শীতের রাতে বন্ধুদের সাথে আগুন তাপানোর গল্প //পর্ব -১

in hive-129948 •  5 months ago 

আসসালামু-আলাইকুম/আদাব।

হ্যালো বন্ধুরা, আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন।হ্যাঁ, আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @mohamad786 🇧🇩 বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগের সিরাজগঞ্জ জেলায় বাস করি।আমির সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজে অধ্যায়নরত আছি।

শীতের রাতে বন্ধুদের সাথে অনেক আনন্দময় মুহূর্ত আমরা উপভোগ করেছিলাম। তবে এই শীতের রাতে বাইরে প্রচন্ড ঠান্ডা থাকে। যার কারণে রাতের বেলা বাইরে বের হতে মন চায় না। তবে আমাদের গ্রামে শীতের মধ্যে সভার আয়োজন করা হয়। আর এই মাহফিলকে কেন্দ্র করে যেন উৎসবমুখর একটা পরিবেশ তৈরি হয়। আর এই মাহফিলকে কেন্দ্র করে মেলার আয়োজনে করা হয়। আর এই মেলাটা হয়ে থাকে শীতের মধ্যে কারণ শীতের মধ্যে মাহফিলের সময় অনেকেই একসাথে বসে মাহফিল শোনা হয়। আর তখন যেন গ্রামে মেহমান দিয়ে ভরে যায়। আর আমাদের গ্রামে যখন এই মাহফিলের আয়োজন করা হয়। তখন আশেপাশের বন্ধুরা আমাদের গ্রামে ঘুরতে আসে। আর সেই বন্ধুদের সাথে নিয়েই একটা শীতের রাত পার করেছি। সেই রাতের গল্পই আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে আসলাম। আশা করছি গল্পটি ভালো লাগবে।


tree-736877_1280.jpg

Source

আমাদের গ্রামে একটি মাদ্রাসা রয়েছে। সেই মাদ্রাসায় প্রতিবছরই মাহফিলের আয়োজন করা হয়। আর এই মাদ্রাসায় মাহফিলকে কেন্দ্র করে উৎসব মুখের পরিবেশ তৈরি হয়। তো শীতের মধ্যে এই মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছিল। আর শীতের মধ্যে গ্রাম অঞ্চলের সকল মেহমান যেন চলে আসে। কারণ শীতের ভিতরে শীতের পিঠা খাবার ধুম পড়ে যায়। তাই আমরাও মাহফিলে এসেছি এবং আমার কয়েকজন বন্ধু আমাদের বাড়িতে এসেছে। এই বন্ধুদের সাথে নিয়ে আমি মাহফিলে চলে গিয়েছি। তো মাহফিলে বসে আমরা মাহফিল শুনতেছিলাম, কিন্তু তখন প্রচন্ড শীত আর এই শীতের ভিতরে বন্ধুরা বলেছে অনেকক্ষণ মাহফিল শুনেছি। এখন আমরা মেলার ভেতরে যাব। মেলার ভেতরে গিয়ে আমরা গুড়ে জিলাপি খাব। আসলে গরম গরম গিড়ের জিলাপি খেতে খুবই মজা লাগে। যার কারণে আমরা বন্ধুরা মিলে মাহফিল থেকে উঠে এসে মেলার ভিতরে আসলাম।


আমরা বন্ধুরা মিলে যখন মেলার ভিতরে আসলাম, তখন দেখতে পেলাম মেলার ভিতরে মানুষ আর মানুষ। মাহফিলে আর কয়জন সকল মানুষ। সব যেন এই মেলার ভিতরে, বড় থেকে ছোট সকলেই এই মেলার ভিতরে ঘোরাফেরা করছে। আর মেলার ভিতরে অত শীত নেই। কারণ মেলার ভিতরে সব সময় লাইটের আলো এবং মানুষজনের ভিড় বেশি। তারপরে আমরা বন্ধুরা মিলে মেলার ভিতরে ঘুরতে লাগলাম এবং মেলার ভিতরে দেখতে পেলাম নাগরদালাও এসেছিলো।আসলে এ যেন একটা উৎসবমুখর পরিবেশ। মনে হচ্ছিল না যে এটা মাদ্রাসার মাহফিলের আয়োজন। তাই বন্ধুরা বলল যে আসলেই তো তোদের গ্রামে অনেক বড় আয়োজন করা হয়ে থাকে।


bonfire-1867275_1280.jpg

Source

তারপরে আমার বন্ধুরা বলল যে আমরা গুড়ের জেলাপি কিনে নিয়ে এসে মাদ্রাসার মাঠের ভিতরে যাব। আসলে মাদ্রাসার মাঠের বসে থাকার অনেক সুন্দর জায়গা রয়েছে। এবং নিরিবিলি পরিবেশ। সেখানে গিয়ে আমরা এই গুড়ের জিলাপি খাবো। তাই আমরা দেখতে পেলাম মেলার এক কোণে গরম গরম গুড়ের জিলাপি বিক্রি করছে। আসলে চিনি ও গুড়ের দুটি জিলাপি বিক্রি করা হয়। গ্রাম অঞ্চলে বিশেষ করে গেড়ের জিলাপির প্রতি চাহিদা থাকে বেশি। আর গরম গরম গুড়ের জিলাপি খেতে মজা লাগে। তাই আমরা সেই মেলার ভিতরে চার বন্ধু মিলে আমরা জেলাপি কিনলাম। আসলে গুড়ের জিলাপির দাম তখন কম ছিল, এক কেজি ঘুরে জিলাপি ছিল মাত্র ৫০ টাকা। আমরা দুই কেজি ১০০ টাকা দিয়ে কিনে চার বন্ধু মিলে মাদ্রাসার মাঠের ভিতরে আসলাম।


