প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত নিত্য নতুন পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করতে। সেই প্রেক্ষাপটে আজকে আমি আবারো একটি ভিডিওগ্রাফি পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি। দাদার পোস্ট ভেরিয়েশন পোস্টটি শেয়ার করার পর অনেকেই ভিডিওগ্রাফি পোস্ট শেয়ার করে যাচ্ছে। অনেকের ভিডিওগ্রাফি পোস্ট দেখে আমি ভীষণ অনুপ্রাণিত হয়েছি। আমরা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাই বা কোন সুন্দর কিছু চোখে পড়লে আমরা ফটোগ্রাফি করি সচরাচর। তবে অনেক সময় ফটোগ্রাফির মাধ্যমে সবকিছু তুলে ধরা সম্ভব হয় না। তাই অনেক সময় ভিডিওগ্রাফি করার প্রয়োজন হয়।

ভিডিওগ্রাফি থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে

ঘোড়ার দৌড় প্রতিযোগিতা দেখতে আমার খুব ভালো লাগতো অনেক আগে থেকেই। তবে বাংলাদেশে থাকা অবস্থায় সামনাসামনি কখনো ঘোড়ার দৌড় প্রতিযোগিতা দেখা হয়নি। কিন্তু টিভিতে অনেক দেখেছিলাম। দক্ষিণ কোরিয়াতে থাকা অবস্থায় এক বন্ধুর কাছে শুনেছিলাম, সিউল রেসকোর্স পার্কে ঘোড়ার দৌড় প্রতিযোগিতা হয়। ঘোড়া পছন্দ করে(বেটিং) লাগানোর সুযোগ রয়েছে সেখানে। তারপর আমি বললাম বেটিং করবো না,তবে আমার খুব ইচ্ছে সরাসরি ঘোড়ার দৌড় প্রতিযোগিতা দেখার। তারপর থেকে ছুটির দিনে প্রায়ই যেতাম ঘোড়ার দৌড় প্রতিযোগিতা দেখতে। বিশাল বড় স্টেডিয়াম জুড়ে হাজার হাজার মানুষ ঘোড়ার দৌড় প্রতিযোগিতা দেখতে যায় এবং পছন্দের ঘোড়ার উপর বাজি ধরে। শুনেছি অনেক কোরিয়ানরা নাকি বেটিং করে টাকা ইনকাম করে তাদের সংসার চালায়।

সেখানে বেটিং করার জন্য টিকেট সিস্টেম করা আছে এবং অনেক গুলো কাউন্টার রয়েছে। অল্প এমাউন্ট থেকে শুরু করে অনেক বড় এমাউন্ট এর বেটিং করা যায় সেখানে। যাইহোক আমরা সবাই সেখানে গিয়ে অনেক মজা করেছিলাম। ২০১৮ সালে আমি এই ভিডিওটা করেছিলাম। গুগল ফটোসে খুঁজে এই ভিডিওটা পেলাম। তাই ভাবলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করলে আপনারাও একটু বিনোদন পাবেন সম্পূর্ণ ভিডিওগ্রাফিটা দেখে। হয়তোবা অনেকে এমন ভিডিও এর আগে কখনো দেখেননি। ফটোগ্রাফি এবং ভিডিওগ্রাফি করতে আমার আগে থেকেই ভীষণ ভালো লাগতো। কারণ সুন্দর সুন্দর মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দী করা আমার এক ধরনের শখ বলা যায়। সবমিলিয়ে সেই মুহূর্তের অনুভূতিটা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। এককথায় দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছি আমরা। যাইহোক ভিডিওগ্রাফিটা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের কাছে খুব ভালো লাগবে।