ঢাকার মোহাম্মদপুর টাউনহলের পাশেই আমার বাসা। সংসদ ভবনের মেইন ফটকে পৌঁছাতে আমার সময় লাগে মাত্র ১০ মিনিট। ঢাকার মতো ব্যস্ত শহরে এত কাছে এমন একটি নিরিবিলি এবং মনোরম পরিবেশে সময় কাটানোর সুযোগ পেয়ে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে হয়। তাই অবসর পেলেই আমি সংসদ ভবনের সামনে চলে যাই। বিশেষ করে শুক্রবারের বিকেলগুলোতে এই জায়গার আকর্ষণ আমাকে বারবার টানে।
শুক্রবারের বিকেলগুলোতে সংসদ ভবনের সামনে হাজারো মানুষের ভিড় দেখা যায়। পরিবার নিয়ে বেড়াতে আসা মানুষ, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় মগ্ন দল, কিংবা একাকি সময় কাটাতে আসা কিছু মানুষ—সবাই মিলে এক অনন্য পরিবেশ তৈরি হয়। রাস্তার ধারে সারি সারি ফুড কোর্টগুলো যেন মানুষকে আরও বেশি আনন্দে মেতে ওঠার সুযোগ দেয়। ফুচকা, চটপটি, গ্রিল, কাবাব কিংবা ঠান্ডা পানীয়—সবকিছুই পাওয়া যায় এখানে।
এই শুক্রবারের কথা বলি। আমি, আমার বড় ভাই আর এক বন্ধু মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম সংসদ ভবনের সামনে সময় কাটাবো। বিকেলের রোদ নরম হয়ে আসার মুহূর্তে আমরা পৌঁছে গেলাম। চারপাশের সবুজ ঘাস, বিশাল ভবনের গঠন, আর রাস্তার ওপরে চলমান মানুষের ভিড়,সব মিলে জায়গাটা যেন এক অনন্য পরিবেশ তৈরি করে।
বড় রাস্তার ধারে আমরা বসে পড়লাম। এখানকার রাস্তা আমার খুব প্রিয়। এর প্রশস্ততা আর নির্মাণশৈলী একধরনের প্রশান্তি এনে দেয়। এখানে বসে মন খুলে আড্ডা দিলাম। চারপাশের পরিবেশ এতটাই প্রাণবন্ত ছিল যে সময় যেন থেমে গিয়েছিল। মানুষদের হাসি, শিশুদের খেলাধুলা, আর চেনা-অচেনা মানুষের গল্প,সব মিলে মুহূর্তগুলো অনেক আনন্দময় হয়ে উঠল।
আড্ডার ফাঁকে রাস্তার পাশে থেকে চটপটি আর ফুচকা খাওয়া হলো। সত্যি বলতে, এমন মুহূর্তগুলোতেই জীবনের প্রকৃত আনন্দ খুঁজে পাই। চারপাশের এত মানুষ আর তাদের কর্মকাণ্ড দেখে মনে হচ্ছিল যেন এই জায়গা এক জীবন্ত চিত্রকর্ম।
সংসদ ভবনের সামনে এমন বিকেল কাটানো সত্যিই অসাধারণ। এটি এমন একটি জায়গা, যেখানে আপনি প্রকৃতির সৌন্দর্য আর শহরের ব্যস্ততার মধ্যে একধরনের ভারসাম্য খুঁজে পাবেন। পরিবার, বন্ধু, বা একাকী,যেভাবেই যান, এই জায়গা আপনাকে নিরাশ করবে না।
যারা ঢাকার বাসিন্দা, বা যারা কখনো সংসদ ভবনের সামনে যাননি, তাদের বলি, একবার হলেও এখানে যান। এমন একটি জায়গা, যেখানে সময় কাটানো মানেই মন ভালো করা। আশা করি, এই ব্লগটি আপনাদের ভালো লেগেছে। যদি সময় পান, সংসদ ভবনের সামনে এমন একটি বিকেল কাটানোর পরিকল্পনা করেই ফেলুন।
প্রত্যেকটা ছবি তোলার লোকেশন এবং ডিভাইসের নামঃ
Device:Samsung A33 (5G)
আজ এখানেই শেষ করছি। অন্য কোন একদিন ভিন্ন ধরনের কনটেন্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব। ততক্ষন পর্যন্ত আপনারা সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।
ফোনের বিবরণ
মোবাইল | Samsung A33 (5G) |
---|---|
ধরণ | "সংসদ ভবনের সামনে এক বিকেলের আড্ডা" |
ক্যমেরা মডেল | A33 (48+8+5+2) |
ক্যাপচার | @mohamad786 |
অবস্থান | ঢাকা - বাংলাদেশ |
X-Promotion
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সংসদ ভবনের সামনে সত্যি দারুন কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন। শহরে জীবনের ব্যস্ততা একটু দূরে রেখে এ ধরনের জায়গা গুলোতে সময় কাটাতে পারলে ভালোই লাগে। ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার ছিল। পরিবেশটা খুবই সুন্দর। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার কাটানো মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনি, আপনার বড় ভাই এবং আপনার এক বন্ধু মিলে সংসদ ভবনের সামনে দারুন সময় উপভোগ করেছেন। সেখানকার রাস্তা আপনার খুব প্রিয় জেনে ভালো লাগলো। সেখানে দারুন সময় উপভোগ করেছেন তা বুঝতে পারলাম। এরকম সুন্দর জায়গায় সময় কাটাতে কার না ভালো লাগে। সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বাহ্ ভাই সংসদ ভবনের সামনে তিনজন মিলে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন জেনে খুব ভালো লাগলো। আমার বাসা থেকে সংসদ ভবনের দূরত্ব খুব একটা বেশি না আমি মাঝেমধ্যে এই জায়গাতে গিয়ে আপনাদের মত সুন্দর সময় অতিবাহিত করি। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে বিস্তারিত ভাবে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit