ক্রিয়েটিভ রাইটিং পোস্ট || কিছু কিছু মেয়ে মা হওয়ার যোগ্য না (তৃতীয় পর্ব)

in hive-129948 •  14 days ago 

আসসালামু আলাইকুম,

আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।


দ্বিতীয় পর্ব


প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি বাস্তব গল্প শেয়ার করবো। গত সপ্তাহে এই গল্পের দ্বিতীয় পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম এবং আজকে তৃতীয় পর্ব শেয়ার করতে যাচ্ছি। যাইহোক রতনের ছোট ভাই বাসায় গিয়ে তার মায়ের কাছে সবকিছু খুলে বললো এবং ভিডিওটা দেখালো। রতনের মা তো সেটা দেখে প্রচন্ড রেগে যায়। তারপর রতনকে ফোন দিয়ে সবকিছু খুলে বলে। রতন প্রচন্ড কষ্ট পায় এবং রতন সিদ্ধান্ত নেয় যে, সে আর সীমার সাথে সংসার করবে না। কারণ রতন ভিডিওটা দেখার পর, সীমার উপর থেকে তার সমস্ত বিশ্বাস একেবারে উঠে যায়। যাইহোক কিছুক্ষণ পর সীমা বাসায় প্রবেশ করে।


treason-6971578_1280.jpg

Source


তারপর রতনের মা সীমাকে জিজ্ঞেস করলো মার্কেটে গিয়ে কি কি কিনলে। তখন সীমা বললো যে কিছু কসমেটিকস কিনেছে। এরপর রতনের মা আবার জিজ্ঞেস করলো আর কি কি করলে। তখন সীমা বললো তার বান্ধবীর সাথে একটু দেখা করেছে। মানে সীমা একেবারেই মিথ্যা কথা বললো। এটা শুনে রতনের মায়ের প্রচন্ড মেজাজ খারাপ হয়ে যায় এবং রতনের মা সাথে সাথে সীমার গালে থাপ্পড় বসিয়ে দেয়। তখন সীমা জিজ্ঞেস করে যে কি হয়েছে, আমাকে থাপ্পড় কেনো দিলেন। তখন রতনের ছোট ভাই সেই ভিডিও প্লে করে সীমাকে দেখালো এবং রতনের মা সীমাকে বললো যে এই নোংরা কাজ এবং মিথ্যা কথার জন্যই তোমাকে থাপ্পড় দিলাম। তাছাড়া সীমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে রতনের মা।


তখন সীমা সবার কাছে মাফ চায় এবং বলে যে সে ভুল করেছে। এরপর থেকে আর কখনোই এমনটা সে করবে না। তখন রতনের মা বলে যে, এই জঘন্য কাজের কোনো ক্ষমা নেই। কারণ পরকীয়া প্রেমে যারা একবার আসক্ত হয়,তারা বারবারই এমনটা করে থাকে। তাছাড়া সীমাকে রতন তার মায়ের কাছে আমানত হিসেবে রেখে বিদেশ গিয়েছে। কিন্তু রতনের সেই আমানত রক্ষা করতে পারলো না,বারবার রতনের মা সেটাই বলতে থাকে। তবে এখানে রতনের মায়ের কোনো দোষ নেই। কারণ যাদের চরিত্র খারাপ, তাদেরকে পাহারা দিয়ে রাখা যায় না। যাইহোক এরইমধ্যে রতন ফোন করে তার মা'কে। তখন রতন তার মা'কে বলে যে, সীমার বাবা মা'কে ফোন করে সবকিছু বলতে এবং তাদের মেয়ে যাতে তারা নিয়ে যায় বাসায় এসে। তখন সীমা রতনের মায়ের হাত থেকে ফোন নিয়ে, রতনের কাছে মাফ চায়।


কিন্তু শেষ পর্যন্ত রতন সীমাকে মাফ করে না। আসলে সীমা যখন রতনের কাছে মাফ চায়, তখন রতনেরও খুব খারাপ লাগে। কিন্তু যে মানুষের উপর থেকে বিশ্বাস একবার উঠে যায়, সেই মানুষকে আসলে ভালোবাসা যায় না। যাইহোক রতনের মা সীমার মায়ের কাছে ফোন করে সবকিছু খুলে বলে এবং তাদেরকে বাসায় আসতে বলে। রতন এবং সীমার বাড়ি যেহেতু পাশাপাশি মহল্লায়,তাই সীমার মা বাবা অল্প সময়ের মধ্যেই রতনের বাসায় পৌঁছে যায়। তারপর রতনের মা সীমার মা বাবাকে অনেক অপমান করে এবং সীমাকে বাসা থেকে নিয়ে যেতে বলে। তখন সীমার মা রতনের মায়ের কাছে ক্ষমা চায় এবং সীমাকে মাফ করে দিতে বলে। কিন্তু রতনের মা কিছুতেই সীমাকে মাফ করতে চায় না। যাইহোক এরপর আর কি কি হলো,সেটা পরবর্তী পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো ইনশাআল্লাহ। (চলবে)



2FFvzA2zeqoVJ2SVhDmmumdPfnVEcahMce9nMwwksSDdRvZA8GzS2DQRCenaYmQc8PKmKoqUpUeK1EYkXvpDQ1G4vq9r2thnL24nVMe9HEoTA18P3XxZmEBqKV5Qa.png

পোস্টের বিবরণ

ক্যাটাগরিক্রিয়েটিভ রাইটিং(গল্প)
পোস্ট তৈরি@mohinahmed
ডিভাইসSamsung Galaxy S9 Plus
তারিখ১.১১.২০২৪
লোকেশননারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ

বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।

পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

9vWp6aU4y8kwSZ9Gw15LFL3aMdhmgmBBFMpDJregpdP328CzpX9QvbjSPXbrW8KqUMMwTrRCn3xcSQ6EA6R67TcD5gLnqAWu8W41xe41azymkyM19LEXr548bkstuK4YE8RXJKQJWbxQ1hVAD.gif

আমার পরিচয়

IMG-20240212-WA0036.jpg

🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹

5ZJ4Z52ZRyQfNkCWFfXsATSsPtfkBwT3a5k8RVinr67352Jpu6E5J43D5L7yhn5d5CrcpnTvTLcF5db3ftZK7V9GzsAkLjb3PriF27x53soS8yKq9EnT1Gez2W6L2XUZu7jXnMduxdzGd4QzpYoozSDTPz3jUEkZ8x9rPrFry12vk2pkpsukTxq2kgJhF2zDYwrV.png

cyxkEVqiiLy2ofdgrJNxeZC3WCHPBwR7MjUDzY4kBNr81RRg3nBstm6z4qmufGsvFT24rqXwtpQD564XVCvACqesd3KULjLw7vQPhCNBNpraDPBk9z8jqn3ncuykugzMhQ2.png

6nSeSEzKEwjJN68tMqgZXvpyk1cf2ihqXgmWESDgXSh21PxWHDWW9CETD5B5Jw9Q6ERAnD25KhyHKAX53jBLJKQRtPJf1WFG3aJd6PXbp2rpTXdWPxnRnq65CqtM8PawHiD5knScnfCbWvcVRuFVv1rtwzsXe59AixEGDGYZT2EWzPMzrWjWrbujcJd79Q1Sjs2X.gif

puss_mini_banner2.png

PUSS COIN: BUY/SELL

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order: