প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত নিত্য নতুন পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করতে। সেই প্রেক্ষাপটে আজকে আবারো ভিডিওগ্রাফি পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি। অনেকের ভিডিওগ্রাফি পোস্ট দেখে আমি ভীষণ অনুপ্রাণিত হই প্রতিনিয়ত। আমরা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাই বা কোনো সুন্দর কিছু চোখে পরলে ফটোগ্রাফি করি সচরাচর। তবে অনেক সময় ফটোগ্রাফির মাধ্যমে সবকিছু তুলে ধরা সম্ভব হয় না। তাই মাঝে মধ্যে ভিডিওগ্রাফি করার প্রয়োজন হয়।

এই ভিডিওগ্রাফিটা আমি করেছিলাম এবারের পহেলা বৈশাখে রমনা পার্কের ভিতরে থাকা, রমনা কালী মন্দিরের এরিয়া থেকে। পহেলা বৈশাখের দিন সকাল ১০ টার পর আমি এবং আমার ওয়াইফ প্রথমে রমনা পার্কের ভিতরে অনেকক্ষণ হাঁটাহাঁটি করে, তারপর রমনা কালী মন্দিরের ভিতরে ঢুকেছিলাম। পহেলা বৈশাখের দিন সচরাচর রমনা পার্কের ভিতরে প্রচুর মানুষ দেখা যায়। সেদিনও মানুষের ভিড় ছিলো চোখে পড়ার মতো। তাছাড়া পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে রমনা কালী মন্দিরের ভিতরে বাসন্তী মেলার আয়োজন করা হয়েছিল। আমরা বাসন্তী মেলা দেখার জন্য ভিতরের দিকে প্রবেশ করার পর ভিড়ের কারণে হাঁটতে পারছিলাম না। ভিড়ের কারণে মেলার ভিতরে ঢুকে ভিডিও করতে বেশ ভালোই ঝামেলা হয়েছিল। তবুও চেষ্টা করেছি ভালোভাবে ভিডিওগ্রাফি ক্যাপচার করার জন্য। আসলে সেদিন ছিলো বাসন্তী মেলার প্রথম দিন। তাই সেদিন অনেক স্টল একেবারেই প্রস্তুত করা হয়নি। তবে মেলায় জামাকাপড় থেকে শুরু করে অনেক কিছুই বিক্রি করা হয়েছিল। কিন্তু সবগুলো স্টল সেদিন রেডি থাকলে, হয়তোবা মেলা আরও জমজমাট হতো। আমরা বাসন্তী মেলায় বেশ কিছুক্ষণ ঘুরাঘুরি করেছিলাম,তবে তেমন কিছুই কেনা হয়নি। আসলে মেলার মধ্যে তেমন ইউনিক কিছু না পেলে আমার কিনতে ইচ্ছে করে না। যাইহোক বাসন্তী মেলায় ঘুরাঘুরি করে, রমনা পার্ক থেকে বের হয়ে আমরা বঙ্গবন্ধু মিলিটারি মিউজিয়ামের উদ্দেশ্য রওনা দিয়েছিলাম মেট্রো তে চড়ে।

ভিডিওগ্রাফির পাশাপাশি কিছু ফটোগ্রাফিও করে নিয়েছিলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করতে। কারণ আপনাদের সাথে যেকোনো কিছু শেয়ার করতে পারলে ভালো লাগা দ্বিগুণ হয়ে যায়। ফটোগ্রাফি এবং ভিডিওগ্রাফি করতে আমার সবসময়ই ভীষণ ভালো লাগে। কারণ সুন্দর সুন্দর মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দী করা আমার এক ধরনের শখ বলা যায়। সবমিলিয়ে সেই মুহূর্তের অনুভূতিটা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। মানুষের চিৎকার চেচামেচির সাউন্ড ছিলো প্রচুর, তাই আমি ব্যাকগ্রাউন্ডের অরিজিনাল সাউন্ড দূর করে মিউজিক অ্যাড করে দিয়েছি। নয়তো আপনারা হয়তোবা বিরক্ত বোধ করতেন সেই শব্দের কারণে। যাইহোক ভিডিওগ্রাফিটা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের কাছে খুব ভালো লাগবে।