হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন। হ্যাঁ, আমিও ভালো আছি।আজ আমি আপনাদের মাঝে একটি ভিন্নধর্মী ব্লগ নিয়ে হাজির হলাম।আজকের ব্লগে আমার জীবনের স্বর্ণালী সময়ের কথা তুলে ধরব।তাই আজকের ব্লগটি খুবই স্পেশাল হতে যাচ্ছে।আশা করছি সম্পূর্ণ ব্লগে আপনারা আমার পাশে থাকবেন।চলুন তাহলে আমার জীবনের স্বর্ণালী সময়ের কথা শুরু করি...
সবুজ কানন স্কুল- আমার স্বর্ণালী জীবন
সিরাজগঞ্জ শহরের অন্যতম প্রখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে সবুজ কানন স্কুল এন্ড কলেজ আজও আমার জীবনে এক বিশেষ স্থান অধিকার করে আছে। শহরের ঠিক মাঝখানে অবস্থিত এই স্কুলে আমি ক্লাস ওয়ান থেকে টেন পর্যন্ত পড়াশোনা করেছি। সবুজ কানন স্কুলের প্রতিটি কোনায় কোনায় আমার হাজার হাজার স্মৃতি জড়িয়ে আছে, যা আজও আমাকে নাড়া দেয়। প্রতিদিনের ছোট ছোট ঘটনা, বন্ধুবান্ধবদের সাথে কাটানো মুহূর্তগুলো, স্কুলের সাদা দেওয়াল, সবকিছু আজও মনের কোণে উজ্জ্বল হয়ে আছে।
আজও যখন চোখ বন্ধ করি, তখন একটুও বিস্মিত হই না। মনে হয়, কিছুদিন আগেই আমি আম্মুর হাত ধরে স্কুলের ড্রেস পরেই সবুজ কানন স্কুলে গিয়েছিলাম। সেই দিনগুলো কিভাবে চলে গেলো, একে একে ১০টি বছর, তা এখনো আমার কাছে রহস্যময়। তবুও আমি নিশ্চিত, জীবনটাই যেন এক স্বপ্নের মতো ছিল। সে সময়ে কাটানো সবদিনগুলো একেবারে স্বর্ণালী সময় ছিল, যা কখনও ভুলতে পারব না। স্কুলের অভ্যন্তরীণ পরিবেশ, শিক্ষকদের মুখাবয়ব, বন্ধুদের সাথে আড্ডা—সব কিছু যেন এখনো জীবন্ত। সবুজ কানন স্কুলে পড়াশোনা শেষ করার পর মনে হয়েছিল যেন জীবনের সাথে সম্পর্কিত প্রতিটি ভালো মুহূর্ত চলে গেছে, আর কিছুই অবশিষ্ট রইল না।
সবুজ কানন এখন আমার জীবনের এক চিরকালীন স্মৃতি। স্কুলের সামনের রাস্তা, স্কুলের গেট, মাঠ, ক্লাসরুম—সবকিছু যেন এক এক টুকরো স্মৃতি, যেখানে আমি ভরা মন দিয়ে কাটিয়েছি আমার সেরা সময়গুলো। যে বিদ্যালয়ে দীর্ঘ ১০টি বছর কাটিয়েছি, সে স্কুলটি এখন আমার জীবনের সবচেয়ে মধুর অতীত। আজও মনে পড়ছে, কীভাবে স্কুলের গেটে ঢুকতাম, ক্লাসে গিয়ে বেত দিয়ে শাস্তি খেতাম, আবার শিক্ষকদের কাছ থেকে কিছু না কিছু শিখতাম।
তবে, সবুজ কানন শুধু একটা স্কুল নয়, একটি স্বপ্নের জায়গা, যেখানে প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রী শিক্ষার পাশাপাশি জীবনের নানা মূল্যবান অভিজ্ঞতা লাভ করে। শিক্ষকদের আন্তরিকতা, বন্ধুত্বের সংহতি, সহপাঠীদের হাসি—এসব আমাকে শিখিয়েছে, জীবনে কীভাবে চলতে হয়। স্কুলের সেই স্মৃতিগুলো শুধুমাত্র আমার নয়, আমার প্রজন্মের প্রতিটি বন্ধুরও জীবনের অমূল্য রত্ন।
এখনো মনে আছে, ক্লাস ওয়ানে প্রথম যখন পা রেখেছিলাম, তখন কী ভয় পেতাম স্কুলের পরিবেশে। তবে, কিছুদিনের মধ্যেই শিক্ষকদের উৎসাহে, বন্ধুদের সান্নিধ্যে আমার ভয় দূর হয়ে গিয়েছিল। সবার মাঝে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল, আর স্কুলের প্রতিটি দিন ছিল আনন্দময়। সবুজ কানন স্কুলে পড়া শেষ হয়ে যাওয়ার পর মনে হয়েছিল, জীবনে যেন একটি বড় অংশ হারিয়ে গেল। স্কুলের সাথে কাটানো প্রতিটি মুহূর্তই আমাকে একজন ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়তা করেছে।
স্কুলের মাঠে খেলাধুলা, বন্ধুদের সাথে আড্ডা, বইপড়া—এসব ছিল আমার জীবনের অমূল্য সময়। যখনই স্কুলের গেটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকি, মনে হয় যেন অতীতের প্রতিটি মুহূর্ত ফিরে আসছে। ওই মুহূর্তগুলো জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সময় ছিল। ক্লাসরুমে শিক্ষকরা যে শিক্ষা দিতেন, তা শুধু পাঠ্যবইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতো না, বরং জীবনের নানা দিকেও আমাদের শিক্ষিত করতো।
সবুজ কানন স্কুলের দেওয়ালগুলোর এক এক ইট যেন আমার জীবনের অভিজ্ঞতা আর অনুভূতির সাক্ষী। প্রতিটি দিন, প্রতিটি সময় আমি যে পরিবেশে বড় হয়েছি, সে পরিবেশই আমাকে শিখিয়েছে, জীবনে কিছু অর্জন করতে হলে কতটা পরিশ্রম করতে হয়। সেই স্কুলের শিক্ষকেরা আমাকে শুধু পাঠ্যক্রমে সাহায্য করেননি, তারা আমাকে জীবনের নানা জটিলতাও বুঝিয়েছেন। তারা আমাকে শেখান, যে কোনো বাধা আসুক, তাকে পার করতে হবে, আর কখনো হাল ছেড়ে দিতে হবে না।
আমার জীবনের সবচেয়ে সুন্দর মুহূর্তগুলো আমার স্কুলের সাথেই জড়িয়ে। শিক্ষক-শিক্ষিকা, বন্ধু-বান্ধব, সহপাঠীরা—সবাই আমার জীবনের অংশ হয়ে গেছে। প্রতিটি স্মৃতি, প্রতিটি ঘটনা আজও মনে পড়লে আমার চোখে অশ্রু চলে আসে। যে বন্ধুত্বগুলো স্কুল জীবনে তৈরি হয়েছে, সেগুলো আজও জীবনের অমূল্য রত্ন। আমি বিশ্বাস করি, জীবনে কখনো যদি আবার ছোট হতে পারতাম, তাহলে নিশ্চয়ই সেই সোনালী সময়ে ফিরে যেতাম। আবারও সেই সবুজ কানন স্কুলে ভর্তি হতাম, যেখানে আমি শিখেছিলাম, জীবনের অর্থ কী এবং কিভাবে এগিয়ে যেতে হয়।
সবুজ কানন স্কুলে কাটানো সেই সময়গুলো আর কখনো ফিরে পাব না, তবে সেই সময়ের শিখন এবং শিক্ষা আমার সঙ্গে চিরকাল থাকবে। আমার জীবনের প্রতি মুহূর্তে সেই স্কুলের কিছু না কিছু স্মৃতি আমার সঙ্গে রয়ে যাবে। সবুজ কাননের প্রতি আমার যে অনুভূতি, তা পৃথিবীর কোনো ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। এই অনুভূতি আমি চিরকাল অনুভব করে যাব, যতদিন বাঁচব, ততদিন সবুজ কানন স্কুলের প্রতি আমার শ্রদ্ধা, ভালোবাসা অটুট থাকবে।
সবুজ কানন স্কুল আমার জন্য শুধু একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল না, এটি ছিল একটি পরিবারের মতো, যেখানে আমি বড় হয়েছি, শিখেছি, আর জীবনকে নতুনভাবে দেখেছি। জীবনের পথ চলতে চলতে, এই স্কুলের দেওয়া শিক্ষা, ভালোবাসা, সহানুভূতি আমার সঙ্গে থাকবে চিরকাল।
Device:Samsung A33 (5G)
আজ এখানেই শেষ করছি। অন্য কোন একদিন ভিন্ন ধরনের কনটেন্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব। ততক্ষন পর্যন্ত আপনারা সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।
ফোনের বিবরণ
মোবাইল | Samsung A33 (5G) |
---|---|
ধরণ | "সবুজ কানন স্কুল- আমার স্বর্ণালী জীবন" |
ক্যমেরা মডেল | A33 (48+8+5+2) |
ক্যাপচার | @mohamad786 |
অবস্থান | সিরাজগঞ্জ- বাংলাদেশ |
X-Promotion
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit