প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি রেসিপি পোস্ট শেয়ার করবো। আপনারা অনেকেই জানেন যে, আমি মাঝে মধ্যে বাসায় বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে থাকি। যাইহোক গতকালকে সন্ধ্যার পর আপেলের জুস তৈরি করেছিলাম। আপেল আমাদের শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী। তবে আপেল খেতে আমার তেমন ভালো লাগে না। কিন্তু আপেলের জুস খেতে দারুণ লাগে। তাই ভেবেছিলাম আপেলের জুস তৈরি করবো। খুবই অল্প কিছু উপকরণ দিয়ে, একেবারে অল্প সময়ের মধ্যেই আপেলের জুস তৈরি করে ফেলেছিলাম। ফ্রিজে আইস কিউব ছিলো না বলে, আইস কিউব ব্যবহার করতে পারিনি। তবে আপনারা চাইলে আইস কিউব ব্যবহার করতে পারেন। আসলে এই তীব্র গরমে ফলের ঠান্ডা ঠান্ডা জুস খেতে দারুণ লাগে। আমি চার গ্লাসের পরিমাণে জুস তৈরি করেছিলাম। আপনারা চাইলে আরও বেশি পরিমাণে তৈরি করতে পারেন। যাইহোক আপেলের জুস খেতে সত্যিই দারুণ লেগেছিল। আপনারা চাইলে আপেলের জুস রেসিপিটা বাসায় তৈরি করতে পারেন। কেননা এক গ্লাস আপেলের জুস আপনাকে এই গরমে অনেকটা স্বস্তি দিবে। যাইহোক রেসিপিটা আমি ধাপে ধাপে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের কাছে খুব ভালো লাগবে।

প্রথমে আপেলের খোসা ফেলে দিয়ে আপেল কেটে ছোট ছোট টুকরো করে নিলাম। তারপর ব্লেন্ডারে দিয়ে দিলাম।

---

---

🍸দ্বিতীয় ধাপ🍸

---

এরপর ৪০০ মি.লি. পানি দিয়ে ব্লেন্ডার করে নিলাম।

---

---

🍸তৃতীয় ধাপ🍸

---

তারপর পরিমাণ মতো চিনি এবং কালোজিরার মধু দিয়ে দিলাম। এরপর আবার ব্লেন্ডার করে নিবো, যাতে করে সবকিছু খুব ভালোভাবে মিক্সড হয়।

---

---

🍸চতুর্থ ধাপ🍸

---

ব্লেন্ডার করা হয়ে গেলে,একটি ছাঁকনি এবং জগ নিলাম। ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে আপেলের নির্যাস ফেলে দিয়ে শুধুমাত্র আপেলের রসটা নিয়ে নিবো। তাহলে জুসটা পাতলা হবে এবং খেতে দারুণ লাগবে। আপেলের নির্যাস ফেলে না দিলে জুসটা অনেক গাঢ় থাকে এবং খেতে তেমন ভালো লাগে না।

---

---

🍸পঞ্চম ধাপ🍸

---

আপেলের নির্যাস ফেলে দিয়ে আপেলের রস নিয়ে নিলাম।

---

---

🍸ষষ্ঠ ধাপ🍸

---

আপনারা দেখতে পাচ্ছেন বেশ ভালো পরিমাণে জুস বের হয়েছে। মোট চার গ্লাস পরিমাণে জুস বের হয়েছে। কিন্তু আমি দুটি গ্লাসে ঢেলে পরিবেশন করবো।

---

---

🍸পরিবেশন🍸

---

দুটি গ্লাসে ঢেলে সুন্দরভাবে পরিবেশন করার চেষ্টা করলাম। আপেলের জুস খেতে আসলেই দারুণ লেগেছিল।