লাইফস্টাইল পোস্ট || দীর্ঘদিন পর বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সে যাওয়ার অভিজ্ঞতা

in hive-129948 •  3 months ago 

আসসালামু আলাইকুম,

আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।



প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি একটি লাইফস্টাইল পোস্ট শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। দীর্ঘদিন পর বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সে গিয়েছিলাম এবং সেই অভিজ্ঞতা এই পোস্টের মাধ্যমে শেয়ার করার চেষ্টা করবো। যাইহোক গত পরশুদিন দুপুরের পর আমি এবং আমার ওয়াইফ এলিফ্যান্ট রোডে গিয়েছিলাম ব্যক্তিগত প্রয়োজনে। তো ব্যক্তিগত কাজ শেষ করার পর,মোতালিব প্লাজা তে গেলাম। কারণ আমার শখের মোবাইল ফোন স্যামসাং গ্যালাক্সি নোট ২০ আলট্রা ফাইভ জি মোবাইলের ডিসপ্লে তে ১০/১৫ দিন আগে একটা পিংক লাইন পড়েছে। আবার ৩/৪ দিন আগে একটা গ্রীন লাইন পড়েছে।


20240713_150258.jpg

20240713_150757.jpg

20240713_150714.jpg


আমি এই মোবাইলটা ১.৫ বছরের উপরে ইউজ করলাম খুবই ভালোভাবে। মানে সবদিক দিয়েই মোবাইলের পারফরম্যান্স দারুণ ছিলো। যাইহোক আমি যেহেতু পোস্ট এবং কমেন্ট বেশিরভাগ সময় মোবাইল দিয়ে করার চেষ্টা করি,তো আমার এই মোবাইলটা ইউজ করতে বিরক্ত লাগছিলো। কারণ আপনারা তো জানেন পোস্ট পড়ে কমেন্ট করতে কতোটা সময় লাগে। তাই চিন্তা করলাম ডিসপ্লে পরিবর্তন করবো। কিন্তু স্যামসাং কাস্টমার কেয়ারে ফোন করে জানতে পেরেছিলাম, আমার মোবাইল এর ডিসপ্লে পরিবর্তন করতে ৪২,০০০ টাকার মতো লাগবে এবং তবুও উনারা কোনো গ্যারান্টি দিবেন না ডিসপ্লের। তাই আমি আর রিস্ক নেইনি ডিসপ্লে পরিবর্তন করার।


20240713_151216.jpg

20240713_151231.jpg

20240713_150209.jpg


যাইহোক সেদিন যেহেতু এলিফ্যান্ট রোডেই ব্যক্তিগত প্রয়োজনে গিয়েছিলাম,তাই ভাবলাম মোতালিব প্লাজা তে গিয়ে দেখি কোনো সমাধান পাই কিনা। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পর জানতে পারলাম ডিসপ্লের পিংক লাইন এবং গ্রীন লাইন রিমুভ করা সম্ভব না। তারা ডিসপ্লের দাম চাইলো ২৮,০০০-৩০,০০০ টাকা। কিন্তু তারাও ডিসপ্লের কোনো গ্যারান্টি দিবে না। মানে ৭ দিন পর ডিসপ্লে নষ্ট হয়ে গেলেও তাদের কিছু করার নেই। তাই ভাবলাম এতো টাকা দিয়ে ডিসপ্লে পরিবর্তন করার কোনো মানেই হয় না। কারণ মোবাইলের ডিসপ্লে পরিবর্তন করলে এমনিতেও বেশিদিন সেই মোবাইল ইউজ করা যায় না। তাছাড়া আমার এক ফ্রেন্ড দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ২/১ মাসের মধ্যেই বাংলাদেশে ছুটিতে আসবে। তখন তার মাধ্যমে স্যামসাং এস ২৩ কিংবা এস ২৪ আলট্রা আনাবো।


20240711_212954.jpg

20240711_213000.jpg

20240711_212936.jpg


যাইহোক মোতালিব প্লাজা থেকে আমরা রিকশা নিয়ে সাথে সাথে বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সে চলে গেলাম। যাওয়ার পর বেসমেন্ট ২ তে গিয়ে আমার শখের মোবাইল ফোন, স্যামসাং গ্যালাক্সি নোট ২০ আলট্রা ফাইভ জি মোবাইলটা মাত্র ১৪,০০০ টাকায় বিক্রি করে দিলাম। অবশ্য সেখানে দেখলাম এমন মোবাইল সেকেন্ড হ্যান্ড বিক্রি করছে ৪৫,০০০-৫০,০০০ টাকা করে। কিন্তু আমার মোবাইলের ডিসপ্লে তে যেহেতু পিংক এবং গ্রীন লাইন পড়েছে, তাই দাম কম হওয়াটা একেবারেই স্বাভাবিক। যাইহোক আমার বাসায় যেহেতু স্যামসাং গ্যালাক্সি এস ৯ প্লাস মোবাইল রয়েছে, সেজন্য ভাবলাম কোরিয়া থেকে মোবাইল আসার আগ পর্যন্ত এটাই কিছুদিন ইউজ করি। যদিও এতদিন আমার ওয়াইফ স্যামসাং গ্যালাক্সি এস ৯ প্লাস মোবাইলটা টুকটাক ব্যবহার করতো।


20240711_213013.jpg

20240711_213048.jpg

20240711_213728.jpg


কিন্তু আমার ওয়াইফ আসলে মোবাইল ইউজ করতে ততোটা পছন্দ করে না, এমনকি সে কোনো সিম কার্ড ব্যবহার করে না। শুধুমাত্র ইউটিউবে মাঝেমধ্যে কিছু ভিডিও দেখে এবং আমি বাহিরে থাকলে হোয়াটসঅ্যাপ দিয়ে আমাকে কল দিবে এবং ওর আব্বু আম্মুর সাথে একটু কথা বলবে। তাই ভাবলাম ওয়াইফ যেহেতু মোবাইল ফোন তেমন ইউজ করে না,আপাতত শাওমির একটা মোবাইল কিনে দেই। কারণ কোরিয়া থেকে ফ্রেন্ড আমার জন্য মোবাইল নিয়ে আসলে, তখন স্যামসাং এস নাইন প্লাস বাসায় ই পড়ে থাকবে। তো মাত্র ১১,০০০ টাকা দিয়ে ওয়াইফকে রেডমি এ থ্রি মোবাইলটা কিনে দিলাম। তো সব কাজ শেষ করতে করতে রাত ১০ টার উপরে বেজে গিয়েছিল। তাই বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সের ফুড কোর্টে গিয়ে খাওয়া দাওয়া করতে পারিনি। কারণ তখন ফুড কোর্ট বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। যাইহোক তারপর আমরা সেখান থেকে রিকশা নিয়ে গুলিস্তান গেলাম এবং তারপর বাসায় যেতে যেতে রাত ১১.৩০ টা বেজে গিয়েছিলো।


20240713_150058.jpg

20240711_215617.jpg



2FFvzA2zeqoVJ2SVhDmmumdPfnVEcahMce9nMwwksSDdRvZA8GzS2DQRCenaYmQc8PKmKoqUpUeK1EYkXvpDQ1G4vq9r2thnL24nVMe9HEoTA18P3XxZmEBqKV5Qa.png

পোস্টের বিবরণ

ক্যাটাগরিলাইফস্টাইল
ফটোগ্রাফার@mohinahmed
ডিভাইসSamsung Galaxy S9 Plus
তারিখ১৩.৭.২০২৪
লোকেশনw3w

বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।

পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

9vWp6aU4y8kwSZ9Gw15LFL3aMdhmgmBBFMpDJregpdP328CzpX9QvbjSPXbrW8KqUMMwTrRCn3xcSQ6EA6R67TcD5gLnqAWu8W41xe41azymkyM19LEXr548bkstuK4YE8RXJKQJWbxQ1hVAD.gif

আমার পরিচয়

IMG-20240212-WA0036.jpg

🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹

5ZJ4Z52ZRyQfNkCWFfXsATSsPtfkBwT3a5k8RVinr67352Jpu6E5J43D5L7yhn5d5CrcpnTvTLcF5db3ftZK7V9GzsAkLjb3PriF27x53soS8yKq9EnT1Gez2W6L2XUZu7jXnMduxdzGd4QzpYoozSDTPz3jUEkZ8x9rPrFry12vk2pkpsukTxq2kgJhF2zDYwrV.png

cyxkEVqiiLy2ofdgrJNxeZC3WCHPBwR7MjUDzY4kBNr81RRg3nBstm6z4qmufGsvFT24rqXwtpQD564XVCvACqesd3KULjLw7vQPhCNBNpraDPBk9z8jqn3ncuykugzMhQ2.png

6nSeSEzKEwjJN68tMqgZXvpyk1cf2ihqXgmWESDgXSh21PxWHDWW9CETD5B5Jw9Q6ERAnD25KhyHKAX53jBLJKQRtPJf1WFG3aJd6PXbp2rpTXdWPxnRnq65CqtM8PawHiD5knScnfCbWvcVRuFVv1rtwzsXe59AixEGDGYZT2EWzPMzrWjWrbujcJd79Q1Sjs2X.gif

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

image.png

আসলে দামি ফোনের একটাই অসুবিধা হচ্ছে ডিসপ্লে সমস্যা হলে প্রচুর টাকা ব্যয় করতে হয়।আর অরিজিনাল ডিসপ্লের মতো আর দ্বিতীয় কোন ডিসপ্লে এতো বেশি সার্ভিস দিবে না। যাইহোক আপনি দেখছি আপনার বন্ধুর মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে মোবাইল নিয়ে আসবেন এটা দেখে বেশ ভালো লাগলো আমার কাছে।

হ্যাঁ ভাই দামি ফোনের ডিসপ্লের দাম আসলেই অনেক বেশি। যে মোবাইলের ডিসপ্লে প্রবলেম হয়েছে, সেটাও ১.৫ বছর আগে সেই বন্ধু দক্ষিণ কোরিয়া থেকে এনে দিয়েছিল। যাইহোক পোস্টটি পড়ে যথাযথ মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সে কাটানো মুহূর্ত দেখে ভালো লাগলো। আসলে যে কোন মোবাইলের ক্ষেত্রেই ডিসপ্লের গ্যারান্টি কখনোই দেয় না। আমি কখনো দেখিনি ডিসপ্লের গ্যারান্টি দিতে। ডিসপ্লে পরিবর্তন না করে ভালো করেছেন। ডিসপ্লেতে সমস্যা হওয়ায় কম দামে বিক্রি করেছেন ফোনটা। আর যেহেতু আপনার বন্ধু মোবাইল নিয়েই আসবে তাই এখন কম টাকায় অন্য একটা ফোন কিনে ভালো করেছেন।

আমার বাসায় স্যামসাং গ্যালাক্সি এস নাইন প্লাস মোবাইল রয়েছে এবং আমি সেটাই এখন ইউজ করছি। আমার ওয়াইফকে নতুন মোবাইলটা দিয়েছি ইউজ করতে। যাইহোক পোস্টটি পড়ে এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

মাঝে মাঝেই বসুন্ধরা সিটি শপিংমল চোখে পড়ে অনেকের পোষ্ট থেকে।আজ আপনার মাধ্যমে দেখেও ভালো লাগলো ভাইয়া।মোবাইলের ডিসপ্লে পরিবর্তন করতে টাকার পরিমাণ শুনে অবাক হলাম।আসলে ভাইয়া, আমার মনে হয় সেই টাকার সঙ্গে আরও কিছু টাকা যোগ করলে নতুন ফোন হয়ে যাবে আশা করি।শখের ফোন খারাপ হয়ে গেলে খুবই বিরক্তিকর লাগে।আমিও ফোর জি ফোনে সব কাজ করি ভাইয়া আর 3.5 বছরের উপরে ইউজ করছি কোনো সমস্যা হয়নি এখনো।এইসমস্ত কাজ ল্যাপটপে করাটাই উচিত, যাইহোক আপনি আপনার স্ত্রীর ফোন ব্যবহার করছেন জেনে ভালো লাগলো,ধন্যবাদ।

আপু এই ফোনের দাম ছিলো ১ লাখ টাকার উপরে। তাই ডিসপ্লের দাম এতো বেশি। আমি স্যামসাং গ্যালাক্সি এস নাইন প্লাস মোবাইলটা ২০১৮ সালের মার্চ মাস থেকে ইউজ করতেছি। তার মানে ৬ বছরের উপরে ইউজ করার পরেও, এখনো এই মোবাইলটা পুরোপুরি ভালো রয়েছে। আর এই মোবাইলটা এখন ইউজ করছি আমি। তাছাড়া নতুন মোবাইলটা আমার ওয়াইফকে দিয়েছি ইউজ করতে। যাইহোক পোস্টটি পড়ে আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।

আপু এই ফোনের দাম ছিলো ১ লাখ টাকার উপরে। তাই ডিসপ্লের দাম এতো বেশি।

আমিও সেটাই আন্দাজ করেছিলাম ভাইয়া।।

আমার দুর্ভাগ্য ছিল বসুন্ধরার সিটি কমপ্লেক্সের নিকটে উপস্থিত ছিলাম কিন্তু যে মুহূর্তে সেখানে প্রবেশ করব ওই মুহূর্তে ফোন আশায় দ্রুত চলে যেতে হয়েছিল হসপিটালে। তাই আর সেখানে যাওয়া সম্ভব হয়নি, টি শার্ট কেনা হয়নি ওই দিন। পরবর্তীতে আর ধানমন্ডি ৩২ এর দিকে যাওয়া হয়নি আমার, কাওরানবাজার তো দূরে থাক। তাই মাঝেমধ্যে আফসোস লাগে সেখানে গিয়েও প্রবেশ করতে পারি নাই।

আফসোস করবেন না ভাই, পরবর্তীতে ঢাকা আসলে বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সে ঘুরাঘুরি করবেন। যাইহোক পোস্টটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

শপিং মলটি ভীষণ সুন্দর। কিন্তু মোবাইলের স্ক্রিন খারাপ হয়ে যাওয়া সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক। ইলেকট্রনিক গেজেটের কোনো নিশ্চয়তা থাকে না। তাই খরচ এসে পড়ে। তবে আশা করি এবার আপনার মোবাইল অনেকদিন চলবে ঠিকঠাক ভাবে। এমন শপিং মলে বসে আড্ডা দিতেও খুব ভালো লাগে। তাছাড়া এমন গরমে মলের ঠাণ্ডা হাওয়া বেশ মনোরম। আমি তো সু্যোগ পেলে বিনা কারণেই শপিং মনে গিয়ে বসে থাকি। কত মানুষ দেখি। নতুন জিনিস দেখি।

শপিং মলে গিয়ে সময় কাটাতে আমারও খুব ভালো লাগে। যাইহোক পোস্টটি পড়ে এভাবে সাপোর্ট করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।