গত এক মাসে করা আমার পাঁচটি রেসিপি পোস্ট এর রিভিউ।

in hive-129948 •  2 years ago  (edited)

আজ- ২৭ই, আশ্বিন , | ১৪২৯ , বঙ্গাব্দ | শরৎকাল ||


আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।

আজ আমি আপনাদের সাথে গত এক মাসে করা আমার পাঁচটি রেসিপি পোস্ট এর রিভিউ শেয়ার করব।




png_20221012_084458_0000.png

কেমন আছেন বন্ধুরা? আশা করি ভালই আছেন। আমিও বেশ ভাল আছি। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে আমার করা সকল রেসিপি পোষ্টের এর রিভিউ নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের সাথে।

আপনারা নিশ্চয়ই জানেন রেসিপি পোস্ট করতে আমার খুবই ভালো লাগে। তাই তো মাঝে মধ্যে একটু সময় এবং সুযোগ পেলেই বিভিন্ন ধরনের রেসিপি আপনাদের সাথে শেয়ার করি।

আমরা সকলে বাঙালি হলেও আমাদের অঞ্চল কিংবা এলাকাভেদে খাবারের ধরন কিছুটা ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। আর রেসিপি পোস্ট এর মাধ্যমে আমরা আমাদের সেই সকল ভিন্নধর্মী খাবার গুলো সকলের সামনে তুলে ধরতে পারি। এতে করে আমাদের অনেক ধরনের রেসিপি দেখা ও এবং শেখা ও হয়ে যায়।

যাইহোক, আমার গত একমাসে মোট পাঁচটি রেসিপি শেয়ার করা হয়েছে। আর এখানে শেয়ার করা প্রত্যেকটি রেসিপি আমার খুবই পছন্দের। তবে খিচুড়ি এবং নুডুলস একটু বেশি পছন্দের । আপনাদের কার কোন রেসিপিটি সবথেকে ভালো লেগেছে তা নিশ্চয় জানাবেন কমেন্ট করে।

মজাদার সুজির হালুয়া তৈরির রেসিপি।


JvFFVmatwWHRfvmtd53nmEJ94xpKydwmbSC5H5svBACH7xqRa9GcMQA8Vr3hFo2wjXT6ckdFMF5Tio4QtVsRYbfD4XNDGAMA6wWKuTh96yaGBvJmEWHCZDx1eQxsQ1YXztQzyVtUva.jpeg


এই সুজির হালুয়াটি আমার খুবই পছন্দের। শবে বরাতের সময় চালের রুটি এবং এই সুজির হালুয়া তৈরি করা হয় আমাদের বাসায় প্রত্যেক বছর। এই হালুয়া এবং রুটিগুলো আশেপাশে পড়া প্রতিবেশীদেরকে ও দাওয়া হয়। এ সুজির হালুয়া টি এমনিতেই খাওয়া যায়। তবে চালের রুটি দিয়ে খেতে বেশ মজাই লাগে। এ হালুয়াটিতে ঘন গরুর দুধ এবং ঘি ব্যবহার করার কারণে খুব সুন্দর মিষ্টি একটা ঘ্রাণ বের হয়। এই সুজির হালুয়াটিকে চাইলে বেশ ঘন করে রান্না করা যায় তবে আমার কাছে পাতলা করে খেতেই বেশি ভালো লাগে ।

পোস্টটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।

এগ নুডুলস তৈরির রেসিপি।


32FTXiZsHoAW6noHJDhrg3W8ZKHVFSsLYM859aTDCF8iErExHGMygLJXv4qRztHysSQvyzn9rofu4JqyZKZpetptvaepsJxjmkda3T7L9a3AxGutnUmTobtRriEgDb7GG1ecsvg25iQPGA4W.jpeg


মুখরোচক এবং সহজে তৈরি করার মত বিকেলের অন্যতম একটি নাস্তা হচ্ছে নুডুলস। সকলেই মোটামুটি নুডুলস রান্না করতে পারে। তবে আমি সাধারণত যে পদ্ধতিতে নুডুলস রান্না করি সে রেসিপিটাই আপনাদের সাথে এখানে শেয়ার করেছি। এ পদ্ধতিতে নুডুলস রান্নাটা আমার খুবই পছন্দের। এবং এটি খেতেও খুব সুস্বাদু। অনেকটাই রেস্টুরেন্টের নুডুলস গুলোর মত খেতে।

পোস্টটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।

ভুনা খিচুড়ি তৈরির রেসিপি।


32FTXiZsHoAW6noHJDhrg3W8ZKHVFSsLYM859aTDCF8iErFoAca4ABuEs2h5MFJpAzNrLrQmeiY8canjCsWTV2NLLLsmebBQ2N9qa6PDmaU6zeAyez1iKcZ7qTnhzESwJy9yYh9PPkp4jS5U.jpeg


