প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। কয়েকদিন ধরেই প্ল্যান করছিলাম যে বইমেলায় যাবো। পরশুদিন বিকেলেও সেদিকে গিয়েছিলাম এবং বাসায় ফেরার সময় বইমেলার গেটের সামনে দিয়েই বাসায় এসেছিলাম। কিন্তু হাতে পর্যাপ্ত সময় না থাকার কারণে বইমেলায় প্রবেশ করা হয়নি পরশুদিন। বইমেলায় এর আগেও বেশ কয়েকবছর গিয়েছিলাম আমি। যাইহোক গতকালকে শুক্রবার ছিলো। তো জুমার নামাজ আদায় করে বাসায় লাঞ্চ করার পর, আমার ওয়াইফকে জিজ্ঞেস করলাম অমর একুশে বইমেলায় যাবে কিনা। তো বলার সাথে সাথেই সে রাজি হয়ে গেলো। তারপর আমরা লাঞ্চ করে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে বাসা থেকে বের হলাম ৩.৩০ টার পর। ঘন্টা খানেক এর মধ্যেই আমরা বই মেলার গেইটে পৌঁছে গেলাম।

---

---

কিন্তু শুক্রবার হওয়ার কারণে প্রচুর মানুষ ছিলো। বইমেলার ভিতরে প্রবেশ করতে করতে অবস্থা একেবারে খারাপ হয়ে গিয়েছিল। কারণ পরশুদিন রাতে প্রচুর বৃষ্টি হয়েছিল। তাই বইমেলার ভিতরে কয়েক জায়গায় পানি জমেছিল। কাঁদা ছিলো হালকা পাতলা। তবে একটা জিনিস খেয়াল করলাম, বেশিরভাগ মানুষ শুধু ঘুরাঘুরি করছে এবং সেলফি তোলা নিয়ে ব্যস্ত। অনেকে দেখলাম ভিডিও করছে বিভিন্ন বুক স্টলের। কিন্তু বই কেনার প্রতি মানুষের আগ্রহ খুবই কম মনে হলো। যাইহোক ঘুরে ঘুরে বেশ কয়েকটি প্রকাশনীতে গিয়ে কয়েকটি বই দেখলাম। পাশাপাশি কয়েকটি ফটোগ্রাফি করেছিলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করতে। এক পাশে দেখলাম শিশু চত্বর সিসিমপুর। সেখানে বাচ্চারা লাফালাফি করছে এবং অনেক আনন্দ করছে।

---

---

চমৎকার এই দৃশ্য দেখতে বেশ ভালো লাগছিল। তারপর আমরা ৭৩৬ নম্বর স্টল খুঁজতে লাগলাম। কারণ @alsarzilsiam ভাই এবং সেলিনা সাথী ম্যাডামের পোস্ট পড়ে ইতিমধ্যেই জানতে পেরেছিলাম, চিলড্রেন হেভেন পাবলিকেশন্স ৭৩৬ নম্বর স্টলে @selinasathi1 ম্যাডামের দুটি কাব্যগ্রন্থ পাওয়া যাচ্ছে। কাব্যগ্রন্থ দুটি হচ্ছে "সাথীর শত কবিতা এবং অবারিত নীল"। যাইহোক সেই স্টলে দুটি মেয়ে ছিলো, তারা বই বিক্রি করছিলো। সেই মেয়ে দুটির কাছে আমি জিজ্ঞেস করলাম সিয়াম ভাই এবং সেলিনা সাথী ম্যাডাম স্টলে আজকে এসেছে কিনা। তখন একটি মেয়ে বললো যে ২১ ফেব্রুয়ারিতে এসেছিলো। যাইহোক আমি বই দুটি হাতে নিয়ে কিছুক্ষণ পড়লাম। তারপর সাথীর শত কবিতা বইটি কিনলাম। সেলিনা সাথী ম্যাডামের কবিতা আমাদের কমিউনিটির সবাই খুব পছন্দ করে।

---

---

তাছাড়া উনার আবৃত্তি এককথায় দুর্দান্ত লাগে আমার কাছে। যাইহোক কবিতা পড়তে এবং আবৃত্তি করতে আমার বরাবরই ভীষণ ভালো লাগে। সেজন্যই মূলত এই বইটি আমি কিনেছি। আমি চেষ্টা করবো খুব শীঘ্রই এই বইয়ের সবগুলো কবিতা পড়তে এবং আবৃত্তি করতে। সবমিলিয়ে বইটি কিনতে পেরে আমি ভীষণ খুশি। তাছাড়া প্রচুর মানুষ থাকলেও বইমেলায় ঘুরাঘুরি করে ভীষণ ভালো লেগেছিল। আমরা প্রায় সন্ধ্যা পর্যন্ত বইমেলায় ঘুরাঘুরি করেছিলাম। সবমিলিয়ে আমরা দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছিলাম। এরপর আমার ওয়াইফ বলছিলো যে তার নাকি কিছু শপিং করতে হবে। তারপর বইমেলা থেকে বের হয়ে একটি রিকশা নিয়ে চলে গেলাম এলিফ্যান্ট রোডের ইস্টার্ন মল্লিকা শপিং মলে।

---

---