কলিগদের সাথে অন ফায়ার রেস্টুরেন্ট এ কিছু সুন্দর মুহূর্ত।

in hive-129948 •  last year 
আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আজ আবার এসেছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। সেদিন অফিস থেকে ফেরার পথে গাড়িতে খুব আলোচনা হচ্ছিল খাওয়া নিয়ে। কিছুক্ষণ পর বুঝতে পেরেছি আমাদের গাড়ির কিছু লোক তাদের ডিপার্টমেন্ট থেকে গেট টুগেদার এর আয়োজন করেছে। সাধারণত গাড়িতে কোন খাবারের আয়োজন করা হলে সবাই সম্মিলিতভাবে খাওয়ার আয়োজন করা হয়। কিন্তু সেদিন ডিপার্টমেন্ট ইস্যুতে আলাদা খাবারের আয়োজন করায় গাড়ির বাকি মেম্বাররা খুব মন খারাপ করে বসে আছে। এরই মধ্যে একজন বলল তারা যেহেতু আলাদা খেতে গিয়েছে আমরাও আজ খাবো। যেই কথা সেই কাজ , গাড়িতে যারা ছিল সবার মতামতে সিদ্ধান্ত হলো আমরা মোহাম্মদপুরের একটি রেস্টুরেন্টে খাবো। আমরা যে রেষ্টুরেন্টে খেতে গিয়েছি তার নাম অন ফায়ার।

IMG-20230907-WA0023(1).jpg

রেস্টুরেন্ট টি মোহাম্মদপুরে শিয়া মসজিদের কাছেই অবস্থিত। অফিসের গাড়ি ঠিক অন ফায়ার রেস্টুরেন্টের সামনেই থেমেছে। আমরা সবাই নেমে একটু তাকিয়ে রেস্টুরেন্টের দিকে এগিয়ে গেলাম। দোতলা রেস্টুরেন্টের দোতলায় আমরা উঠে পড়েছি। ঢুকে সবাই লম্বা এক টেবিলে বসেছি। এর মধ্যে ওয়েটার এসে হাজির। আমরা খাবারের মেন্যু সিলেক্ট করে খাবার অর্ডার করেছি।

IMG20230907180623.jpg

IMG20230907180605.jpg

খাবার অর্ডার করে সবাই ফ্রেশ হয়ে নিল। আমি আবার একটু এদিক সেদিক তাকাচ্ছিলাম ভিতরের অবস্থা বোঝার জন্য। রেস্টুরেন্টের আয়তন খুব বড় না হলেও ছোট খাট পার্টি এরেঞ্জ করার জন্য যথেষ্ট। আসলে সেদিন দেখলাম এক বাচ্চার বার্থডে পার্টির আয়োজন চলছিল। বাচ্চার বাবা এবং মা খুব আনন্দ নিয়ে ব্যাকগ্রাউন্ড সাজাচ্ছিল। যাই হোক কিছুক্ষণ পর আমরা সবাই টেবিলে বসে গল্প শুরু করলাম। খুব হাসি ঠাট্টা হলো অফিসের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে। সাধারণত অফিসে কখন সময় চলে যায় টেরই পাওয়া যায় না। সবার দিকে তাকিয়ে আমার মনে হচ্ছিল এ যেন এক অন্য জগৎ। তবে হ্যা মাল্টিন্যাশনাল কালচার এর মজাই আলাদা, কোন টেনশন নেই কাজ তার গতিতে হয়ে যায়, কোন দায়বদ্ধতা নেই।

IMG20230907181303.jpg

IMG20230907181247.jpg

কিছুক্ষণ পর খাবার চলে এসেছে। খাবারের মেন্যু হিসেবে থাই স্যুপ, চাওমিন, অন্থন ছিল। আসলে সন্ধ্যার মুহূর্ত তাই এর থেকে ভারী খাবার কেউ খেতে চাচ্ছিল না। খাবারের পরিবেশন মোটামুটি ভালো ছিল। আরো সুন্দর ডেকোরেশন করে প্রেজেন্ট করতে পারত। খাবার আসতেই সবাই যার যার স্পুন এবং ফর্ক নিয়ে রেডি। সবাই প্রথমে স্যুপ খেয়ে নিল। স্যুপ বেশ দারুন ছিল যদিও পরিবেশন একদম সাদামাটা ছিল। স্যুপ এ যথেষ্ট পরিমাণ চিকেন, প্রণ এবং মাশরুম ছিল।

IMG-20230907-WA0028.jpg

IMG-20230907-WA0024.jpg

স্যুপের সাথে অন্থন খেতে আমার ভালো লাগে তাই স্যুপ খেতে খেতে কয়েকটি অন্থন খেয়ে নিলাম। অন্থন বরাবরই আমার কাছে লস প্রজেক্ট মনে হয় কারণ বিশাল এক পাপর এর মাঝে ছোট এক টুকরো চিকেন পিস থাকে। যাই হোক চলে এলাম লাস্ট আইটেম টেস্ট করার জন্য। চাওমিন টা দেখতে তেমন ইয়াম্মি মনে না হলেও খেতে বেশ মজার ছিল। কিছু খাবার আছে যেগুলো সিম্পল হলেও খেতে খুব মজার হয়।

IMG-20230907-WA0027.jpg

IMG-20230907-WA0025.jpg

সবাই শেয়ার করে খুব মজা করে খেয়ে নিলাম। আসলে একসাথে অনেক মানুষ আড্ডা দিতে দিতে খেলে অনেক এভারেজ টেস্টের খাবার খেতেও ভালো লাগে। খাবার শেষে সবাই আরো কিছুক্ষণ বেশ জমিয়ে আড্ডা দিলাম। সবশেষে সবাই এক এক করে বিদায় নিয়ে যার যার বাসার উদ্দেশ্যে চলে গেলাম। আমি রিকশায় উঠে কাটানো মুহূর্তগুলো অনুধাবন করলাম। নতুন পরিবেশ তাই খুব ভালো ছবি তুলতে পারিনি কে আবার কি মনে করবে তাই ভেবে।

আশা করি আমার আজকের পোস্ট আপনাদের ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ সবাইকে।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.