আজকে আমি আপনাদের সামনে একটি নাটকের রিভিউ নিয়ে হাজির হয়েছি। নাটকের নাম হচ্ছে সুইট ফ্যামিলি। এই নাটকটি ১০/১২ দিন আগে রিলিজ হয়েছে। এই নাটকটি অল্প কয়েকদিনে বেশ ভালোই জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। যাইহোক এই নাটকের প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছে মুশফিক আর ফারহান এবং অর্চিতা স্পর্শিয়া। এই নাটকটি মূলত একটি রোমান্টিক নাটক,তাই দেখতে খুব ভালো লেগেছে আমার কাছে। মাঝে মধ্যে সময় পেলে আমি বাংলা নাটক দেখি। একসময় হিন্দি মুভি অনেক দেখা হতো, তবে এখন এতোটা সময় নিয়ে মুভি দেখার সময় হয়ে উঠে না। তাই বিনোদনের জন্য অল্প সময়ে বাংলা নাটক দেখা হয়। যাইহোক আপনাদের সাথে এই নাটকের রিভিউ শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের কাছে খুব ভালো লাগবে।

নাটকের শুরুতে দেখা যায়, নাটকের নায়ক ফারহান এবং নায়িকা স্পর্শিয়া সদ্য বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে। অর্থাৎ পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। ফারহান তার পরিবারের সঙ্গে থাকে। তার পরিবারে মা বাবা,ভাই ভাবী সহ সবাই রয়েছে। অর্থাৎ তারা সবাই একসাথে বসবাস করে। এককথায় বলতে গেলে তাদের একেবারে হাসিখুশি পরিবার। ফারহানদের ফ্যামিলিগত বিজনেস রয়েছে এবং তার বাবা আগে একাই সে বিজনেস সামলাতেন। কিন্তু এখন তার বাবা বাসায় থাকেন বয়স হয়ে গিয়েছে বলে। তো ফারহান এবং তার বড় ভাই সেই বিজনেস সামলাচ্ছে। স্পর্শিয়া এতো সুন্দর একটি পরিবার পেয়ে সত্যিই খুব খুশি। তারা সবাই মিলে একসাথে আড্ডা দেয়, মজা করে এবং ফারহানের বাবা মাঝেমধ্যে সবাইকে গান শুনিয়ে বিনোদন দিয়ে থাকে। তো ফারহান এবং স্পর্শিয়ার সম্পর্ক খুবই ভালো। তারা হঠাৎ একদিন বলাবলি করে যে,তাদের নাকি একটু ঝগড়াঝাঁটি করা দরকার।

ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে

এতে করে নাকি সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়। তো তারা ঝগড়া করার কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করলেও,শেষ পর্যন্ত খুঁজে পায় না। যাইহোক সবমিলিয়ে তাদের খুব ভালো সময় কাটছিলো। তো ফারহান বিয়ে করেছে বলে অফিসে বেশ কয়েকদিন যায়নি। হঠাৎ করে একদিন মিটিংয়ের জন্য তাকে অফিসে যেতে হয়। যদিও স্পর্শিয়া চাইছিলো ফারহান যাতে অফিসে না যায়। কারণ ফারহান অফিসে গেলে স্পর্শিয়া তাকে ভীষণ মিস করবে। তবে ফারহানকে সেদিন অবশ্যই অফিসে যেতে হয়। কারণ সেদিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ মিটিং ছিলো অফিসে। যাইহোক ফারহান অফিসে যাওয়ার বেশ কিছুক্ষণ পর, স্পর্শিয়া ফারহানকে ফোন করে। কিন্তু ফারহান তখন মিটিংয়ে ছিলো। তবুও ফারহান ফোন রিসিভ করে স্পর্শিয়ার সাথে কথা বলে। তবে ফারহান তাড়াতাড়ি ফোন রেখে দেওয়ার চেষ্টা করে। আর তখন স্পর্শিয়া ফারহানকে জিজ্ঞেস করে যে সামনে কোনো সুন্দরী মেয়ে বসে আছে নাকি।

ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে

কিন্তু ফারহান বলে যে কোনো মেয়ে না,বরং শুধুমাত্র ছেলেরা বসে আছে। যাইহোক ফোন রেখে দেওয়ার কিছুক্ষণ পর স্পর্শিয়া ফারহানের জন্য লাঞ্চ নিয়ে অফিসে যায়। তখনও ফারহান মিটিংয়ে ছিলো। কিন্তু স্পর্শিয়া যখন দেখলো সেখানে মেয়েও রয়েছে। তখন স্পর্শিয়া খুব রাগ করে এবং সে ভাবে যে, ফারহান তাকে মিথ্যা কথা বলেছে। তারপর স্পর্শিয়া বাসায় চলে যায়। ফারহান অফিস থেকে বাসায় যাওয়ার পর স্পর্শিয়া ফারহানের সাথে ঠিকমতো কথা বলে না। আসলে স্পর্শিয়া ভাবেনি ফারহান তার সাথে মিথ্যা বলবে। এতে করে স্পর্শিয়া ভীষণ কষ্ট পায়। তারপর স্পর্শিয়া বলে যে, সে কিছুদিনের জন্য তার বাবার বাড়িতে বেড়াতে যাবে। এরপর স্পর্শিয়া রাগ করে তাদের বাসায় চলে যায়। যাইহোক এরপর কি হলো সেটা জানতে হলে আপনাদেরকে অবশ্যই নাটকটি দেখতে হবে।

ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে

বছরের শুরুতে এমন রোমান্টিক একটি নাটক দেখে ভীষণ ভালো লেগেছিল আমার। এমন সুখী পরিবার দেখতে আসলেই খুব ভালো লাগে। পরিবারের সবাইকে নিয়ে বসবাস করার আনন্দটাই অন্য রকম। কিন্তু বর্তমানে এমনটা খুবই কম দেখা যায়। পরিবারের মানুষজনও একজনের পিছনে একজন লেগে থাকে। অকারণে ঝগড়াঝাঁটির সৃষ্টি করে। এতে করে সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায়। যাইহোক ভালোবাসার সম্পর্ক বাঁচিয়ে রাখতে হলে অবশ্যই যত্ন করতে হয়। তাছাড়া ভালোবাসার মানুষের সাথে মিথ্যা কথা বলা একেবারেই উচিত নয়। এতে করে বিশ্বাস নষ্ট হয়ে যায়। এই নাটকে ফারহান মিথ্যা কথা বলেছিলো বলে,স্পর্শিয়া ভীষণ কষ্ট পায়। মিথ্যা কথার কারণে সুন্দর সুন্দর সম্পর্কে ডিভোর্সের দিকে রূপ নেয়। সুতরাং আমাদের সবার উচিত মিথ্যা কথা বলা থেকে বিরত থাকা এবং ভালোবাসার মানুষের যত্ন করা। সবমিলিয়ে এই জুটির অভিনয় দারুণ লেগেছে আমার কাছে।

আমার রেটিং