আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি ভ্রমণ বিষয়ক পোস্ট শেয়ার করবো। গত সপ্তাহে এই ট্যুরের অষ্টম পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম এবং আজকে নবম পর্ব শেয়ার করতে যাচ্ছি। যাইহোক আমরা নির্বাণনগর মন্দির দেখার জন্য পাহাড়ের উপর উঠতে লাগলাম। তবে পাহাড় খুব বেশি উঁচু ছিলো না। যে কেউ চাইলে সেই পাহাড়ে উঠতে পারবে। আমরা তো পাহাড়ে খুব সহজেই উঠে গেলাম। পাহাড়ের উপর থেকে কাপ্তাই লেকের সৌন্দর্য দেখে চোখ দুটি একেবারে জুড়িয়ে গিয়েছিল। আমি পাহাড়ের উপর থেকে কাপ্তাই লেকের বেশ কিছু ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করেছিলাম। তাছাড়া পাহাড়ের উপরের দৃশ্য গুলো উপভোগ করার চেষ্টা করছিলাম।
তো একটু সামনে হেঁটে যাওয়ার পর দেখতে পেলাম পাহাড়ি দুইজন মহিলা ডাব সহ অন্যান্য জিনিসপত্র বিক্রি করছে। আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম সবাই মিলে ডাব কিনে খাবো। কারণ পাহাড়ি ডাব দারুণ মিষ্টি হয়ে থাকে। তাছাড়া পাহাড়ি পেঁপে,কলা,আনারস খেতেও খুব মিষ্টি লাগে। যাইহোক সবার জন্য ডাব কিনলাম। খুব সম্ভবত প্রতি পিস ডাব ১২০ টাকা করে নিয়েছিল। ডাবের পানি সত্যিই খুব মিষ্টি ছিলো। তাছাড়া ডাবের ভিতরে পাতলা নারিকেলের মতো যেটা থাকে, সেটাও খুব মিষ্টি ছিলো। সত্যি বলতে বেশ মজা করে ডাব খেয়েছিলাম সেদিন। যাইহোক ডাবের বিল দিয়ে, আমরা নির্বাণনগর মন্দিরের দিকে যেতে লাগলাম। অল্প একটু সামনে যেতেই দেখতে পেলাম নির্বাণনগর মন্দির। একেবারে গোল্ডেন কালারের মূর্তিটা অনেক সুন্দরভাবে তৈরি করা হয়েছে।
আশেপাশে দেখলাম অনেক মানুষ এসেছে নির্বাণনগর মন্দির দেখতে। বোটে বসে দূর থেকে মূর্তিটা দেখতে যতটা সুন্দর লেগেছিল, সামনা-সামনি দেখতে আরও বেশি সুন্দর লেগেছিল। আমি নির্বাণনগর মন্দির এবং আশেপাশের চমৎকার দৃশ্যগুলো ক্যামেরাবন্দী করার চেষ্টা করলাম। তারপর আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম পাহাড়ের উপর থেকে নিচের দিকে নেমে যাবো। তবে আমরা অন্য রাস্তা দিয়ে পাহাড়ের নিচে নেমে গেলাম। আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম বোটে উঠে আবারও রওনা দিবো অন্য স্পটে যাওয়ার জন্য। কারণ আমাদের আরও কিছু স্পট দেখা বাকি ছিলো। এরমধ্যে একজন ফ্রেন্ড বললো যে আদিবাসী মার্কেটে ঢুকে কিছু কেনাকাটা করবে। আদিবাসী মার্কেট সেখানেই ছিলো। অর্থাৎ নির্বাণনগর মন্দিরের পাশেই আদিবাসী মার্কেট অবস্থিত।
তো আমরা আদিবাসী মার্কেটে ঢুকে বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র দেখতে লাগলাম। পরবর্তীতে আমি ওয়াইফ এর জন্য কিছু ড্রেস দেখতে লাগলাম। তবে ড্রেস সেভাবে পছন্দ করতে পারছিলাম না বলে,শেষ পর্যন্ত আর কেনা হয়নি। তো আমরা আদিবাসী মার্কেট থেকে কিছুই কিনিনি। পরবর্তীতে আমরা ভেবেছিলাম পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের পাশে থাকা মার্কেট থেকে কেনাকাটা করবো। যাইহোক আমরা বোটে উঠে অন্য স্পটের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। এরমধ্যে কয়েকজন বলতে লাগলো সারাদিন বোটের মধ্যে বসে বসে, বোটের শব্দে বিরক্ত লাগছে। তাই রাঙ্গামাটিতে আর অন্য কোনো স্পট দেখবে না। অর্থাৎ সবাই রাঙ্গামাটি থেকে রওনা দিয়ে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের দিকে যেতে চাচ্ছিলো। যাইহোক এরপর আমরা আর কি কি করলাম, সেটা পরবর্তী পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। (চলবে)
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | ভ্রমণ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ১.১২.২০২৪ |
লোকেশন | রাঙ্গামাটি,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
X-promotion
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ডেইলি টাস্ক প্রুফ:
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার অনেক সুন্দর সুন্দর স্থান ভ্রমণ করে থাকেন। আর এই সমস্ত স্থানগুলো দেখলে আমার খুবই ভালো লাগে। সত্যি আমাদের দেশটা কতই না সুন্দর। দেশের সৌন্দর্য গুলো স্বচক্ষে দেখতে না পারলে আপনাদের মাধ্যমে দেখতে পারি। আদিবাসীদের মার্কেট দেখতে পারলাম আপনার জন্য। বেশ দারুণ সব ফল রয়েছে এখানে। আর আপনার সেলফিটা অসাধারণ হয়েছে ভাইয়া।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভ্রমণ করতে আমার খুব ভালো লাগে। আশা করি খুব শীঘ্রই সিলেট ভ্রমণে যাবো। যাইহোক এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার ভ্রমন পোষ্ট থেকে রাঙ্গামাটির সৌন্দর্য্য দেখে ভালো লাগলো।আপনারা ডাব খেয়েছেন সেখানে জেনেও ভালো লাগলো।আসলে পাহাড়ের ফল-মূলগুলি খেতে মনে হয় বেশিই ভালো লাগে।দারুণ সময় পার করেছেন আশা করি,ধন্যবাদ ভাইয়া।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঠিক বলেছেন আপু,পাহাড়ি ফলমূল খেতে দারুণ লাগে। হ্যাঁ আমরা দারুণ সময় কাটিয়েছিলাম। যাইহোক পোস্টটি পড়ে যথাযথ মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
পর্যটন এলাকাগুলোতে অনেকেই দারুণ ব্যবসা করছে। বিভিন্ন রকমের খাবার বিক্রি করছে। অনেকে তো আবার ডাবল দামে বিক্রি করছে। আপনার ভ্রমণ পোস্ট দেখে ভালো লাগলো ভাইয়া।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
পর্যটন এলাকায় যেকোনো জিনিসপত্রের দাম এমনিতেই বেশি নিয়ে থাকে। গুছিয়ে মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit