প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত নিত্য নতুন পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করতে। সেই প্রেক্ষাপটে আজকে আবারো ভিডিওগ্রাফি পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি। অনেকের ভিডিওগ্রাফি পোস্ট দেখে আমি ভীষণ অনুপ্রাণিত হই প্রতিনিয়ত। আমরা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাই বা কোনো সুন্দর কিছু চোখে পরলে ফটোগ্রাফি করি সচরাচর। তবে অনেক সময় ফটোগ্রাফির মাধ্যমে সবকিছু তুলে ধরা সম্ভব হয় না। তাই মাঝে মধ্যে ভিডিওগ্রাফি করার প্রয়োজন হয়।

এই ভিডিওগ্রাফিটা আজকে সকালে নবীগঞ্জ ঘাট থেকে ক্যাপচার করেছিলাম। আসলে নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে নদীর অপরূপ দৃশ্য উপভোগ করার মজাই আলাদা। তাই বারবার ছুটে যাই শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে। যদিও আজকে প্রয়োজনীয় কাজেই নদীর পাড়ে গিয়েছিলাম। অর্থাৎ শীতলক্ষ্যা নদী পার হয়ে নারায়ণগঞ্জের ৫নং ঘাটে মাছ কিনতে যাওয়ার জন্য। তবে আজকে সকালে ওয়েদারটা দারুণ ছিলো। রোদও ছিলো না আবার বৃষ্টিও ছিলো না। যদিও আমি গিয়েছিলাম সকাল ৯ টার আগে। তখন সাধারণত এমনিতেও রোদ কম থাকে। তবে রৌদ্রময় দিনে সকাল ৯টার সময় মোটামুটি ভালোই রোদ উঠে। যাইহোক নদী পার হওয়ার সময় যখন নদীর ঘাটে গেলাম, গিয়ে দেখি ট্রলার নদীর অপর প্রান্তে। তাই ৫/৬ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। তো সকালের দৃশ্যটা এতটাই ভালো লেগেছিল যে, ভাবলাম একটু ভিডিওগ্রাফি করা যাক। কারণ এমন দৃশ্য গুলো ক্যামেরাবন্দী করে রাখতে আমার খুব ভালো লাগে। তাছাড়া ভিডিওগ্রাফি করলে আপনারাও এই চমৎকার দৃশ্য দেখার সুযোগ পাবেন,এসব ভেবেই ভিডিওগ্রাফিটা ক্যাপচার করেছিলাম।

ভিডিওগ্রাফির পাশাপাশি কিছু ফটোগ্রাফিও করে নিয়েছিলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করতে। কারণ আপনাদের সাথে যেকোনো কিছু শেয়ার করতে পারলে ভালো লাগা দ্বিগুণ হয়ে যায়। ফটোগ্রাফি এবং ভিডিওগ্রাফি করতে আমার সবসময়ই ভীষণ ভালো লাগে। কারণ সুন্দর সুন্দর মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দী করা আমার এক ধরনের শখ বলা যায়। সবমিলিয়ে সেই মুহূর্তের অনুভূতিটা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। আশেপাশে কিছুটা সাউন্ড ছিলো, তাই আমি ব্যাকগ্রাউন্ডের অরিজিনাল সাউন্ড দূর করে মিউজিক অ্যাড করে দিয়েছি। নয়তো আপনারা হয়তোবা বিরক্ত বোধ করতেন সেই শব্দের কারণে। যাইহোক ভিডিওগ্রাফিটা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের কাছে খুব ভালো লাগবে।