তো আমরা যখন জিলাপি কিনে নিয়ে মাদ্রাসার মাঠের ভিতরে আসলাম। মাদ্রাসার মাঠের এক পাশে দেখতে পেলাম একটা খরের পালা রয়েছে। আর এই পালা থেকে আমরা খর নিয়ে এসে গোল হয়ে বসলাম এবং মাঝখানে আমরা আগুন জ্বালালাম। আসলে শীতের সময় মাঝখানে আগুন জ্বালিয়ে চারপাশে বসে থাকার মুহূর্তটা অসাধারণ। এই মুহূর্তটা আমরা তৈরি করার জন্যই খর আর শুকনা বাঁশ জোগাড় করে নিয়ে আসলাম এবং অন্যান্য কিছু কুঠুরি নিয়ে এসে আগুন জ্বালালাম এবং আমরা চারপাশে বসে এই জিলাপি খাওয়ার আয়োজন করলাম।


তারপরে আমরা খড় কুটো আর শুকনো বাঁশ দিয়ে মাঝখানে আগুন জ্বালিয়ে চারপাশে বসে জিলাপি খাচ্ছিলাম। আসলে শীতের রাতে যদি আগুন জালানো থাকে আর গরম গরম জিলাপি খাওয়ার সেই মুহূর্তটা অসাধারণ লাগে। বিশেষ করে কুয়াশা মাখা চারপাশের দৃশ্য আর আমরা চার বন্ধু মিলে এত সুন্দর আয়োজন ওদিকে মাহফিলে ওয়াজ হচ্ছে। সেগুলো আমরা শুনতে পাচ্ছিলাম। তো সেই মুহূর্তটা অসাধারণ ছিল। বিশেষ করে বন্ধুদের সাথে এই মুহূর্তটা আমরা আনন্দের সাথে উপভোগ করতে ছিলাম। তো আনন্দের সাথে উপভোগ করতে করতে শেষমেষ একটা বিপদ আমাদের সামনে আসে। তো বন্ধুরা আজকের পর্বে এখানে শেষ করছি। আশা করছি আগামী পর্ব পড়ার জন্য আপনারা অপেক্ষা করবেন এবং কি বিপদ হয়েছিল সেই অংশটুকু আগামী পর্বে আপনাদের মাঝে শেয়ার করবেন ইনশাআল্লাহ।


আজ এখানেই শেষ করছি। অন্য কোন একদিন ভিন্ন ধরনের কনটেন্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব। ততক্ষন পর্যন্ত আপনারা সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।

standard_Discord_Zip.gif

আমার পরিচয়

IMG_20230821_180423.jpg

আমার নাম মোঃ ফয়সাল আহমেদ ।আমি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাস করি। আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমিকে খুবই ভালোবসি ।আমি সর্বদাই গরীব-দুঃখীদের সেবায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং নতুন সৃজনশীলতার মাধ্যমে কিছু তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।এই ছিল আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়, আপনারা সবাই আমার পাশে থেকে আমাকে সাপোর্ট দিয়ে উৎসাহিত করবেন, ধন্যবাদ সবাইকে।

Amar_Bangla_Blog_logo_png.png

👉বিশেষভাবে ধন্যবাদ সকল বন্ধুদের যারা এই পোস্টকে সমর্থন করছেন🌺🌹🌺

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

image.png

মাদ্রাসায় মাহফিলকে কেন্দ্র করে উৎসব মুখোর পরিবেশ তৈরি হয় এবং আপনারা বন্ধুরা মিলে মাহফিলে গিয়েছে এবং গুড়ের জিলাপি কিনে খেলছেন। শীতের সময়ে আগুন পোহানো গ্রামের মানুষের একটি চিরচেনা পদ্ধতি। খরকুটো দিয়ে আগুন পোহায়ও শীত নিবারন করে থাকেন। আপনারাও মজা করে জিলাপি খেয়েছেন এবং আগুন তাপিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপনাকে পোস্ট টি ভাগ করে নেয়ার জন্য।

আসলে শীতের রাতে যদি আগুন জালানো থাকে আর গরম গরম জিলাপি খাওয়ার সেই মুহূর্তটা অসাধারণ লাগে।

ভাই শীতকালে এর থেকে আনন্দের আর কি হতে পারে! এটা ঠিক যে, খড় কুটো আর শুকনো বাঁশ দিয়ে মাঝখানে আগুন জ্বালিয়ে চারপাশে সবাই মিলে বসে গরম গরম জিলিপি খাওয়ার মজাই অসাধারণ। ছোটবেলা যখন আমি গ্রামে থাকতাম এরকম আগুন জ্বালিয়ে আমরা চারপাশে বন্ধুরা একসাথে বসতাম। যাইহোক, এই আনন্দ করতে করতে আপনাদের সাথে কি বিপদ ঘটেছিল, সেটা যদিও এই পর্বে জানতে পারলাম না। এখন দেখা যাক, পরবর্তী পর্বে এই বিষয়টি সম্পর্কে কতটুকু কি জানা যায়।

ভাইয়া আজ আপনি খুব সুন্দর একটি পোস্ট নিয়ে আমাদের মাঝে হাজির হয়েছেন। আপনার লেখা পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। শীতের দিনে আগুন তাবানোর মজাই আলাদা। আমার তো বেশ ভালো লাগে। আপনিও আপনার বন্ধুরা মিলে গুড়েল জিলাপি কিনে মাদ্রাসার মাঠে গিয়ে খেয়েছেন এবং আপনারা সেখানে খুব সুন্দর একটা সময় অতিবাহিত করেছেন। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।