রিভিউ। কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে খাওয়া।।

in hive-129948 •  2 years ago 
আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি। আজও একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজ আমি আপনাদের সাথে একটি রেস্টুরেন্টে কাটানো কিছু মুহূর্ত শেয়ার করব। আপনারা অনেকেই হয়ত জানেন আমি বন্ধের দিনগুলোতে পরিবার নিয়ে বের হই। এই বন্ধের দিনে গিয়েছিলাম কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে।


GridArt_20230218_201343369.jpg

এই রেস্টুরেন্টের ঢাকায় অনেক শাখা আছে। ঢাকার বাহিরেও নারায়নগঞ্জ এ তাদের একটি আউটলেট ওপেন হয়েছে। আর একদম রিসেন্টলি ঢাকার ওয়ারী তে একটি আউটলেট ওপেন হয়েছে। তো সেদিন অফিস থেকে বাসায় যাওয়ার সময় তাদের এড দেখে ভেবেছি যেতে হবে। আসলে আমি যেহেতু ভোজন রসিক মানুষ তাই যেখানে ভাল কোন রেস্টুরেন্টের দেখা পাই সেখানেই না যাওয়া পর্যন্ত মন অস্থির থাকে। কাচ্চি ভাই সম্পর্কে আগেও কয়েকবার শুনেছি কিন্তু আউটলেট গুলো দূরে হওয়াতে যাওয়া হয়নি। এই বন্ধের দিন চলেই গেলাম।

IMG20230215184936.jpg

IMG20230215185004.jpg

IMG20230215185047.jpg

বাসা থেকে বের হয়ে রিকশা নিয়ে সোজা রেস্টুরেন্টের সামনে চলে গেলাম। রেস্টুরেন্ট দোতলায় হওয়াতে এসকেলেটর দিয়ে উঠতে হয়েছে। আমার মেয়ে এস্কেলেটর এ উঠে মহাখুশি। যাই হোক ভিতরে ঢুকে রেস্টুরেন্টের পরিবেশ দেখে আমার খুবই ভাল লাগল। ভিতরের ইন্টেরিয়র অনেক ভাল লেগেছে । আমরা একটি কর্নার টেবিল দেখে বসে পড়লাম। তারপর আমি কিছু ছবি তুলে নিলাম।

IMG_20230218_190129.jpg

IMG_20230218_190146.jpg

IMG20230215182203.jpg

আসলে খাওয়ার জন্য রেস্টুরেন্টের পরিবেশ অনেক বড় একটি বেপার। পরিবেশ ভাল হলে আয়েশ করে আনন্দের সহিত খাওয়া যায়। আমার কাছে পরিবেশ খুবই ভাল লেগেছে। ভিতরে বসার স্পেস অনেক বড়। চাইলে বড় পার্টি এরেঞ্জ করা যাবে। সোফা এবং ভাল মানের চেয়ার আছে যেখানে খুব আরাম করে খাওয়া যায়। আমরা যখন গিয়েছি তখন খুব একটা ভীড় ছিল না।

IMG20230215182209.jpg

IMG20230215182158.jpg

IMG20230215182143.jpg

একপাশে ছোট ছোট ঘরের মত করে বানিয়ে রেখেছে। ফ্যামিলি মেম্বার বেশি হলে বা একটু প্রাইভেসি দরকার হলে এই ঘরে বসে খেতে পারবে এবং লম্বা সময় আড্ডা দিতে পারবে।

IMG20230215184923.jpg

IMG20230215184315.jpg

IMG20230215182038.jpg

এর মধ্যে খাবারের অর্ডার করেছিলাম। বাসমতি কাচ্চি আর বাদাম শরবত অর্ডার করেছিলাম। কাচ্চি সাধারণত রান্না করাই থাকে এবং সবসময় দমে দিয়ে রাখে। তাই খাবার আসতে বেশি দেরি হলো না। আমরা দুটো কাচ্চি বিরিয়ানি আর সাথে তাদের স্পেশাল কাচ্চি ভাই শরবত অর্ডার করেছি। খাবারের কালার, সার্ভিং, দেখেই আমার ক্ষুধা বেড়ে গেল।

IMG20230215182245.jpg

IMG20230215182254.jpg

IMG20230215182300.jpg

IMG20230215182316.jpg

IMG20230215184411.jpg

খাবার সত্যিই অসাধারণ ছিল। আমি পুরান ঢাকার অনেক কাচ্চি খেয়েছি। একদম পুরান ঢাকার কাচ্চির সেই ফ্লেভার এখানে পেয়েছি। বাসমতি চাল ভাল সোর্সের ছিল কারণ বাসমতি চালের সুন্দর গন্ধ পেয়েছি। আর মাটন এর কথা কি বলব একদম সফট এবং হালকা স্পাইসি ছিল। এখনো মুখে স্বাদ লেগে আছে। আমার আরো ভাল লেগেছে আস্ত আলু দেখে। এটা পুরান ঢাকার কাচ্চি বিরিয়ানি স্পেশাল। এক কথায় অসাধারণ ছিল খেতে। আর আপনারা কেউ যদি কাচ্চি ভাই তে খেতে যান তাহলে কাচ্চি ভাই এর বাদাম শরবত টা অবশ্যই খাবেন। জাফরান, কাঠ বাদাম মেস, কাঠ বাদাম স্লাইস, পেস্তা বাদাম মেস, চিনা বাদামের মেস, দুধ, কাঁচা হলুদের মেস দিয়ে অসাধারণ এক শরবত বানায়। আমার মেয়ে একবার খেয়ে আরো খেতে চেয়েছে। অনেক ধরনের বাদাম আর দুধ থাকাতে তাকে বেশি খেতে দেইনি।

