ভ্রাতিত্ব এবং সসোহাদ্যপূর্ণ সম্পর্ক।

in hive-129948 •  24 days ago 

আজ- ১৮ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, হেমন্তকাল


আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।




1000045067.jpg

কেমন আছেন সকলে? আশা করছি ভালো আছেন। আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। সোশ্যাল মিডিয়াতে সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতের পতাকার অবমাননা করার এই বিষয়টি নিশ্চয়ই আমরা সকলে জানি। আর এই বিষয়টি আমাদের জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক সাথে অপমানজনক ও বটে। কেননা কোন শিক্ষা কখনোই অন্য জাতিকে অসম্মান করতে শেখায় না। একজন শিক্ষিত মানুষ হয়ে যখন সে এমন একটি কাজ করে তখন সেটি পুরো জাতির জন্য অবশ্যই লজ্জার। এবং সে সাথে সে পবিত্র শিক্ষার অবমাননা ও বটে।

একটি দেশের জন্য পতাকা শুধুমাত্র এক টুকরো কাপড় নয় বরং এটি পুরো দেশে সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের প্রতীক। প্রতিটি দেশে পতাকার পেছনে রয়েছে পুরো দেশ জাতির আত্মত্যাগ এবং ভালোবাসা মহত্বের চিহ্ন। তাই প্রত্যেকটা দেশের পতাকার প্রতি শ্রদ্ধা জানানো প্রত্যেকটি মানুষের নৈতিক দায়িত্ব ও কর্তব্য এবং প্রতিটি দেশে পতাকার প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা জানানোর মাধ্যমে জাতিগত বিভেদকে দূর করার মাধ্যমে সকলের মাঝে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন দৃঢ় হয়। আর প্রত্যেকটি জাতি পতাকার মধ্যে তাদের নিজেদের পরিচয় খুঁজে পাই। আর এটি পুরো জাতির জন্য গৌরবের সম্মানের ও মর্যাদার প্রতীকি। তাই আমরা যখন কোন দেশে পতাকার প্রতি সম্মান জানায় তখন সেটি সেই দেশের গৌরব এবং মর্যাদার প্রতি ও সম্মান জানানো হয়ে থাকে। আর এই পতাকার প্রতি সম্মান জানানোর মাধ্যমে এক দেশ একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা সহযোগিতা জাগ্রত হয় ।

তাই কোন দেশে পতাকার প্রতি অসম্মান জানানোর মানেই হলো ওই দেশের প্রতি অসম্মান জানানো। যেটির মাধ্যমে পরস্পরের আশ্রদ্ধা এবং অসম্মান জাগ্রত হয়। ফলে সৃষ্টি হয় দ্বন্দ্বের সহিংসতার।

বিভিন্ন দেশের এবং সাংস্কৃতিক মানুষ একে অন্যের উপর শ্রদ্ধাশীল হলে বিষয়টি হয়ে উঠবে শান্তিময় এবং সুন্দর। এমনকি জাতিসংঘের মতো সংগঠনগুলো বিভিন্ন দেশে পতাকা প্রদর্শনের মাধ্যমে বিশ্ব শান্তি ঐক্য তুলে ধরে।

এ পৃথিবীতে কেউ কখনো একা থাকতে পারে না ঠিক একইভাবে কোন দেশ ও একা স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। তাই প্রত্যেকটা দেশের সাথে প্রতিটা দেশের সম্পর্কে স্থাপন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর ভারত হচ্ছে আমাদের প্রতিবেশী দেশ । এছাড়াও এটিকে আমাদের আদি ভূমি বলাও চলে। কেননা এক সময় আমাদের পূর্বপুরুষরা ওই দেশের অংশ ছিল এবং ভারত পাকিস্তান বাংলাদেশের তিনটি দেশ একত্রে ছিল কিন্তু দ্বন্দ্ব এবং বৈষম্যের কারণে পরবর্তীতে প্রতিটি দেশ সার্বভৌমত্ব অর্জন করে। এবং প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ইন্ডিয়া সব সময় বিভিন্নভাবে সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছে। এবং দুইটি দেশের মধ্যে খুব সুন্দর একটি সম্পর্ক হয়েছে। তাই সেই দেশের পতাকার প্রতি অবমাননা করা মানে সে দেশকে অসম্মান করা। যেটি কোনভাবেই কাম্য নয়।

পতাকার প্রতি সম্মান প্রদর্শন ভ্রাতৃত্ব একটা শক্তিশালী বার্তা দেয়। আর তাই কখনো এই ভ্রাতিত্ব অবমাননা উচিত নয়।

সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।

1000038736.webp


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আমাদের ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য, জীবন যাপন, সংস্কৃতি যে খুব আলাদা তা নয়। বাঙালিয়ানার ষোলয়ানা একই রকম। আমার ঠাকুমা দিদিমার কাছে গল্প শুনেছি, কিভাবে দুই ধর্মের মানুষ একসাথে থাকত। দেশভাগের পর তাদের কষ্ট, যেন নাড়ি ছিঁড়ে জোর করে নিজের মানুষকে পর করে দিল। ভাবালো ওরা কেউ আর আমাদের না। দুই পক্ষই ভাবছে৷ যে খেলার মাঠে সকলেই একসাথে খেলত ঘুড়ি ওড়াত তারা শত্রু হয়ে গেল। সৌন্দর্য আর রইল না। দিন দিন অসহিষ্ণু হয়ে রসাতলে তলিয়ে যাচ্ছি। এ যে জাতির লজ্জা, পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ একটা জাতিকে কী স্লো পয়জন করে শেষ করে দেওয়া হল। মানুষ কি বুঝবে না কোনদিন?

হ্যাঁ ভাই পতাকা একটি দেশের ঐতিহ্য সাংস্কৃতিক সবকিছু প্রকাশ করে। তাই প্রতিটা দেশের পতাকার প্রতি সম্মান জানানো উচিত। তাছাড়া কোন মানুষ যেমন নিজে থেকে সম্পূর্ণ নয় তেমনি কোনো দেশও নিজে থেকে সম্পূর্ণ নয় তাই প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে ভালো সম্পর্ক থাকা অতি জরুরী। হিংসা বিদ্বেষ ভুলে আবার সবাই এক হয়ে যাব এমনটাই আশা ব্যক্ত করছি।

আসলেই পতাকা যে কোন স্বাধীন দেশের ঐতিহ্য কে বহন করে। পতাকার অবমাননা করা কারোর ই উচিত না। এবং যারা এই বিষয় টি সমর্থন করেন, তারাও আসলে নিজেদের কে মানুষ বলে দাবী করার যোগ্য না।

তাই কোন দেশে পতাকার প্রতি অসম্মান জানানোর মানেই হলো ওই দেশের প্রতি অসম্মান জানানো।

ঠিক বলেছেন ভাই,সেজন্য পতাকার অবমাননা কোনো জাতি মেনে নিতে পারে না। এককথায় বলতে গেলে এটা একেবারে জঘন্যতম একটি কাজ। আমরা চাই বাংলাদেশ এবং ভারতের বন্ধন অটুট থাকুক। এতে করে উভয় পক্ষের-ই লাভ হবে। তাছাড়া উভয় দেশ উন্নতির শীর্ষে পৌঁছাতে পারবে। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

সবার সাথে সবার সুসম্পর্ক থাকাটা জরুরী। হিংসা বিদ্বেষ ভুলে সবাই এক হয়ে কাজ করলেই আসবে শান্তি। আসলে এই কাজটি করা ঠিক হয়নি এটা একটি জঘন্যতম কাজ। সবার সাথে সু-সম্পর্ক থাকলে এতে করে দেশও উন্নতি হবে। অনেক ধন্যবাদ পোস্টি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।