মজাদার সুজির হালুয়া তৈরির রেসিপি।

in hive-129948 •  2 years ago 

আজ- ৩রা, আশ্বিন |১৪২৯ , বঙ্গাব্দ | শরৎকাল |


আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।

আজ আমি আপনাদের সাথে সুজির হালুয়া রেসিপি শেয়ার করব।




20220918_134736_0000.png

কেমন আছেন সকলে নিশ্চয়ই ভালো আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আজ বেশ অনেকদিন পর আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি একটি নতুন রেসিপি নিয়ে। আসলে অনেকদিন হয়ে গেল কোন রেসিপি পোস্ট শেয়ার করা হচ্ছে না। তাই ভাবলাম আপনাদের সাথে আজ একটি রেসিপি পোস্ট শেয়ার করি। রেসিপিটি দুদিন আগে তৈরি করা হয়েছিল। যাইহোক, এই রেসিপিটা আমার খুবই পছন্দের। বিশেষ করে চালের রুটি দিয়ে সুজির হালুয়া খেতে বেশ ভালো লাগে। সাধারণত প্রত্যেক ঈদে কিংবা বিশেষ কোনো অনুষ্ঠানে আমাদের বাসায় সব সময় এই হালুয়া তৈরি করা হয়। এই হালুয়া তৈরির ক্ষেত্রে সুজির মধ্যে ঘি দেওয়ার কারনে এর টেস্টটা একটু ভিন্ন রকম আসে।

প্রয়োজনীয় উপকরণঃ


  • চিনি।
  • তরল দুধ।
  • লবণ।
  • ঘি।
  • বাদাম।
  • তেজপাতা।
  • কিচমিচ।
  • সুজি।


প্রস্তুত প্রণালীঃ


ধাপ-১ঃ

  • প্রথমে এক কাপ পরিমাণ সুজি নিয়ে নিব। এরপর সুজিগুলোকে ভালোভাবে টেলে নিব।

ধাপ-২ঃ


  • এরপর অন্য একটি পাত্রে আধা কেজি দুধ নিয়ে নিব এবং দুধগুলোকে ভালোভাবে গরম করে ঘন করে নিব। এরপর পরিমাণমতো কাজু, কিসমিস, বাদাম নিয়ে নিব এবং সেগুলোকে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখব এবং সে গুলোকে ছোট ছোট টুকরা করে কেটে নিব।

ধাপ-৩ঃ


  • এরপর একটি পাত্রে দুই চামচ ঘি দিব। ঘি গুলো কিছুটা গরম হওয়ার পর এর মধ্যে তেজপাতা দিয়ে দিব।

ধাপ-৪ঃ


  • তেজপাতা গুলোকে কিছুক্ষণ ঘিতে ভেজে নেওয়ার পর এর মধ্যে পূর্বে টেলে নাওয়া সুজি এবং কুচি করে রাখা বাদাম ও কিসমিস গুলো দিয়ে দিব। কিছুক্ষণ ধরে উপকরণগুলো কে ঘি এর সাথে ভালোভাবে ভেজে নিব।

IMG_20220916_191406.jpg

ধাপ-৫ঃ


  • ভেজে নেওয়া শেষে পূর্বে গরম করে রাখা তরল দুধগুলো এর মধ্যে দিয়ে দিব।

ধাপ-৬ঃ


  • এরপর স্বাদমতো চিনি এবং লবণ দিয়ে দিব।

ধাপ-৭ঃ


  • এটা সুজিগুলোকে কিছুক্ষণ রান্না করবো এবং যখন দেখব সুজিগুলো কিছুটা ঘন এরকম দেখতে হয়ে গিয়েছে তখন এটিকে নামিয়ে নিব।

IMG_20220916_191844.jpg

ধাপ-৮ঃ


  • এরপর রান্না শেষে হালুয়ার উপরে কাজু, কিসমিস দিয়ে ফ্রিজে কিছুক্ষণ ঠান্ডা করে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে মজাদার সুজির হালুয়া।

IMG_20220916_192330.jpg

IMG_20220916_192318.jpg

সকলকে ধন্যবাদ।


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

চালের রুটি দিয়ে সুজির হালুয়া খেতে সত্যি দারুন লাগে ভাইয়া। ঈদের সময় আমার বাসায় সুজির হালুয়া তৈরি করা হয়। তবে এছাড়াও মাঝেমাঝে তৈরি করা হয়। সুজির হালুয়া রেসিপি দেখে মন চাচ্ছে তৈরি করতে। ভাইয়া আপনার তৈরি করা এই রেসিপি দারুন হয়েছে। দেখতেও বেশ লোভনীয় লাগছে। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া অনেকদিন পর এই মজার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

This post has been upvoted by @italygame witness curation trail


If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness




CLICK HERE 👇

Come and visit Italy Community



উফফফ ভাইয়া কি রেসিপি শেয়ার করলেন। আমি অনেক বড় মিষ্টি প্রেমিক মানুষ। মিষ্টি যে কোন খাবার আমার খুব ভালো লাগে। আর এমন হালুয়া হলে তো কোন কথাই নেই। সকালে রুটির সাথে বা নাস্তা করার পর এই হালুয়া খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আমার আম্মু ঠিক এভাবেই হালুয়াটি প্রস্তুত করে। অসম্ভব ভালো লেগেছে আপনার রেসিপিটি ভাইয়া।ধাপ গুলো অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। অনেক ধন্যবাদ এবং সব সময় এমন মজাদার রেসিপি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করবেন এই আশা করছি। ভালো থাকবেন ভাইয়া এবং ভালোবাসা রইলো আপনার জন্য।

ভাইয়া, আমার ছেলে আয়ানের খুবই প্রিয় একটি খাবার আজ আপনি শেয়ার করেছেন। মজাদার সুজির হালুয়া ঘন দুধ দিয়ে তৈরি করলে তা খেতে সত্যি দারুন লাগে। আর সেই হালুয়াতে যদি ঘি যোগ করে দেয়া যায় তাহলে সেই হালুয়াতে ঘিয়ের ফ্লেভারটা অসাধারণ লাগে। আপনার তৈরি মজাদার সুজির হালুয়া দেখে ভীষণ খাওয়ার লোভ হচ্ছে। এত সুস্বাদু ও মজার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

হালুয়া কিন্তু গ্রাম অঞ্চলে এখনো আছে। আমাদের ঘরের এখনো মাঝে মাঝে চালের গুড়ি রুটি এবং হালুয়া রান্না করা হয়। তবে হালুয়া রান্না করার জন্য সুজি আগে টেনে নিতে হয় এটা আমি জানি না কারণ আমি নিজে কখনো রান্না করিনি। খুবই সুন্দরভাবে পরিবেশন করে রেখেছেন দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে। আপনি তো অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া চমৎকার রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।

একেবারে ঠিক বলেছেন ভাইয়া চালের রুটি দিয়ে সুজির হালুয়া খাওয়ার মজাটাই অন্যরকম। ঈদ যে কোন অনুষ্ঠানে আমাদের বাসায়ও এটি তৈরি করা হয় খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আর এটা ও ঠিক যে সুজির হালুয়াতে ঘি ব্যবহার করলে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়। তৈরির ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।

বাহ্ দেখতে বেশ সুস্বাদু লাগছে আপনার সুজির হালুয়া রেসিপিটি।সুজির হালুয়া চালের রুটি দিয়ে খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে।শবে বরাতের সময় আমাদের এলাকাতে প্রতি ঘরেই সুজির হালুয়া,আটার গোলা দিয়ে একপ্রকার চহি এবং চালের রুটি বানানো হতো।এখন তেমন একটা দেখা যায় না।ঈদের সময়ও পায়েস ও সেমাই এর সাথে সুজির হালুয়া বানানো হয়। আমারও রেসিপিটি খেতে খুবই ভালো লাগে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুস্বাদু ও মজাদার সুজির হালুয়া রেসিপিটি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভাইয়া।

একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া এই সুজির হালুয়া গুলো চালের রুটি দিয়ে কিংবা এমনি রুটি দিয়েও খেতে খুব ভালো লাগে। আমিও মাঝে মাঝে তৈরি করে খাই আর বিশেষ করে ঘি দেওয়ার কারণে এই সুজির টেস্টটা আসলেই বদলে যায় খুব ভালো লাগে খেতে। সুজিগুলোকে যত বেশি ভাজবো ততটাই টেস্ট বের হয় সুজির ভেতর থেকে সুন্দর একটা ঘ্রাণ বের হয় আর ঘির ভিতর দিলে আরো ভালো একটা ফ্লেভার পাওয়া যায়। খুব ভালো লাগলো ভাইয়া আপনার রেসিপিটি দেখে।

মহরমের কথা মনে পরে গেল ভাই। বিশেষ করে ঈদে ও মহরমের রুটি আর সুজির হালুয়া খাওয়া হয়। আপনার রেসিপি চমৎকার ছিল। তবে বাসায় তৈরি করার সময় আমরা সামান্য মসলার ব্যবহার করি।

Hi @moh.arif,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.