IMG20230215184447.jpg

IMG20230215185034.jpg

খাবার শেষে বিল দিয়ে বাবা মেয়ে রেস্টুরেন্টের সামনে একটি পিক তুলে নিলাম।

কাচ্চি ভাইরেটিং (১০)
পরিবেশ
সার্ভিস
খাবারের মান৮.৫

আশা করি আমার আজকের পোস্ট আপনাদের ভাল লেগেছে। ধন্যবাদ সবাইকে।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া দেখে তো লোভ সামলাতে পারলাম না খেতে ইচ্ছা করছে। বাবা মেয়ে দুজনই অনেক সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন। ছোটদের সাথে খাওয়া দাওয়ার মজাই আলাদা। ভাইয়া আপনার মেয়ে ভীষণ মিষ্টি দেখতে। চমৎকার একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

এভাবে খাবারের ছবি দিয়ে পেটের ক্ষুদা বাড়িয়ে দিলেন।যদিও কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টের কোন আউটলেটে যাওয়া হয়নি।তবে মনে হচ্ছে খেতে বেশ ভালোই হবে।ছোট বাচ্চারা এসকেলেটর উঠতে বেশ পছন্দ করে।যাই হোক বাবা মেয়ে বেশ ভালোই খাওয়া দাওয়া হলো।ভালো লাগলো। ধন্যবাদ

ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

ভাই,আমাদের তো লোভ লাগিয়ে দিলেন।ধারে কাছে মান সম্মত রেস্টুরেন্ট হলে পরিবারকে একসাথে নিয়ে যাওয়া যায়।আসলে কাচ্চি ভাইয়ের রেস্টুরেন্টের খাবার খুবই মান সম্মত। তাদের নারায়ণগঞ্জ শাখায় একদিন খাওয়া হয়েছে।তবে কিছুদিন আগে একটি ফেইসবুকের খবর দেখে আর রেস্টুরেন্টে যাওয়া হয় না।ধন্যবাদ ভাই,কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে খাবার খাওয়ার অনুভূতিটুকু আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।

অনেক রেস্টুরেন্ট অনেকের নামে খারাপ রিউমার ছড়ায়। আসলে কোন রেস্টুরেন্ট কি ব্যবহার করছে তা আমরা কেউই জানিনা। ধন্যবাদ ভাইয়া।

ভাই খাওয়াগুলো দেখে লোভ সামলাতে পারছিনা।আপনি কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে খাওয়া দেখে বোঝা যাচ্ছে খাওয়াগুলো অনেক ভালো। আসলে এসব রেস্টুরেন্ট গুলো সব সময় ভালো সার্ভিস দিয়ে থাকে। আসলে বন্ধের দিনে খুব মজা করে খাবারগুলো খেয়েছেন। এবং অনেক সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।

ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

খাবারের কালার, সার্ভিং, দেখেই আমার ক্ষুধা বেড়ে গেল।

এবার তো আমার পেটের ক্ষুধা তিন গুণ বাড়িয়ে দিলেন এত রাতে এই কাচ্চি আমি এখন কই পাই বলুন। হা হা 😄
যাক পুরো রেস্টুরেন্টের পরিবেশ এবং খাবারের ছবিগুলো দেখে যা বুঝলাম ভীষণ পরিপাটি এবং সুস্বাদু খাবারের আয়োজন করেছে তারা। আর দামটাও দেখলাম মোটামুটি নাগালের মধ্যেই রয়েছে।
সব থেকে যে জিনিসটি আমার কাছে ভালো লেগেছে তা হল আপনি বন্ধের দিন পরিবারকে সময় দিয়ে থাকেন, এটা সত্যিই ভীষণ ভালো একটা ব্যাপার।
অনেক ধন্যবাদ ভাই এই চমৎকার মুহূর্তটি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।

আমি যেখানেই যাই পরিবার নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি। ধন্যবাদ ভাইয়া গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য।

অনেকের সোস্যাল একাউন্টেই কাচ্চি ভাইয়ের খাবারের রিভিউ দেখেছি। এখানকার বিরিয়ানি নাকি অনেক সুস্বাদু এবং খুব নামকরা। আপনিও দেখছি পরিবারকে নিয়ে সেখানে গিয়েছেন এবং খুব ভালো সময় কাটিয়েছেন। কখনো যদি ঢাকায় যাওয়া হয় অবশ্যই এই বিরিয়ানি টেস্ট করা হবে।

ঢাকায় আসলে আমাকে জানাবেন আমি ট্রিট দিব। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

বাহ ভাই,কাচ্চি ভাইতে গিয়ে তাহলে পেটপুরে খেয়ে এলেন।আসলে কাচ্চির স্বাদ বা গুণাগুণ না থাকলে খেয়ে আর লাভ কি।তাছাড়া আপনি যেহেতু কাচ্চিটা খেয়ে বেশ ভালো বলেছেন তাহলে সেখানে গেলে তো খেতেই হবে।আর বাদাম শরবত আসলেই দারুণ,খাওয়া হয়েছে কয়েকবার।

বাদাম শরবত খেয়ে খুব ভাল লেগেছে। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

ঢাকা শহর আমার পছন্দের জায়গা নয়।তবে শুধু খাবারের জন্যই জায়গাটিকে মিস করি। রেস্টুরেন্ট এর পরিবেশ অনেক গুরুত্বপূর্ণ। পরিবেশ ভাল হলে খাবারের স্বাদ অনেক বেড়ে যায়,আর পরিবেশ খারাপ হলে ভাল খাবার খেয়েও তৃপ্তি পাওয়া যায়না।আপনি অনেক ভাল রিভিউ লিখেছেন।ধন্যবাদ সুন্দর রিভিউটি শেয়ার করার জন্য।

ধন্যবাদ ভাইয়া গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য।