প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত নিত্য নতুন পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করতে। সেই প্রেক্ষাপটে আজকে আবারো ভিডিওগ্রাফি পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি। অনেকের ভিডিওগ্রাফি পোস্ট দেখে আমি ভীষণ অনুপ্রাণিত হই প্রতিনিয়ত। আমরা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাই বা কোনো সুন্দর কিছু চোখে পরলে ফটোগ্রাফি করি সচরাচর। তবে অনেক সময় ফটোগ্রাফির মাধ্যমে সবকিছু তুলে ধরা সম্ভব হয় না। তাই মাঝে মধ্যে ভিডিওগ্রাফি করার প্রয়োজন হয়।

এই ভিডিওগ্রাফিটা আমি করেছিলাম গত মাসে যখন কক্সবাজার ঘুরতে গিয়েছিলাম তখন। আসলে কক্সবাজার এই পর্যন্ত ৭/৮ বার যাওয়া হলেও,এই চমৎকার জায়গায় কখনোই যাওয়া হয়নি। এই সুন্দর লেক এবং ঝুলন্ত ব্রিজটা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে অবস্থিত। কক্সবাজার কলাতলী রোড থেকে এই চমৎকার জায়গার দুরত্ব হচ্ছে ২৭/২৮ কিলোমিটার। সিএনজি দিয়ে আমাদের যেতে ঘন্টা খানেক সময় লেগেছিল। যাইহোক ঝুলন্ত ব্রিজ দেখতে বরাবরই আমার ভীষণ ভালো লাগে। তাছাড়া এই লেকের সৌন্দর্য দেখে মনটা একেবারে ভরে গিয়েছিল। লেকের পাড়ে প্রচুর গাছগাছালি ছিলো। এই গাছগুলো এই লেকের সৌন্দর্য অনেকাংশে বৃদ্ধি করেছে। আমি এই ভিডিওগ্রাফির মাধ্যমে লেকের এক পাশের দৃশ্য তুলে ধরার চেষ্টা করবো। আসলে পুরো লেকের সৌন্দর্য তুলে ধরার জন্য অবশ্যই প্যাডেল বোটে চড়ে ভিডিও করতে হয়। আমরা পরবর্তীতে প্যাডেল বোটে চড়ে ভিডিও করেছিলাম। সেই ভিডিওগ্রাফিটা আরও বেশি সুন্দর হয়েছে। সেটা আমি পরবর্তী সপ্তাহে শেয়ার করবো ইনশাআল্লাহ।

ভিডিওগ্রাফি শেষ করে কিছু ফটোগ্রাফিও করে নিয়েছিলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করতে। কারণ আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পারলে ভালো লাগা দ্বিগুণ হয়ে যায়। ফটোগ্রাফি এবং ভিডিওগ্রাফি করতে আমার সবসময়ই ভীষণ ভালো লাগে। কারণ সুন্দর সুন্দর মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দী করা আমার এক ধরনের শখ বলা যায়। সবমিলিয়ে সেই মুহূর্তের অনুভূতিটা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। আশেপাশে মোটামুটি বেশ ভালোই মানুষ ছিলো এবং সবার চিৎকার চেচামেচির আওয়াজ ব্যাকগ্রাউন্ডে ছিলো। তাই আমি ব্যাকগ্রাউন্ডের অরিজিনাল সাউন্ড দূর করে গান অ্যাড করে দিয়েছি। নয়তো আপনারা হয়তোবা বিরক্ত বোধ করতেন মানুষের চেচামেচির শব্দে। যাইহোক ভিডিওগ্রাফিটা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের কাছে খুব ভালো লাগবে।