Come and visit Italy Community

হালুয়া গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী একটি খাবার। খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। চমৎকার করে করেছেন ভাই আপনি এই রেসিপিটি। তবে চালের আটা দিয়ে এটি খুবই খাওয়ার ইচ্ছে করে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।

কেন যেন আমার নিজের রান্না ভালো লাগে না , অন্যের রান্না দেখলেই খেতে ইচ্ছে করে। আপনার সুজির হালুয়া দেখে ইচ্ছে করছে এখনই এসে খেয়ে যাই। আর অনেক বেশি মজার হয়েছে কালার দেখেই আন্দাজ করা যাচ্ছে।

দিলেন তো মুখে পানি এনে চালের রুটি দিয়ে সুজি খাওয়ার কথা বলে। আগে সবে বরাতের সময় এই চালের রুটি দিয়ে সুজি খাওয়া হতো। এখন আর তেমনটা হয় না। তাই চালের রুটি দিয়ে আর সুজি খাওয়া হয় না। সুজির ভিতরে বাদাম এবং কিসমিস দিয়ে সুজির স্বাদ আরো বাড়িয়ে দিয়েছেন ভাইয়া। তাছাড়া উপরে বাদাম দিয়ে পরিবেশনাটাও খুব সুন্দর হয়েছে।

সুজির হালুয়া রেসিপি দেখে জিভে জল চলে এলো ভাইয়া। সুজির হালুয়া আমার কাছে রুটি সাথে খেতে অনেক ভালো লাগে। আপনার তৈরি রেসিপি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে দুর্দান্ত হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া মজাদার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল

ভাইয়া একদম ঠিক চালের রুটি দিয়ে সুজির হালুয়া খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। বিভিন্ন উৎসবের সময় আমরা এই আয়োজন করি। আমার কাছে তখন রুটি আর এই হালুয়া খেতে অনেক ভালো লাগে। গুঁড়া দুধ আর লিকুইড দুধ একসাথে মিলিয়ে এই হালুয়া তৈরি করলে খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। আপনার এই হালুয়া দেখে জিভে জল চলে আসল। অনেক দিন হয়ে গিয়েছে এভাবে হালুয়া খাওয়া হয়না।ধাপগুলি খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

চালের রুটির সাথে সুজির হালুয়া খাওয়ার মজাই অন্য। আমাদের বাড়িতে অবশ্যই মাঝে মধ্যেই সুজির হালুয়া তৈরি করে। কিন্তু ভাইয়া আপনি খুবই ইউনিক ভাবে সুজির হালুয়া তৈরি করেছেন। সুজির হালুয়ার কালার দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে অত্যন্ত সুস্বাদ এবং মজাদার ছিল।

ভাইয়া দুইদিন আগে কি কোন অনুষ্ঠান ছিল না কি এমনি তৈরী করেছেন। আর এরকম হালুয়া আমি খেয়েছি বাট আপনার হালুয়াতে কাজু, কিসমিস, বাদাম আর ঘি দেওয়ার কারনে দেখতে একটু সুন্দর লাগতেছে। ধন্যবাদ।

একটা সময় সুজির হালুয়া ছাড়া রুটিই খেতাম না, সকালের নাস্তা যেন অপূর্ণ থাকতো। কিন্তু সময় পাল্টে গেছে এখন আর সুজির হালুয়া খাওয়া হয় না সত্যি। বয়সের সাথে সাথে হয়তো রুচিরও পরিবর্তন ঘটে, তাই এখন রুটি না সকালে ভাত দিয়ে নাস্তা করি।

সুজি খেতে যে কোনো মুহূর্তেই ভালো লাগে। নিঃসন্দেহে এটা আমার প্রিয় একটা মিষ্টান্নর মধ্যে পড়ে। আপনি সুন্দর ভাবে কুচি বাদামের সাথে ঘি দিয়ে সুজিকে ভেজে খাবার টিকে আরো সুস্বাদু করে তুলেছেন। ভালো লাগলো আপনার রান্নার প্রসেস দেখে। সহজ সরল অথচ সুন্দর একটি মিষ্টান্ন রেসিপি পোষ্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।