ভ্রমণ পোস্ট || ওয়াইফকে নিয়ে কক্সবাজার ভ্রমণ (সপ্তম পর্ব)

in hive-129948 •  6 months ago 

আসসালামু আলাইকুম,

আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।


ষষ্ঠ পর্ব


প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি ভ্রমণ বিষয়ক পোস্ট শেয়ার করবো। এর আগে আমি আপনাদের সাথে কক্সবাজার ভ্রমণের ষষ্ঠ পর্ব শেয়ার করেছিলাম এবং আজকে সপ্তম পর্ব শেয়ার করতে যাচ্ছি। যাইহোক গত পর্বে শেয়ার করেছিলাম আমরা মিনি বান্দরবান ঘুরাঘুরি করে, কাঁকড়া বিচের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। তো সিএনজি তে চড়ে আমরা অল্প সময়ের মধ্যেই কাঁকড়া বিচে পৌঁছে গিয়েছিলাম। আমরা মেইন রাস্তায় নামার পর আশেপাশের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। বিশেষ করে কাঠের ব্রিজের মতো ছিলো, সেটা দেখে খুব ভালো লেগেছিল। মূলত মেইন রাস্তা থেকে কাঁকড়া বিচের দিকে যেতে হলে প্রথমে কাঠের ব্রিজ দিয়ে যেতে হবে। তারপর ঝাউবন রয়েছে এবং ঝাউবনের মাঝখান দিয়ে খুব সুন্দর রাস্তা তৈরি করা হয়েছে।


Notes_240527_212748_a59.jpg

Notes_240527_212743_2ab.jpg

Notes_240527_213222_778.jpg


প্রচুর ঝাউগাছ রয়েছে সেখানকার ঝাউবনে। যাইহোক আমরা মেইন রাস্তা থেকে নিচে নামার সময় দেখলাম পাকা পেঁপে বিক্রি করছে। তাছাড়া পেয়ারা মাখা ছিলো সেখানে। পাকা পেঁপে বরাবরই আমার খুব পছন্দ, তাই আমার জন্য পাকা পেঁপে নিয়েছিলাম ১ প্লেট এবং আমার ওয়াইফ এর জন্য পেয়ারা মাখা নিয়েছিলাম। পাকা পেঁপে বেশ মিষ্টি লেগেছিল খেতে। যাইহোক আমরা খাওয়া শেষ করে কোল্ড ড্রিংকস এবং পানি নিয়ে নিলাম। কারণ বিচের দিকে তো আর পানি পাওয়া যাবে না। আর তখন দুপুর ৩ টার মতো বাজে, তাই প্রচুর রোদ ছিলো তখন। তারপর সিএনজি ড্রাইভারের জন্য কেক এবং কোল্ড ড্রিংকস কিনে দিয়ে, আমরা কাঠের ব্রিজে উঠে কাঁকড়া বিচের দিকে যেতে লাগলাম। কাঠের ব্রিজে উঠে চারপাশের দৃশ্য দারুণভাবে উপভোগ করার চেষ্টা করলাম এবং ফাঁকে ফাঁকে কিছু ফটোগ্রাফি করে নিয়েছিলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।


Notes_240527_212744_f00.jpg

Notes_240527_212933_579.jpg

Notes_240527_212751_3a0.jpg


যাইহোক তারপর সামনের দিকে এগিয়ে দেখলাম যে অনেক সুন্দর একটি ঝাউবন রয়েছে। লাবণী বিচের দিকে অল্প কিছু ঝাউগাছ রয়েছে, কিন্তু সেখানে অনেক ঝাউগাছ রয়েছে। তবে সেখানে লেখা ছিলো ঝাউবনের ভিতরে ঢোকা নিষেধ। তবুও দেখলাম অনেকে ঝাউবনের ভিতরে প্রবেশ করেছে। আসলে আমাদের বাঙালিদের স্বভাব এমনই। যেটা নিষেধ করা হয়,সেটা আরও বেশি করে। যাইহোক ঝাউবনের কিছু ফটোগ্রাফি করে সামনের দিকে এগিয়ে গেলাম। যাওয়ার পর দেখলাম যে কাঁকড়া বিচে প্যারাসেলিং টিকিট কাউন্টার। কক্সবাজারের অন্যান্য বিচ গুলোতে প্যারাসেলিং করা যায় কিনা, সেটা আমার সঠিক জানা নেই। কারণ অনেক গুলো বিচ ঘুরে আমি কোথাও প্যারাসেলিং টিকিট কাউন্টার দেখিনি। যাইহোক ইউটিউবে প্যারাসেলিং করার অনেক ভিডিও দেখলেও, আমি কখনো প্যারাসেলিং করিনি।


