কাবুলিম্যান রেষ্টুরেন্ট এর খাবার উপভোগ।।

in hive-129948 •  last year 
আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আজ নতুন একটি পোস্ট শেয়ার করব। খাবারের প্রতি বরাবরই আমার খুব আসক্তি আছে। যেকোন ধরনের খাবারই আমার খুব পছন্দের। তাই সব ধরনের খাবার যেমন থাই, চাইনিজ, ইন্ডিয়ান, ওয়েস্টার্ন খাবার খেতে বিভিন্ন জায়গায় চলে যাই। আমি অবশ্য স্ট্রিট ফুড ও খুব পছন্দ করি। সেদিন ফেসবুক এ স্ক্রল করতে গিয়ে নতুন একটি রেস্টুরেন্টের এড চোখে পড়ল। রেস্টুরেন্টের নাম কাবুলিম্যান। গতকাল রাতে ইচ্ছে করল কোথাও খেয়ে আসি। তখন কবুলিম্যান এর কথা মনে পড়ল।

GridArt_20230828_214919015.jpg

কাবুলীম্যান রেস্টুরেন্ট ওয়ারী এর রাঙ্কিং স্ট্রিট এ অবস্থিত। এই রেস্টুরেন্ট এ ইন্ডিয়ান এবং বাংলা খাবার পাওয়া যায়। এখানে নেহারি, কলিজা ভুনা, চিকেন তন্দুরি খুব ভালো। যাই হোক পরিবার নিয়ে চলে গেলাম কাবুলিম্যাণ রেস্টুরেন্ট এ। আমি ভেবেছিলাম ভেতরে অনেক স্পেস কিন্তু জায়গা খুব বেশি বড় না। আসলে ফেসবুকের ছবিগুলো দেখে মনে হয়েছিল অনেক বড়। তবে ভেতরের ইন্টেরিয়র মোটামুটি ভালো। বিভিন্ন রকমের পুরনো ধাঁচের ওয়ালপেপার দিয়ে দেয়াল গুলো সাজানো হয়েছে।

IMG20230825190235.jpg

IMG20230825191839.jpg

রেস্টুরেন্ট এ সোফা এবং চেয়ার দুই ধরনের বসার ব্যবস্থা আছে। আমার অবশ্য সোফা টাই ভালো লাগে কারন এক হচ্ছে আরাম করে বসে খাওয়া যায় আর আমার মেয়েও খুব আরাম করে বসে থাকে। বসে খাবারের অর্ডার করলাম। আমরা গিয়েছিলাম মূলত খাসির পায়া খেতে। কিন্তু খাসির পায়া শেষ হয়ে গিয়েছিল। পরে মেন্যু কার্ড দেখতে দেখতে চোখে পড়ল খাসির কলিজা ভুনা। আমি শুনেছি ওদের খাসির কলিজা ভুনা ও নাকি খুব মজার। খাসির কলিজা ভুনা আর বাটার নান অর্ডার করলাম।

IMG20230825190231.jpg

IMG20230825190220.jpg

ভিতরে বেশ মানুষজন ছিল তাই ছবি তুলতে ইতস্তত বোধ করছিলাম। কোন এক ফাঁকে কিছু তুললাম। খাবার অর্ডার করার বেশ কিছুক্ষণ পর খাবার এসেছে। খাবার দেরি দেখে মেয়ে খুব বিরক্ত করছিল তাই তাকে থামানোর জন্য সফট ড্রিংকস কিনে দিয়েছি এবং সে ড্রিংকস বেশ খানিক সময় কাটিয়েছে। খাবার আসার পর ছবি তুলে নিলাম। তারপর খাওয়া শুরু করেছি। কলিজা ভুনা আসলেই অনেক মজার ছিল সাথে বাটার নান একদম সফট। সব রেস্টুরেন্ট এ এত সফট নান পাওয়া যায় না।

IMG20230825191343.jpg

IMG20230825191431.jpg

খাবার শেষ করে আবার মেন্যু কার্ড নিয়ে দেখলাম আর কিছু খাওয়া যায় কিনা। এক পর্যায়ে গিয়ে দেখলাম এদের এখানে কুষ্টিয়ার বিখ্যাত মালাই কুলফি আইসক্রিম পাওয়া যায়। আমি একবার ভাবলাম বাহিরে অনেকেই ঢাকায় বানানো কুলফি কে কুষ্টিয়ার বলে চালিয়ে দেয়। পরে চিন্তা করলাম একবার খেয়েই দেখি। কুলফি অর্ডার করেছি। অল্প সময়ের মধ্যেই কুলফি নিয়ে হাজির। আমি ভেবেছি কাঠি দিয়ে বানানো কুলফি নিয়ে আসবে কিন্তু দেখি কলার সেপ এ পিস করে কেটে পিরিচে করে কুলফি নিয়ে এসেছে। এক পিস মুখে দিয়েই চোখে মুখে আনন্দ। কুষ্টিয়ার কিনা জানিনা তবে অনেক মজার ছিল।

IMG20230825192659.jpg

কুলফি খেয়ে বিল দিয়ে চলে এসেছি।

আশা করি আমার পোস্ট আপনাদের ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ সবাইকে।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

পরিবারের সবাইকে নিয়ে তাহলে রেস্টুরেন্টে খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। মাঝে মাঝে পরিবারের সদস্যদের এভাবে সময় দিলে তাদের যেমন ভালো লাগে তেমনি নিজের কাছেও অনেক ভালো লাগে। তারজন্য আমিও মাঝে মাঝে বাহিরে খেতে চলে যাই। আপনার খাবার গুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে খুবই সুস্বাদু। ওয়আলপএপআর দিয়ে দেয়ালগুলো সাজানো দেখে ভালো লাগলো।