেন ছাড়তেই আমার মেয়ে ঘুম দিয়েছে। ট্রেন চলা শুরু করেছে। আমাদের ট্রেনের কামরা স্নিগ্ধা জ তে অনেকগুলো ছোট বাচ্চা উঠেছে। ওদের কিচির মিচির আওয়াজে পুরো কামরা জমে উঠেছিল। আমরা বাসা থেকে নিয়ে আসা খাবারগুলো খেয়ে নিয়েছি। ট্রেন ছুটছে তার গতিতে, কোন ব্রেক নেই কোন থামা নেই। আমাদের সিট পড়েছিল ট্রেন যেদিকে ছুটছে ঠিক তার উল্টো দিকে। মনে হচ্ছিল মাঠ ঘাট বাড়ি ঘর সব পেছনে ফেলে চলে আসছি আমরা। তিন ঘণ্টা ভ্রমণের পর আমরা কাঙ্ক্ষিত চট্টগ্রাম স্টেশনে পৌঁছেছি। মজার ব্যাপার হচ্ছে তিন ঘণ্টা ভ্রমণের পুরো সময়টা আমার মেয়ে আমার কোলে ঘুমিয়েছিল।

IMG20230630141444.jpg

IMG20230630142821.jpg

যাই হোক খুব সুন্দরভাবে চট্টগ্রাম পৌঁছেছি এটাই বড় ব্যাপার । চেষ্টা করব ভ্রমণের বাকি সময় এবং অনুভূতি গুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

ডিভাইসঅপ্পো এ ৫৪
বিষয়কুমিল্লা টু চট্টগ্রাম রেল ভ্রমণ
ক্রেডিট@miratek

আশা করি আমার পোস্ট আপনাদের ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ সবাইকে।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

কাজ নিয়ে থাকলে হয় না ভাইয়া পরিবারকেও সময় দিতে হয়।এটা বুঝে ভাবির মন ভালো করে আজ চট্টগ্রাম গেলেন জেনে খুব ভালো লাগলো। মেয়ে তিন ঘন্টা আপনার কোলে শুয়ে ঘুম দিল।খুব ভালো লাগলো আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

রেল ভ্রমণের মুহূর্ত গুলো সত্যি খুব দুর্দান্ত হয়ে থাকে। ট্রেনে করে সুন্দর ভাবে চট্টগ্রাম গিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। ট্রেনের জানালার পাশে বসে বাহিরে প্রকৃতি অপরূপ সৌন্দর্য চমৎকার ভাবে উপভোগ করা যায়।কুমিল্লা টু চট্টগ্রাম রেল ভ্রমণের অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।

যাইহোক পরিবারের মানুষগুলোকে নিয়ে রেল ভ্রমণ করেছেন শুনে ভালো লাগলো। রেল ভ্রমণ এমনিতে অনেক মজারই হয়। সবার মন ভাল করতে আপনি এই উদ্যোগটা নিয়েছেন। যদিও টেনস্টেনে আসতে আপনাদের একটু কষ্ট হয়েছে। পরিবারকে নিয়ে খুব সুন্দর করে ভবন করেন এই কামনা করি। আশা করি পরবর্তী পোস্টগুলো আমাদের মাঝে খুব তাড়াতাড়ি শেয়ার করবেন।

লং জার্নি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন ভাইজান। আসলে ট্রেন ভ্রমণ করতে ভালো লাগে। যেখানে ভয়-ভীতি একটু কম থাকে। বিশেষ করে বাসের থেকেও যথেষ্ট নিরাপদে। ট্রেন জার্নি আজ আপনি আমাদের মাঝে কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত দীর্ঘ একটা জার্নি সম্পর্কে আমাদের মাঝে ধারণা দিয়েছেন। আশা করি সুস্থ সবল অবস্থায় সেখানে পৌঁছেছিলেন।

মাঝেমধ্যে এরকম রেল ভ্রমণ করতে অনেকেই পছন্দ করে। পরিবারের সবাইকে নিয়ে চট্টগ্রামে গেলেন। অফিস বন্ধ থাকার কারণে আপনার জন্য সুবিধা হল। এবং ঈদের খুশি টি ও উদযাপন করতে পারলেন। আপনার ভ্রমণ আরো সুন্দর হোক এই কামনা করি। এবং আপনাদের সবার জন্য দোয়া রইল।

ট্রেন ভ্রমণ সবসময়ই আমার খুব পছন্দ। যদিও এই পর্যন্ত বাংলাদেশের ট্রেনে ওঠা হয়নি আমার। তবে বাহিরের অনেক দেশে ট্রেন জার্নি করেছি অসংখ্য বার। যাইহোক আপনি অনেকদিন ধরেই খুব ব্যস্ততার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। তবে ঈদের ছুটিতে পরিবার নিয়ে একটু ঘুরতে বের হয়েছেন। দেখে সত্যিই খুব ভালো লাগলো। শত ব্যস্ততার মাঝেও পরিবারকে একটু সময় দেওয়া উচিত। আশা করি চট্টগ্রামের অনেক অনেক ফটোগ্রাফি শেয়ার করবেন আমাদের মাঝে। আপনার পুরো পরিবারের জন্য অনেক অনেক দোয়া রইল।