প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি একটি লাইফস্টাইল পোস্ট শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। আমরা সবাই জানি যে গত বৃহস্পতিবার ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হয়েছে। তো এই পোস্টটি ঈদের দিন শেয়ার করার ইচ্ছে ছিলো। তবে গত বৃহস্পতিবার আমি একটি লাইফস্টাইল পোস্ট শেয়ার করেছিলাম এবং সেই পোস্টটি আগেই লিখে রেখেছিলাম। তাই পোস্ট ভ্যারিয়েশন ঠিক রাখার জন্য আজকের এই পোস্টটি আমি গত সপ্তাহে শেয়ার করতে পারিনি। তাই এই পোস্টটি আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। মাঝেমধ্যে টাইট শিডিউলের জন্য কিছু কিছু পোস্ট করতে দেরি হয়ে যায়। যাইহোক মূল কথায় ফেরা যাক,প্রতি বছর আমরা দুটি ঈদ পালন করে থাকি। একটি হচ্ছে ঈদুল ফিতর এবং একটি হচ্ছে ঈদুল আজহা।

তো ঈদের দিন আমাদের সর্বপ্রথম কাজ হচ্ছে ফজর নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের নামাজ আদায় করা। তো ঈদের নামাজ ঈদগাহে আদায় করতে আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। কিন্তু আমাদের মসজিদের ঈদগাহ নেই বলে, আমি প্রথমে ভেবেছিলাম কেন্দ্রীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে গিয়ে ঈদের নামাজ আদায় করবো। কিন্তু পরবর্তীতে সেটা আর হয়ে উঠেনি। কারণ অন্য কেউ যেতে আগ্রহ দেখায়নি। তাই ভাবলাম একা একা যাবো না সেখানে। আর এমনিতেও চাঁদ রাতে ঘুম হয়নি আমার। তারপর ঈদের দিন ফজর নামাজ পড়ে মসজিদ থেকে বাসায় আসার পরেও ঘুম হয়নি তেমন। আর ঘুম কম হলে আমার সবকিছুই বিরক্ত লাগে। তো সবকিছু ভেবে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আমাদের মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করবো। সাধারণত বৃষ্টি হলে মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করলে ঠিক আছে, তাছাড়া ঈদগাহে ঈদের নামাজ আদায় করা উত্তম।

যাইহোক আমাদের মসজিদে ঈদের জামাআত ছিলো সকাল ৮.৩০ টা বাজে। তো আমি রেডি হয়ে ৮ টার আগেই বাসা থেকে বের হয়েছিলাম মসজিদে গিয়ে প্রথম কাতারে বসবো বলে। যখন বাসা থেকে বের হলাম,সাথে সাথে দেখা হয়ে গেলো এলাকার কয়েকজন ভাই ব্রাদারদের সাথে। তারা মূলত একটি ঈদগাহের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। তো তারা আমাকে বললো সেই ঈদগাহে যাওয়ার কথা। তাদের কথা শুনে আমিও রাজি হয়ে গিয়েছিলাম। কারণ আমার তো আগে থেকেই ইচ্ছে ছিলো ঈদগাহে গিয়ে নামাজ আদায় করার। তারা বললো সেই ঈদগাহে ঈদের নামাজ শুরু হবে সকাল ৯ টা বাজে। তো আমাদের হাতে তখন ১ ঘন্টা সময় ছিলো। তো আমিও তাদের সাথে রওনা দিয়েছিলাম সেই ঈদগাহের উদ্দেশ্যে। আর সেই ঈদগাহে যেতে মোটামুটি ৩০/৩৫ মিনিট সময় লেগেছিল অটোতে করে। তো যাওয়ার পর দেখলাম বিশাল বড় ঈদগাহ।

প্যান্ডেলের মধ্যে কিছু মুসল্লী বসে ছিলো। ঈদগাহের পাশেই একটি মাদ্রাসা রয়েছে। তো আমরা সবাই এক কাতারে পাশাপাশি বসলাম সামনের দিকে গিয়ে। ধীরে ধীরে মুসল্লীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছিলো এবং নামাজ শুরু হওয়ার আগেই পুরো ঈদগাহ একেবারে কানায় কানায় ভরে গিয়েছিল। ইমাম সাহেব বয়ান করছিলেন এবং মসজিদ কমিটির ২ জন লোক বক্তৃতা দিয়েছিলেন। ৯ টা বাজে জামাআত হওয়ার কথা থাকলেও, পরবর্তীতে ২০ মিনিট দেরি হয়ে যায়। যাইহোক ঈদের নামাজ আদায় করে ইমাম সাহেব খুতবা দিলেন। তারপর মোনাজাতের মাধ্যমে ঈদের নামাজ শেষ করলাম। এরপর সবাই কোলাকুলি করলো এবং এই ব্যাপারটা খুব ভালো লাগে আমার কাছে। ফাঁকে ফাঁকে আমি কয়েকটি ফটোগ্রাফি করেছিলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করতে। দীর্ঘদিন পর ঈদগাহে ঈদের নামাজ আদায় করতে পেরে সত্যিই খুব ভালো লেগেছিল। তাই ভাবলাম এতো সুন্দর অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করা দরকার। দক্ষিণ কোরিয়াতে যখন ছিলাম, তখন পাহাড়ের উপরে ঈদের নামাজ আদায় করতাম সবাই একসাথে। যাইহোক নামাজ শেষ করে ঈদগাহ থেকে বাসায় চলে এসেছিলাম।