সুলতান ডাইনে একদিন।

in hive-129948 •  17 days ago 

আজ- ২৪শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, হেমন্তকাল


আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।




1000045600.jpg

কেমন আছেন সকলে? আশা করছি ভালো আছেন। আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। এই দুইদিন ধরে বেশ ভালোভাবেই শীত পড়ছে। আর এই হঠাৎ ঠান্ডা পড়াতে অসুস্থতা ও বেড়ে গিয়েছে অনেক খানি। আশেপাশে প্রত্যেকটা মানুষ অসুস্থ জ্বর, সর্দি, কাশিতে আক্রান্ত। এমনকি আমাদের বাসায় ও প্রত্যেকে অসুস্থ শুধু আমি বাদে। তবে এটা নিশ্চিত যে সবাই ভালো হতে না হতে আমিও অসুস্থ হয়ে পড়বো কেননা প্রত্যেকবারই এমনটা হয়ে আসছে। পরিবারের একজন যদি অসুস্থ হয়ে পড়ে তাহলে পুরো পরিবারের উপর সেই প্রভাবটা পড়ে।

যাইহোক চারিদিকে অসুস্থতার মধ্যেও চেষ্টা করছি যতটা সম্ভব নিজেকে সুস্থ রাখার। আসলে আমরা সুস্থতা নিয়ে যতই যত্নশীল কিনবা যতই যায় কিছু করি না কেন সুস্থতা অনেক বড় একটি নিয়ামত। আর এত বড় নেয়ামতটা আমরা তখনই বুঝতে পারবে যখন আমরা অসুস্থ থাকবো। অসুস্থ হলেই বোঝা যায় এই সুস্থতার মূল্য কতখানি।

যাইহোক আজ সকাল থেকে বেশ ব্যস্ততার মধ্যে ছিলাম। সকালে ঘুম থেকে উঠে তাড়াহুড়া করে নাস্তা করেই বেরিয়ে যেতে হয়েছে আদালত ভবনে। নাম সংশোধন সংক্রান্ত বিষয়ে মূলত ওখানে যাওয়া। কথা ছিল দশটার মধ্যেই ওখানে পৌঁছানোর তবে আমার সেখানে পৌঁছাতে পৌঁছাতে প্রায় এগারোটা বেজে গেছে । মানে নির্দিষ্ট সময় থেকে এক ঘন্টা লেট, তবে কি আর করার। আর এই লেট হওয়ার কারণে প্রতিটি কাজ করতেই লেট হয়ে গিয়েছে। এরপর ওখানে ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকা। যারা আদালতে গিয়েছেন তারা তো বুঝবেন এই সকল কাজগুলো করতে কতটা সময় সাপেক্ষ এবং কতটা ধৈর্যের ব্যাপার।

1000045599.jpg

সে সকাল 11 টা বাজে গিয়েছি আর চারটার দিকে বাসায় ফিরেছি। এরপর ওখানে দাঁড়িয়ে থাকা সব কিছু মিলে অনেকটা বিরক্তিকর অবস্থা। যেহেতু সকালে নাস্তা করে এগিয়েছি মাঝখানে আর কিছু খাওয়া হয়নি, তাই ফেরার পথে প্রচন্ড খিদে পেয়েছে। চিন্তা করলাম কাচ্চি খাওয়ার কথা।

1000045598.jpg

আগ্রাবাদ নেমেই সুলতান ডাইনে চলে গিয়েছে খেতে। তবে ওখানে গিয়ে আরেক বিপাকে পড়েছি। উনারা আবার ক্যাশ ছাড়া বিকাশ কিংবা কার্ড কোনভাবে পেমেন্ট নেয় না। এদিকে আমার কাছে ক্যাশ ছিল না। পরে অবশ্য কার্ডের মাধ্যমে ক্যাশ করে নিয়েছে।

1000045603.jpg

1000045602.jpg

যাই হোক আমি অর্ডার করেছিলাম এক প্লেট খাচ্ছি এরপর একটি রোস্ট। এবার ভার পেট খেয়ে দেয়ে বাসায় এসে আরামসে একটা ঘুম দেই। আর এই ঘুমে সন্ধ্যা সাতটা বেজে গিয়েছে। এরপর গরম পানি দিয়ে গোসলটা সেরে নিয়ে আর এখন অনেকটা ফ্রেশ লাগছে। সারাদিনের ক্লান্তিটা যেন এখানেই শেষ।

তো এই ছিল আজকে আমার সারাদিনের ছোট একটা জার্নি। আজকে তাহলে এখানেই বিদায় নিচ্ছি সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী দিন আবারও ভিন্ন কোন বিষয় নিয়ে আল্লাহ হাফেজ।

সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।

1000038736.webp


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

খিদের মুখে রেস্টুরেন্টে ঢুকে খেয়েছেন, বেশ ভালো কাজ করেছেন ভাই। নিজের জন্য সবসময় ভাবা দরকার বলে মনে হয়। নিজের জন্য ভালো খাওয়া, ভালো পড়াটা লাইফে খুব গুরুত্বপূর্ণ। আপনি সারাদিন কাজ করে যে গুছিয়ে বসে একটু ভালো করে খাওয়া দাওয়া করেছেন, এটাই সব থেকে বড় কথা। এভাবে ভালো থাকবেন সবসময়।

ভাই আদালত পাড়ায় যাইনি আর যাওয়ার ইচ্ছেও নেই, তবে সুলতান ডাইনে যাওয়ার ইচ্ছে আছে হি হি হি।

আসলেই ভাই আদালতে গেলে খুব বিরক্ত লাগে। যেকোনো কাজে গেলে সারাদিন পার হয়ে যায়। যাইহোক আদালতের কাজ শেষ করে সুলতান ডাইনে গিয়ে জমিয়ে খাওয়া দাওয়া করেছেন দেখছি। সুলতান ডাইনের কাচ্চি আমার খুব পছন্দ। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

বাহ দারুন কিছু খাওয়া দাওয়া করলেন আপনি। যেহেতু আদালতে গিয়েছিলেন নাম সংশোধনের জন্য। আসলে আমাদের সবার ক্ষেত্রে এমনই হয়। আমরা কখনো সঠিক সময়ে পৌঁছায় না। যাক অবশেষে আপনি ফ্রি হয়ে খাওয়া দাওয়া করে বাসায় ফিরলেন। শত ব্যস্ততার মাঝেও দারুন খাওয়া দাওয়া করলেন।

প্রথমেই আপনার পরিবারের সকলের জন্য দোয়া ও শুভকামনা রইলো যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠে সকলে এবং আপনিও যেন অসুস্থ না হন নতুন করে। সুলতান'স ডাইন এর কাচ্চি আমার ও ভীষণ পছন্দের। তবে সারাদিনের ক্লান্তি শেষে, আরামটাই ভীষণ জরুরী।