বৃষ্টিভেজা একটি ওয়েদারে এক প্লেট ভুনা খিচুড়ি সঙ্গে সালাত কিংবা আচার এবং ভাজা মাছ অথবা মাংস হলে মন খুশি করার কোনো বাধাই থাকেনা । সাধারণত বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই খিচুড়ি রান্না করা হয় মসুরের ডাল দিয়ে তবে আমার কাছে মুগের ডালের এই খিচুড়িটা বেশ ভালো লাগে। এই খিচুড়িটা বেশ ঝরঝরে হয় এবং বিরানির মত টেস্ট পাওয়া যায় কিছুটা।

পোস্টটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।

সবজির পাকোড়া তৈরির রেসিপি।


32FTXiZsHoAW6noHJDhrg3W8ZKHVFSsLYM859aTDCF8iErKGJB1yj9JzjGuF5iDmiWYuxvWWND93hbhTXL7yCxARVfpzAQpcME3PEP6Hoi5YuMCEuWAb6aDhZniNwuR6qDSTxxjM5UBufDaE.jpeg


সবজির পাকোড়া বলতে আমরা অনেক ধরনের সবজি দিয়েছে যে পাকোড়া টি তৈরি করা হয় সেটিকে বুঝিয়ে থাকি। তবে সব সময় তো আর সব ধরনের সবজি বাসায় থাকে না তাই মাত্র দুইটি সবজি দিয়ে কিভাবে পাকোড়া তৈরি করা যায় সে রেসিপিটা এখানে শেয়ার করেছি। এই পাকোড়া গুলো খেতে খুবই মজা । এই পাকোড়ার উপরের অংশটি মুচমুচে এবং ভিতরে অংশটি নরম থাকে।

পোস্টটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।

চিকেন বিরিয়ানির রেসিপি।


32FTXiZsHoAW6noHJDhrg3W8ZKHVFSsLYM859aTDCF8iErFrG7vKjadaCpkK5iCSvRTyhCihCB8hXaKLgfBgmRQYFQhWCpR5agzndBPBaDyQUEZNE3MCz7t4W8tg7YSBuWsh1qKjKKPkGDVQ.jpeg


এই বিরিয়ানির রেসিপিটি আপনাদের সাথে কিছুদিন আগেই শেয়ার করেছিলাম। এই চিকেন বিরানি আমার খুবই পছন্দের। বিশেষ করে আচার এবং সালাদের সাথে বিরানি খেতে আমার খুবই ভালো লাগে।

পোস্টটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।

সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আশা করি ভাইয়া ভালো আছেন? আপনার গত এক মাসের রেসিপি গুলো দেখে সত্যি খুব ভালো লাগলো। প্রত্যেকটি রেসিপি পোস্ট আপনার খুবই দুর্দান্ত হয়েছে। বিশেষ করে সুজির হালুয়া ও ভুনা খিচুড়ি দেখে খুব ভালো লাগলো। আসলে আপনার রন্ধন প্রক্রিয়ার উপস্থাপন খুবই অসাধারণ হয়ে থাকে। এত চমৎকার রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।

ভাইয়া আপনি একদম ঠিক বলেছেন আমরা বিভিন্ন অঞ্চলে বসবাসকরী। তাই আমাদের খাবারের মাঝেও বেশ ভিন্নতা রয়েছে। তবে সবার শেয়ার করা রেসিপি গুলো দেখে দেখে আমরাও ভিন্ন ধরনের খাবারগুলো সম্পর্কে ধারণা পাচ্ছি এবং শিখে নিতে পারছি। ভাইয়া আপনার শেয়ার করা প্রত্যেকটি রেসিপি অনেক ভাল ছিল। তবে সবজির পাকোড়া এই রেসিপিটি আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। বিভিন্ন রকমের পাকোড়া খেতে আমার বেশ ভালো লাগে। আর নুডলস ও খিচুড়ি তো সবারই প্রিয়। বিরিয়ানি হলে তো কথাই নেই।😋😋

ভাইয়া আপনার গত এক মাসের করা রেসিপি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো ৷ আসলে আমি মনে হয় তিনটি পোষ্ট দেখেছিলাম৷ আজ একসাথে রেসেপি গুলো সত্যি অনেক ভালো লাগলো ৷ মজাদার সুজির হালুয়া রেসেপি আহা না জানি টেস্ট কতটা ৷
ধন্যবাদ ভাই রেসেপি গুলো শেয়ার করার জন্য ৷

আজকে ইউনিভার্সিটি থেকে এসে দুপুরের খাওয়া-দাওয়া করতে খুব দেরি হয়ে গেছে। মাত্র খাওয়া শেষ করে আপনার পোস্টটি দেখছি। কিন্তু মনে হচ্ছে আমার আবার ক্ষুধা লেগে গেল। এত মজাদার রেসিপিগুলো। আমাকে কিন্তু অবশ্যই একদিন আপনার বাসায় দাওয়াত করে খাওয়াবেন ভাইয়া। পাঁচটি রেসিপি দুর্দান্ত। কোনটার সাথেই কোনটার তুলনা হয় না। অনেক ভালোবাসা রইলো আপনার জন্য।

গত মাসের পাঁচটি রেসিপি অনেক বেশি ইউনিক ছিল। বিশেষ করে চিকেন বিরিয়ানি আর সবজি পাকোড়া আমার কাছে বেশি ভালো লেগেছিল। আপনি খুব সুন্দর ভাবে রেসিপিগুলো উপস্থাপনা করেছিলেন। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর সুন্দর রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

ভাই আপনি দেখছি রান্নার কারিগর। আলাদা আলাদা রেসিপি গুলো দেখে হয়তো অতটা বুঝতে পারেনি আজ সবগুলো একসাথে দেখেই বুঝতে পেরেছি আপনি কত ধরনের কত স্পেশাল ভাবে রান্না করতে জানেন। ইস আমি এখন বৃষ্টিতে সামনে নিয়ে বসে আছি এমন সময় যদি ভুনা খিচুড়ি খেতে পারতাম। সুজির হালুয়া গুলো দারুন হয়েছে, সবগুলো রেসিপি যথেষ্ট ভালো লাগছে।

সবগুলো রেসিপির মধ্যে আমার প্রিয় একটি রেসিপি হলো এই চিকেন বিরিয়ানীর রেসিপিটি,দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে।

চমৎকার ছিল ভাই আপনার গত মাসের পাঁচটি রেসিপি। গত মাসে আপনার দুটি রেসিপি আমি দেখেছিলাম। আজকে আপনার রিভিউ পোস্ট ে পাঁচটি দেখা হয়ে গেল। গত মাসের রেসিপি গুলো রিভিউ দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।

প্রতিটি রেসিপিই বেশ লোভনীয়।কোনটা রেখে কোনটা ভালো বলবো বুঝে উঠতে পারছি না।যাই হোক,
তবে আমার কাছে বেশি ভালো লেগেছে বিরিয়ানি টা।ভালো লাগলো।ধন্যবাদ

ভাইয়া,আমারও রেসিপি পোষ্ট গুলো করতে খুব ভাল লাগে।নতুন নতুন খাবার তৈরি করতে আর খেতে খুব ভাল লাগে।ভাইয়া, এটা ঠিক কথা অঞ্চলভেদে খাবারের ধরণ টা একটু ভিন্ন হয়ে থাকে। ভাইয়া, গতমাসে আপনার রেসিপি পোষ্ট গুলো আমি দেখতে পাইনি, এবার আপনার রেসিপি পোস্টের রিভিউ গুলো দেখে সত্যিই খুব লোভ লাগছে। মাছ ভাজা অথবা মাংসের সাথে ভুনা খিচুড়ি হলে আর কিছুই লাগে না😋 ধন্যবাদ ভাইয়া, রেসিপি পোস্টের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

আমরা বাঙালি আর বাঙ্গালীরা সবসময় খেতে পছন্দ করে। পাঁচটি রেসিপির মধ্যে আমার সব থেকে প্রিয় হলো, খিচুড়ি এবং সবজির পাকোড়া।তবে সত্যি কথা বলতে সবগুলো খাবার ছিল খুব লোভনীয়। তবে ভাই ঝাল জাতীয় খাবার খাওয়ার পরে মিষ্টি না খেলে আমার ভাল লাগে না। তাই আপনার সুজির হালুয়া টাও আমার খেতে ইচ্ছে করছ।

দাদা আজকে আপনি কত মাসের রেসিপি পোস্ট গুলো একসাথে শেয়ার করবেন। আপনার প্রত্যেকটা রেসিপি পোস্ট আমি দেখেছিলাম। তার মধ্যে ভুনা খিচুড়ি রেসিপি আমার কাছে খুবই ভাল লেগেছিল এবং চিকেন বিরিয়ানি রেসিপি দেখে যেন খেতে ইচ্ছা করলো। আজকে একসাথে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

একদম ঠিক ভাইয়া,এলাকাভেদে খাবারের ধরন কিছুটা ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে।তাছাড়া রান্নার ধরন ও আলাদা হয়ে থাকে।সুজির হালুয়াতে ঘি দিলে দারুণ ফ্লেবার পাওয়া যায়, তবে আমার কাছে সবথেকে বেশি ভালো লেগেছে আপনার এগ নুডুলস ।এছাড়া প্রত্যেকটি রেসিপি সুন্দর ছিল, ধন্যবাদ আপনাকে।