প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি রেসিপি পোস্ট শেয়ার করবো। আপনারা অনেকেই জানেন যে, আমি মাঝে মধ্যে বাসায় বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে থাকি। কিছুদিন আগে আপনাদের সাথে চিংড়ি মাছের ভুনা রেসিপি শেয়ার করেছিলাম। চিংড়ি মাছের যেকোনো রেসিপি আমার ভীষণ পছন্দ। তাছাড়া চিংড়ি মাছ পছন্দ করে না এমন মানুষ নেই বললেই চলে। যদিও এলার্জি জনিত সমস্যার কারণে অনেকে চিংড়ি মাছ খেতে পারে না। যাইহোক চিংড়ি মাছ এবং ডিম দিয়ে চাল কুমড়ার মজাদার রেসিপি তৈরি করেছিলাম। এর আগে চাল কুমড়া দিয়ে চিংড়ি মাছ রান্না করে অনেক বার খেয়েছিলাম,কিন্তু এইবার সাথে ডিম দিয়েছি বলে রেসিপির স্বাদ অনেকাংশে বেড়ে গিয়েছে। রেসিপিটা আমাদের বাসার সবাই বেশ পছন্দ করেছিল। কারণ এই রেসিপিটা খেতে আসলেই খুব সুস্বাদু লেগেছিল। তাছাড়া রেসিপির কালারটাও দারুণ এসেছিল। আপনারা চাইলে এই রেসিপিটা বাসায় তৈরি করে খেতে পারেন। যাইহোক রেসিপিটা আমি ধাপে ধাপে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের কাছে খুব ভালো লাগবে।

প্রথমে একটি কড়াইয়ের মধ্যে পরিমাণ মতো সয়াবিন তেল ঢেলে দিলাম। তেল একটু গরম হওয়ার পর, কেটে রাখা চিংড়ি মাছ গুলো এবং পেঁয়াজ কুঁচি দিয়ে দিলাম। তারপর হালকা ভেজে পরিমাণ মতো লবণ দিয়ে দিলাম।

🍲দ্বিতীয় ধাপ🍲

এরপর পরিমাণ মতো হলুদ মরিচের গুঁড়া এবং আদা রসুন বাটা দিয়ে ভালোভাবে কষিয়ে নিলাম। তারপর কেটে রাখা চাল কুমড়ার টুকরো গুলো দিয়ে দিলাম।

🍲তৃতীয় ধাপ🍲

তারপর ভালোভাবে নেড়ে চাল কুমড়ার টুকরো গুলো মসলা গুলোর সাথে মিশিয়ে নিলাম। এরপর পরিমাণ মতো পানি দিয়ে দিলাম এবং ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিবো ৪/৫ মিনিটের জন্য।

🍲চতুর্থ ধাপ🍲

৪/৫ মিনিট পর ঢাকনা খুলে দেখলাম পানিতে বলক চলে এসেছে। তারপর আগে থেকে কেটে রাখা টমেটো এবং কাঁচামরিচ গুলো দিয়ে দিলাম। এরপর আবারও ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিবো ৩/৪ মিনিটের জন্য।

🍲পঞ্চম ধাপ🍲

এরপর ডিম দুটি ভেঙে একটি বাটিতে নিয়ে ভালোভাবে নেড়ে নিলাম। তারপর ঢাকনা খুলে কড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে দিলাম। এরপর আবারও ঢাকনা দিয়ে ২ মিনিট ঢেকে রাখার পর, ঢাকনা খুলে ধনিয়াপাতা দিয়ে দিলাম। তারপর চুলা বন্ধ করে দিলাম। আর এভাবেই রেসিপিটা তৈরি করে ফেললাম।

🍲পরিবেশন🍲

তারপর একটি প্লেটে ঢেলে পরিবেশন করলাম। রেসিপিটা খেতে সত্যিই দারুণ লেগেছিল।