আজকে আমি আপনাদের সামনে একটি নাটকের রিভিউ নিয়ে হাজির হয়েছি। নাটকের নাম হচ্ছে লাইফ পার্টনার। এই নাটকটি গত বছর রিলিজ হয়েছে। এই নাটকটি বেশ ভালোই জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। যাইহোক এই নাটকের প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছে মুশফিক আর ফারহান এবং সামিরা খান মাহি। এই নাটকটি মূলত একটি রোমান্টিক নাটক,তাই দেখতে খুব ভালো লেগেছে আমার কাছে। মাঝে মধ্যে সময় পেলে আমি বাংলা নাটক দেখি। একসময় হিন্দি মুভি অনেক দেখা হতো, তবে এখন এতোটা সময় নিয়ে মুভি দেখার সময় হয়ে উঠে না। তাই বিনোদনের জন্য অল্প সময়ে বাংলা নাটক দেখা হয়। যাইহোক আপনাদের সাথে এই নাটকের রিভিউ শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের কাছে খুব ভালো লাগবে।

নাটকের নায়ক মুশফিক আর ফারহান আমেরিকা থাকে এবং সে আমেরিকান গ্রিন কার্ড হোল্ডার। তো ফারহান বাংলাদেশে আসে বিয়ে করার জন্য এবং বিয়ের কিছুদিন পর তার ওয়াইফকে নিয়ে আমেরিকা চলে যাবে। তো ফারহান যে মেয়েকে দেখতে যায় তার পরিবার নিয়ে অর্থাৎ তার মা এবং ছোট ভাইকে নিয়ে, সেই পরিবারই ফারহানের সাথে মেয়ে বিয়ে দিতে রাজি হয়ে যায়। কারণ ফারহান আমেরিকান গ্রিন কার্ড হোল্ডার। অর্থাৎ সবাই লোভে পড়ে যায়। তো ফারহানের কাছে এই ব্যাপারগুলো একেবারেই ভালো লাগে না। তো ফারহান পরবর্তীতে সামিরা খান মাহি অর্থাৎ এই নাটকের নায়িকার বাসায় যায় তাকে দেখতে। তো মাহিকে দেখে এবং তার কথাবার্তা শুনে ফারহান এবং তার পরিবার মাহিকে খুব পছন্দ করে।

ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে

তারপর তারা বিয়ের জন্য মোটামুটি মনস্থির করে,কিন্তু মাহি বলে যে দু'জন দু'জনের ব্যাপারে সবকিছু জানার পর, যদি দু'জনেরই সবকিছু ঠিকঠাক মনে হয় তাহলে বিয়েটা হবে। নয়তো বিয়েটা হবে না। তো মাহির আগে একটা রিলেশন ছিলো একটি ছেলের সাথে, সেটা ফারহানের কাছে খুলে বললো। তারপর দুজনেই দু'জনের ব্যাপারে অনেক কিছু জানলো। এরপর তারা দু'জনের কিছু মেডিক্যাল টেস্ট করলো এবং দেখলো দু'জনের মেডিক্যাল রিপোর্ট খুব ভালো। তারপর মাহিও বিয়ের জন্য রাজি হয়ে যায়। আর ফারহান তো আগেই বিয়ের জন্য রাজি ছিলো। তো বিয়ের সব আয়োজন করা শুরু হলো এবং উভয় পরিবারের সবাই খুব খুশি ছিলো।

ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে

কিন্তু হঠাৎ করে ফারহান দেখা করলো মাহির সাথে। তখন ফারহান মাহিকে বললো যে,ফারহান আমেরিকা তে গ্রিন কার্ড পাওয়ার জন্য কন্ট্রাক্ট ম্যারেজ করেছিলো। এটা শুনে তো মাহির মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার অবস্থা হয়। কারণ মাহি সবকিছু ফারহানের সাথে শেয়ার করেছে, কিন্তু ফারহান আগে কিছুই বলেনি। তাই মাহি এই কথাটা মেনে নিতে পারছে না। মাহি বলে যে, ফারহান যদি আগে সবকিছু খুলে বলতো,তাহলে মাহির কোনো সমস্যা ছিলো না। কিন্তু এতো বড় একটা কথা ফারহান গোপন করেছে বলে,মাহি খুব কষ্ট পায় এবং বিয়েটা ভেঙে দেয়। যাইহোক এরপর কি হলো সেটা জানতে হলে আপনাদেরকে অবশ্যই নাটকটি দেখতে হবে।

ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে

আসলে ফারহান প্রথমেই যাচাই-বাছাই করে দেখছিল,কোন মেয়ে ফারহানকে মন থেকে পছন্দ করে, আর কোন মেয়ে ফারহানের আমেরিকান গ্রিন কার্ড দেখে বিয়ে করতে চায়। এটা আসলে বিয়ের আগে অবশ্যই যাচাই-বাছাই করা দরকার। কারণ যারা লোভে পড়ে বিয়ে করে, তারা কখনোই মন থেকে ভালোবাসতে পারে না। তাদের মধ্যে লোভ সবসময়ই থাকে। তবে ফারহান পরবর্তীতে বুঝতে পারে যে,মাহি লোভী মেয়ে না। তাই মাহিকে ফারহান খুবই পছন্দ করে ফেলে। আসলে বাস্তবেও বিয়ের আগে অর্থাৎ লাইফ পার্টনার বানানোর আগে অবশ্যই ছেলে মেয়েকে যাচাই-বাছাই করা উচিত। নয়তো পরবর্তীতে পস্তাতে হয়। তাছাড়া বিয়ের মতো এমন পবিত্র একটি সম্পর্ক শুরু হওয়ার আগে, অবশ্যই দুজন দুজনের ব্যাপারে সব সত্যি কথা বলা উচিত। কারণ মিথ্যা দিয়ে কিছু শুরু হলে তার পরিণতি ভালো হয় না। সবমিলিয়ে নাটকটি আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে।

আমার রেটিং