Notes_240527_212746_296.jpg

Notes_240527_212749_34f.jpg

Notes_240527_213220_e66.jpg


তবে এবার ভেবেছিলাম যে প্যারাসেলিং করবো,কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটা হয়ে উঠেনি। কিন্তু সেদিন অন্য কাউকে দেখলাম না প্যারাসেলিং করতে। এটা দেখে কিছুটা অবাক হয়েছিলাম। আপনারা যদি প্যারাসেলিং করতে চান,তাহলে কাঁকড়া বিচে যেতে পারেন। যাইহোক প্রচন্ড রোদ উপেক্ষা করে আমরা কাঁকড়া বিচের দিকে যেতে লাগলাম। তবে তখন শীতকাল ছিলো বলে তীব্র রোদ তেমন একটা খারাপ লাগেনি। পাশাপাশি মোটামুটি বাতাসও ছিলো। বিচের দিকে গিয়ে দেখলাম মানুষের আনাগোনা খুবই কম। বিচের পানির সামনে যাওয়ার আগে আমরা প্রথমে কাঁকড়া খুঁজতে লাগলাম। বেশ কিছুক্ষণ খোঁজার পর ছোট ছোট অনেকগুলো কাঁকড়া দেখেছিলাম সেই বিচে। তবে সামনে যাওয়ার পর কাঁকড়া গুলো গর্তের ভিতরে ঢুকে যায়। আমি কাঁকড়া গুলোর কিছু ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু গর্তের ভিতরে ঢুকে যায় বলে ভালোভাবে ফটোগ্রাফি করতে পারিনি। যাইহোক কাঁকড়া বিচে আমরা আর কি কি করলাম, সেটা পরবর্তী পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। (চলবে)


Notes_240527_212753_ca7.jpg

Notes_240527_212757_836.jpg

Notes_240527_212755_31c.jpg



2FFvzA2zeqoVJ2SVhDmmumdPfnVEcahMce9nMwwksSDdRvZA8GzS2DQRCenaYmQc8PKmKoqUpUeK1EYkXvpDQ1G4vq9r2thnL24nVMe9HEoTA18P3XxZmEBqKV5Qa.png

পোস্টের বিবরণ

ক্যাটাগরিভ্রমণ
ফটোগ্রাফার@mohinahmed
ডিভাইসSamsung Galaxy Note 20 Ultra 5g
তারিখ২৮.৫.২০২৪
লোকেশনw3w

বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।

পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

9vWp6aU4y8kwSZ9Gw15LFL3aMdhmgmBBFMpDJregpdP328CzpX9QvbjSPXbrW8KqUMMwTrRCn3xcSQ6EA6R67TcD5gLnqAWu8W41xe41azymkyM19LEXr548bkstuK4YE8RXJKQJWbxQ1hVAD.gif

আমার পরিচয়

IMG-20240212-WA0036.jpg

🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹

5ZJ4Z52ZRyQfNkCWFfXsATSsPtfkBwT3a5k8RVinr67352Jpu6E5J43D5L7yhn5d5CrcpnTvTLcF5db3ftZK7V9GzsAkLjb3PriF27x53soS8yKq9EnT1Gez2W6L2XUZu7jXnMduxdzGd4QzpYoozSDTPz3jUEkZ8x9rPrFry12vk2pkpsukTxq2kgJhF2zDYwrV.png

cyxkEVqiiLy2ofdgrJNxeZC3WCHPBwR7MjUDzY4kBNr81RRg3nBstm6z4qmufGsvFT24rqXwtpQD564XVCvACqesd3KULjLw7vQPhCNBNpraDPBk9z8jqn3ncuykugzMhQ2.png

