আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি ভ্রমণ বিষয়ক পোস্ট শেয়ার করবো। এর আগে আমি আপনাদের সাথে কক্সবাজার ভ্রমণের সপ্তম পর্ব শেয়ার করেছিলাম এবং আজকে অষ্টম পর্ব শেয়ার করতে যাচ্ছি। যাইহোক গত পর্বে শেয়ার করেছিলাম আমরা কাঁকড়া বিচে বেশ কিছুক্ষণ ঘুরাঘুরি করে কাঁকড়া দেখার চেষ্টা করছিলাম। তো ছোট ছোট প্রচুর কাঁকড়া ছিলো সেখানে। কিন্তু সামনে গেলেই গর্তের ভিতরে ঢুকে যায়। কিন্তু সেই কাঁকড়া গুলোর চেয়ে ইনানী বিচে যে লাল কাঁকড়া গুলো দেখেছিলাম,সেগুলো দেখতে বেশি সুন্দর লেগেছিল। তাছাড়া ইনানী বিচের কাঁকড়া গুলো সাইজে বেশ বড় ছিলো। যাইহোক প্রচন্ড রোদের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ কাঁকড়া বিচে ঘুরাঘুরি করার পর, সমুদ্রের পানির দিকে যাওয়া শুরু করেছিলাম।
Location
কাঁকড়া বিচে মানুষের আনাগোনা খুবই কম ছিলো। এককথায় বেশ নিরিবিলি একটি বিচ। এমন নিরিবিলি বিচে বিকেলে বা সন্ধ্যার পর সময় কাটাতে ভীষণ ভালো লাগবে। আমরা যখন কাঁকড়া বিচে গিয়েছিলাম,তখন প্রচন্ড রোদ ছিলো বিধায় ততোটা উপভোগ করতে পারিনি। তবুও বিচটা দারুণ লেগেছিল আমার কাছে। যাইহোক তারপর আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম যে হিমছড়ি পাহাড়ের দিকে যাবো। আর সেটাই ছিলো সেদিনের মতো আমাদের ঘুরাঘুরি করার শেষ স্পট। যাইহোক কাঁকড়া বিচ স্পট থেকে সিএনজি তে উঠে মাত্র পাঁচ মিনিটের মধ্যেই হিমছড়ি স্পটের দিকে পৌঁছে গিয়েছিলাম। তারপর আমার ওয়াইফকে জিজ্ঞেস করলাম লাঞ্চ করবে কিনা। কারণ তখন প্রায় ৪ টা বেজে গিয়েছিল। কিন্তু আমার ওয়াইফ বললো তখনো ক্ষুধা লাগেনি।
Location
কারণ ফাঁকে ফাঁকে হালকা কিছু খাবার খাওয়া হয়েছিল বেশ কয়েকবার। তারপর আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম হিমছড়ি ঝর্ণা এবং পাহাড় ঘুরাঘুরি করে, হোটেলের সামনে অর্থাৎ কলাতলী রোডের দিকে গিয়েই যেকোনো রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করবো। যাইহোক তারপর আমরা হিমছড়ি ঝর্ণা এবং পাহাড় দেখার জন্য টিকেট কিনে ভিতরে প্রবেশ করলাম। যদিও হিমছড়ির ঝর্ণা এবং পাহাড় অনেক বার দেখেছি, তবুও আবারও দেখতে চলে গিয়েছিলাম। যাইহোক হিমছড়ি ঝর্ণার সামনে গিয়ে দেখলাম মানুষের প্রচুর ভিড়। মানে ঝর্ণার সামনে যাওয়ার কোনো উপায় ছিলো না। ঝর্ণার পানি মোটামুটি বেশ ভালোই এসেছিল তখন। সাধারণত শীতকালে মোটামুটি ভালোই আসে হিমছড়ি ঝর্ণার পানি। তবে গরমের সময় তো পানি একেবারেই আসে না।
Location
যাইহোক হিমছড়ি ঝর্ণার কিছু ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করার চেষ্টা করেছিলাম। এরপর আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম হিমছড়ি পাহাড়ের উপরে উঠবো। তো হিমছড়ি ঝর্ণা দেখার পর যখন হিমছড়ি পাহাড়ের দিকে যাওয়া শুরু করলাম, তখন দেখলাম বেশ কয়েকটি ফ্রুটস এর দোকান। তারা বিভিন্ন ধরনের ফল কেটে কেটে বিক্রি করছে। প্রথমে ভেবেছিলাম সেখান থেকে ফল খাবো,তবে পরবর্তীতে আর খাওয়া হয়নি। কারণ আনারস এমনিতে আমার পছন্দ না। তবে পাকা পেঁপে আমার খুব পছন্দ। তাই ইচ্ছে ছিলো সেখান থেকে পাকা পেঁপে খাওয়ার। কিন্তু সেখানকার পাকা পেঁপে গুলো তেমন লাল ছিলো না। দেখে মনে হয়েছিল ততোটা মিষ্টি লাগবে না খেতে। সেটা ভেবেই শেষ পর্যন্ত পাকা পেঁপে খাইনি। যাইহোক তারপর আমরা হিমছড়ি পাহাড়ের উপর দিকে উঠা শুরু করলাম। এরপর হিমছড়ি পাহাড়ে উঠে আমরা কি কি করলাম, সেটা পরবর্তী পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। (চলবে)
Location
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | ভ্রমণ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ৩.৬.২০২৪ |
লোকেশন | কক্সবাজার,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
X-promotion
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাইয়া আপনাদের কক্সবাজার ভ্রমণের পর্ব গুলো দেখতে আমার খুবই ভালো লাগে। আপনি আপনার পরিবারকে সাথে নিয়ে কক্সবাজার ভ্রমণ করতে গিয়েছিলেন এবং সেই জায়গা থেকে চমৎকার সব ফটো ধারণ করেছিলেন। ফটোগুলো বেশ দেখতে অনেক সুন্দর। আর কক্সবাজারের বেশ কিছু চিত্র দেখতে পারি আপনার মাধ্যমে। অনেক অনেক ভালো লাগলো এই পর্বটা দেখে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনাদের কাছে ভালো লাগলেই তো পোস্ট করার সার্থকতা আপু। যাইহোক ভ্রমণ পোস্টটি পড়ে এতো চমৎকার মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হিমড়ি ঝরনার টিকিট নিয়ে ফেললেন তাহলে, আসলে কক্সবাজারে হয়তোবা আমিই একজন যে আজ পর্যন্ত ওখানে ঘুরতে যায়নি । আমাদের বন্ধুবান্ধবগুলো একবারে গিয়েছিল তবে অনেক সমস্যার কারণে আমি যেতে পারি নাই। আপনার পোস্টটা মনোযোগ দিয়ে পড়লাম তবে অনেক জায়গা আমি চিনি না ইনশাল্লাহ ভাগ্যে থাকলে অবশ্যই একদিন ঘুরে আসব কক্সবাজার
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সময় পেলে অবশ্যই কক্সবাজার গিয়ে ঘুরে আসবেন। আশা করি খুব ভালো লাগবে। যাইহোক ভ্রমণ পোস্টটি পড়ে এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। (কমেন্টের মধ্যে বানান ভুল রয়েছে। আশা করি ঠিক করে নিবেন।)
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
যদিও কখনো কক্সবাজার যাওয়া হয়নি। তবে আপনার ভ্রমণের পর্ব গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া। কাঁকড়া বিচের নিরিবিলি পরিবেশ বেশ ভালো লেগেছে। আর সবকিছু দেখে অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে এই ভ্রমন পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সময় এবং সুযোগ পেলে অবশ্যই কক্সবাজার ট্যুরে যাওয়ার চেষ্টা করবেন আপু। যাইহোক পোস্টটি পড়ে এভাবে সাপোর্ট করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার ভ্রমণের অভিজ্ঞতার ৮ম পর্বে আপনি কাকড়া বীচ ও হিমছড়ি ঝর্ণা ও পাহাড় দেখার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। কাকড়া বীচ আসলেই একদম ফাঁকা দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। তবে আমার মনে হয় বিকেলের দিকে ওটা লোকে পরিপূর্ণ হয়ে থাকে! পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে বিকেল বেলা সুগন্ধা এবং লাবণী বিচে মানুষের আনাগোনা সবচেয়ে বেশি থাকে। তবে কাঁকড়া বিচের পরিবেশটা একেবারে নিরিবিলি। পরবর্তী পর্ব খুব শীঘ্রই শেয়ার করবো ইনশাআল্লাহ। যাইহোক পোস্টটি পড়ে এতো চমৎকার মন্তব্যের মাধ্যমে পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit