আসসালামু আলাইকুম

সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে এসেছি। প্রতিদিন আমার বাংলা ব্লগে পোস্ট করতে আমার অনেক ভালো লাগে। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করতেও আমার অনেক ভালো লাগে। ফরিদপুরে আসার পর বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করছি। ভাবলাম অনেকদিন ফরিদপুর শিশু পার্কে যাওয়া হয় না। যেহেতু সময় পেয়েছি ঘুরে আসি ফরিদপুর শিশু পার্ক থেকে।

আমরা ঠিক করলাম আমরা মোট ৫জন যাবো।আমি আম্মু আমার ছোট বোন এবং আমার চাচাতো দুটি ছোট বোন । যখন আমরা ছোট ছিলাম মাঝেমধ্যেই ফরিদপুর শিশু পার্কে যাওয়া হতো। তখন বেশ জমজমাট ছিল শিশু পার্ক।

আমরা একটু বিকালের দিকে রওনা হলাম শিশু পার্কের উদ্দেশ্যে। আমাদের ঢুকতে টিকিটের মূল্য জন প্রতি ১০০ টাকা। আগের টিকিটের মূল্য কম ছিল। এই ব্যাপারটি খুবই অবাক হলাম। আমরা শিশু পার্কে প্রবেশ করার পর।

চলে গেলাম রাইডের দিকে। বেশিরভাগ রাইটি বন্ধ রয়েছে। এবং কিছু কিছু রাইট নষ্ট হয়ে গিয়েছে। শিশু পার্কে খুব একটা ভিড় নেই। সবকিছুই যেন এলোমেলো। বেশ কয়েক ধরনের ফুলের গাছ রয়েছে দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে।

এরপরে চলে গেলাম কয়েকটি ভাস্কর্য দেখতে। ভাস্কর্য গুলোর রং কিছুটা উঠে গিয়েছে। এরপরে আমরা চলে গেলাম ড্রাগন টেনে ওঠার জন্য। কিন্তু ওখানে লোক না থাকার কারণে উঠতে পারলাম না।

আগের থেকে কিছু কিছু নতুন জিনিস তৈরি করেছে। একটা জিনিস শুনে খুবই অবাক হলাম আগে যে রাইটগুলো ছিল ৩০ টাকা। এখন প্রত্যেকটা রাইটে উঠতে গেলে ১০০ টাকা লাগবে। হয়তো সব কিছু বন্ধ আছে এর জন্য। ছোট বাচ্চাদের ও টিকিট লাগে।

শিশু পার্কের আমার কাছে এই জায়গাটি খুবই ভালো লাগে। আগে যখন যেতাম এই জায়গাটির সাথে একটি ছবি তুলতাম।

শিশু পার্কের সব কিছু এলোমেলো হয়ে গেছে। শিশু পার্কে আরো কয়েকটি নতুন জিনিস তৈরি হয়েছে পরের পোস্টে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।

আশা করি আজকের পোস্টটি আপনাদের কাছে খুবই ভালো লাগবে। আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে আমারও খুবই ভালো লাগলো।

ফটোগ্রাফার	@mithila19
ডিভাইস	samsang note 10 lite

লোকেশন

আমি মিথিলা ইসলাম।আমি একজন 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩। বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ।❤️ আমার স্টিমিট একাউন্ট @mithila19