রেস্টুরেন্ট টি মোহাম্মদপুরে শিয়া মসজিদের কাছেই অবস্থিত। অফিসের গাড়ি ঠিক অন ফায়ার রেস্টুরেন্টের সামনেই থেমেছে। আমরা সবাই নেমে একটু তাকিয়ে রেস্টুরেন্টের দিকে এগিয়ে গেলাম। দোতলা রেস্টুরেন্টের দোতলায় আমরা উঠে পড়েছি। ঢুকে সবাই লম্বা এক টেবিলে বসেছি। এর মধ্যে ওয়েটার এসে হাজির। আমরা খাবারের মেন্যু সিলেক্ট করে খাবার অর্ডার করেছি।
খাবার অর্ডার করে সবাই ফ্রেশ হয়ে নিল। আমি আবার একটু এদিক সেদিক তাকাচ্ছিলাম ভিতরের অবস্থা বোঝার জন্য। রেস্টুরেন্টের আয়তন খুব বড় না হলেও ছোট খাট পার্টি এরেঞ্জ করার জন্য যথেষ্ট। আসলে সেদিন দেখলাম এক বাচ্চার বার্থডে পার্টির আয়োজন চলছিল। বাচ্চার বাবা এবং মা খুব আনন্দ নিয়ে ব্যাকগ্রাউন্ড সাজাচ্ছিল। যাই হোক কিছুক্ষণ পর আমরা সবাই টেবিলে বসে গল্প শুরু করলাম। খুব হাসি ঠাট্টা হলো অফিসের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে। সাধারণত অফিসে কখন সময় চলে যায় টেরই পাওয়া যায় না। সবার দিকে তাকিয়ে আমার মনে হচ্ছিল এ যেন এক অন্য জগৎ। তবে হ্যা মাল্টিন্যাশনাল কালচার এর মজাই আলাদা, কোন টেনশন নেই কাজ তার গতিতে হয়ে যায়, কোন দায়বদ্ধতা নেই।
কিছুক্ষণ পর খাবার চলে এসেছে। খাবারের মেন্যু হিসেবে থাই স্যুপ, চাওমিন, অন্থন ছিল। আসলে সন্ধ্যার মুহূর্ত তাই এর থেকে ভারী খাবার কেউ খেতে চাচ্ছিল না। খাবারের পরিবেশন মোটামুটি ভালো ছিল। আরো সুন্দর ডেকোরেশন করে প্রেজেন্ট করতে পারত। খাবার আসতেই সবাই যার যার স্পুন এবং ফর্ক নিয়ে রেডি। সবাই প্রথমে স্যুপ খেয়ে নিল। স্যুপ বেশ দারুন ছিল যদিও পরিবেশন একদম সাদামাটা ছিল। স্যুপ এ যথেষ্ট পরিমাণ চিকেন, প্রণ এবং মাশরুম ছিল।
স্যুপের সাথে অন্থন খেতে আমার ভালো লাগে তাই স্যুপ খেতে খেতে কয়েকটি অন্থন খেয়ে নিলাম। অন্থন বরাবরই আমার কাছে লস প্রজেক্ট মনে হয় কারণ বিশাল এক পাপর এর মাঝে ছোট এক টুকরো চিকেন পিস থাকে। যাই হোক চলে এলাম লাস্ট আইটেম টেস্ট করার জন্য। চাওমিন টা দেখতে তেমন ইয়াম্মি মনে না হলেও খেতে বেশ মজার ছিল। কিছু খাবার আছে যেগুলো সিম্পল হলেও খেতে খুব মজার হয়।
সবাই শেয়ার করে খুব মজা করে খেয়ে নিলাম। আসলে একসাথে অনেক মানুষ আড্ডা দিতে দিতে খেলে অনেক এভারেজ টেস্টের খাবার খেতেও ভালো লাগে। খাবার শেষে সবাই আরো কিছুক্ষণ বেশ জমিয়ে আড্ডা দিলাম। সবশেষে সবাই এক এক করে বিদায় নিয়ে যার যার বাসার উদ্দেশ্যে চলে গেলাম। আমি রিকশায় উঠে কাটানো মুহূর্তগুলো অনুধাবন করলাম। নতুন পরিবেশ তাই খুব ভালো ছবি তুলতে পারিনি কে আবার কি মনে করবে তাই ভেবে।
আশা করি আমার আজকের পোস্ট আপনাদের ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ সবাইকে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit