প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত নিত্য নতুন পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করতে। সেই প্রেক্ষাপটে আজকে আমি আবারো ভিডিওগ্রাফি পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি। দাদার পোস্ট ভেরিয়েশন পোস্টটি শেয়ার করার পর অনেকেই ভিডিওগ্রাফি পোস্ট শেয়ার করে যাচ্ছে। অনেকের ভিডিওগ্রাফি পোস্ট দেখে আমি ভীষণ অনুপ্রাণিত হয়েছি। আমরা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাই বা কোন সুন্দর কিছু চোখে পড়লে আমরা ফটোগ্রাফি করি সচরাচর। তবে অনেক সময় ফটোগ্রাফির মাধ্যমে সবকিছু তুলে ধরা সম্ভব হয় না। তাই মাঝে মধ্যে ভিডিওগ্রাফি করার প্রয়োজন হয়।

ভিডিও ক্লিপ থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে

এই ভিডিওটা আমি ২০১৯ সালে করেছিলাম। গুগল ফটোসে খুঁজে এই ভিডিওটা পেলাম। ছুটির দিনে আমরা কয়েকজন মিলে প্রায় সময় ঘুরতে যেতাম। বেশিরভাগ সময় দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে ঘুরতে যেতাম। কারণ সিউল থেকে আমাদের বাসার দূরত্ব ছিলো ১ ঘন্টার মতো। যাইহোক আমরা একদিন সিউল গ্রান্ড পার্কে ঘুরতে গিয়েছিলাম। সেখানে চিড়িয়াখানাও ছিলো। চিড়িয়াখানার ভিতরে গিয়ে দেখলাম যে একজন কোরিয়ান ছোট মেয়ে দুটি হরিণ কে খাবার খাওয়াচ্ছে এবং খাওয়ানোর পাশাপাশি তার বাবাকে বলছে যে হরিণ দুটি খাবার খাচ্ছে। সে ভীষণ খুশি ছিলো। আমার কাছে ছোট মেয়েটির আনন্দ উল্লাস দেখতে বেশ ভালো লাগছিল। তাই আমি ভিডিও করেছিলাম। তারপর আমি হরিণের এবং আশেপাশের ভিডিও করলাম কিছুক্ষণ। সবমিলিয়ে বেশ ভালো লেগেছিল সেখানে সময় কাটাতে।

ফটোগ্রাফি এবং ভিডিওগ্রাফি করতে আমার আগে থেকেই ভীষণ ভালো লাগতো। কারণ সুন্দর সুন্দর মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দী করা আমার এক ধরনের শখ বলা যায়। আমি চাইলে ব্যাকগ্রাউন্ড সাউন্ড দূর করে, অন্য কোন মিউজিক ব্যবহার করতে পারতাম। তাহলে আপনারা অরিজিনাল সাউন্ড এবং সবার আনন্দ উল্লাসের সাউন্ড মিস করতেন। সেটা ভেবে আমি ব্যাকগ্রাউন্ড এর অরিজিনাল সাউন্ড রেখে দিয়েছি। সবমিলিয়ে সেই মুহূর্তের অনুভূতিটা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। এককথায় দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছি আমরা। যাইহোক ভিডিওগ্রাফিটা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের কাছে খুব ভালো লাগবে।