6nSeSEzKEwjJN68tMqgZXvpyk1cf2ihqXgmWESDgXSh21PxWHDWW9CETD5B5Jw9Q6ERAnD25KhyHKAX53jBLJKQRtPJf1WFG3aJd6PXbp2rpTXdWPxnRnq65CqtM8PawHiD5knScnfCbWvcVRuFVv1rtwzsXe59AixEGDGYZT2EWzPMzrWjWrbujcJd79Q1Sjs2X.gif

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

image.png

পরিবারকে সাথে নিয়ে মাঝেমধ্যে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার মজা আলাদা। আর সবার ঠিক এভাবে পরিবারের সাথে সময় দেয়ার প্রয়োজন রয়েছে। বেশ ভালো লাগলো আপনার সুন্দর এই ভ্রমণ বিষয়ক পৌঁছে দেখে। যেখানে ঈদের পর কক্সবাজারে ভ্রমণ করতে গিয়েছিলেন আপনারা সেটা আমি জানি। আর সেই বিষয়ে বেশ সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাথায় উপস্থাপন করেছেন দেখে আরো ভালো লাগলো।

ঈদের পর শ্রীমঙ্গল ভ্রমণ করতে গিয়েছিলাম ভাই। আর এই বছর ফেব্রুয়ারিতে কক্সবাজার ভ্রমণ করতে গিয়েছিলাম। যাইহোক পোস্টটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনাদের কক্সবাজার কাঁকড়া বিচ ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্তটা ভীষণ ভালো লেগেছে। পেয়ারা মাখা খেতে আমার নিজেরও ভীষণ ভালো লাগে। আপনারাও দেখছি খেয়েছেন। তাছাড়া জায়গাটা দেখছি খুবই সুন্দর। ঝাউবন দেখতে বেশ ভালো লাগছিল। আপনারা তো দেখছি বেশ সুন্দর সুন্দর জায়গাগুলোতে ঘুরেছেন। আশা করি পরবর্তী পর্বে নিশ্চয়ই আরো সুন্দর প্রচুর জায়গা দেখতে পারবো।

হ্যাঁ আপু কক্সবাজারের সুন্দর সুন্দর স্পট গুলো ঘুরেছি এবার। যাইহোক পোস্টটি পড়ে গুছিয়ে মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

মিনি বান্দরবানের একটা ভিডিওগ্রাফি দেখেছিলাম। মিনি বান্দরবান থেকে আপনারা কাকড়া বিচে গিয়েছেন জেনে খুব ভালো লাগলো। কাকড়া বিচে কাটানো মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। বেশ ভালো খাওয়া দাওয়া করেছেন সেখানে। আশেপাশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যগুলো দেখে মুগ্ধ হলাম। আপনাদের কাটানো দারুন মুহূর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

কাঁকড়া বিচ আসলেই খুব সুন্দর একটি জায়গা। যাইহোক পোস্টটি পড়ে সুন্দর ও সাবলীল ভাষায় মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

আপনার কাছ থেকে কক্সবাজার ভ্রমণের একের পর পর্বগুলো দেখে আসছি। খুব সুন্দরভাবে আজকে আপনি এই কক্সবাজার ভ্রমণের পর্বটি শেয়ার করেছেন৷ খুব সুন্দরভাবে সবকিছু ফুটিয়ে তুলেছেন৷ সবকিছু ফটোগ্রাফির মাধ্যমে সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন৷ সবকিছু একেবারে চেনা মনে হচ্ছে। পরবর্তীতে আরো কিছু সুন্দর পর্ব দেখার আশায় রইলাম৷

চেষ্টা করছি প্রতিটি পর্ব চমৎকারভাবে তুলে ধরতে। মূলত যারা কক্সবাজার কখনো যায়নি,পর্বগুলো পড়ে তারা যাতে কিছুটা হলেও উপকৃত হয়। যাইহোক ধন্যবাদ আপনাকে।