সন্ধ্যার পর বন্ধুদের সাথে একটু ঘুরাঘুরি এবং স্ট্রিট ফুড খাওয়ার অনুভূতি

in hive-129948 •  2 years ago 

আসসালামু আলাইকুম,

আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।



প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। গত ফেব্রুয়ারী মাসে শীতের সময় আমি এবং কয়েকজন বন্ধু মিলে হঠাৎ প্ল্যান করলাম বিকেলের দিকে চাষাড়ায় ঘুরতে যাবো এবং সন্ধ্যার পর চাষাঢ়া শহীদ মিনারের পিছনের দিকে স্ট্রিট ফুড খাব। সন্ধ্যার পর স্ট্রিট ফুড খাওয়ার জন্য সেখানে প্রচুর ভিড় হয়। আগে প্রায় সময় যাওয়া হতো সেখানে। তবে সবার ব্যস্ততার জন্য ইদানীং একটু কম যাওয়া হচ্ছে। যাইহোক আমরা তিনজন বাসা বের হলাম বিকেল ৪ টার দিকে। প্রথমে আমরা নবীগঞ্জ ঘাটে চলে গেলাম শীতলক্ষ্যা নদী পার হওয়ার জন্য। ট্রলারে করে নদী পাড় হওয়ার পর রিকশা নিয়ে সোজা চলে গেলাম চাষাড়া শহীদ মিনারের সামনে। আমরা সন্ধ্যার অনেক আগেই পৌঁছে যাওয়ার কারণে আমার বন্ধুদের বললাম আমার একটু ব্যক্তিগত কাজ আছে।

Notes_230411_094549_ced.jpg

Notes_230411_094613_362.jpg

Notes_230411_094615_9bc.jpg

Notes_230411_094619_461.jpg

সেগুলো শেষ করতে করতে সন্ধ্যা হয়ে যাবে এবং আমরা তারপর একসাথে খাওয়া দাওয়া করবো। যেহেতু আমার বাসার নির্মাণ কাজ চলছে। নারায়ণগঞ্জ পুলিশ লাইনের দিকে দরজা, জানালার গ্রিল খুব ভালো পাওয়া যায়। তাই মোটামুটি আইডিয়া নেওয়ার জন্য সেখানে গেলাম। সেখানে যাওয়ার পর কয়েকটি দোকান ঘুরে ভালো আইডিয়া নিলাম। কিন্তু সেখানে কাঠের দরজা বানানো হয় না বিধায় নারায়ণগঞ্জ ডন চেম্বারের দিকে গেলাম। সেখানে যাওয়ার পর কাঠের দরজার ব্যাপারে ভালো একটা ধারণা পেলাম। যেকোন কিছু একটু যাচাই-বাছাই করে কিনতে আমার খুব ভালো লাগে। আর এই অভ্যাসটা আমার অনেক আগে থেকেই। কাজ শেষ করতে করতে সন্ধ্যা হয়ে গেল। যাইহোক তারপর আমরা চাষাড়া শহীদ মিনারের পিছনে চলে গেলাম স্ট্রিট ফুড খাওয়ার জন্য।

Notes_230411_094542_2f6.jpg

Notes_230411_094540_ec6.jpg

Notes_230411_094545_87e.jpg

Notes_230411_094547_b2d.jpg

সেখানে অনেক গুলো স্ট্রিট ফুডের দোকান রয়েছে। আর প্রতিটি দোকানে প্রচুর মানুষের ভিড়। কারণ খাবারের টেস্ট খুবই ভালো। অনেকেই এখানে বসে আড্ডা দেয় এবং খাওয়া দাওয়া করে। তারপর শহীদ মিনারে অনেক সময় ছোটখাটো কনসার্ট এর মতো আয়োজন করা হয়। গান শোনা,আড্ডা দেওয়া সবমিলিয়ে এই জায়গাটি বিনোদনের একটা কেন্দ্রবিন্দু বলা যায়। আবার আশেপাশে দুটি সরকারি কলেজও রয়েছে। তাই এই জায়গায় মোটামুটি সবসময়ই মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। যাইহোক আমরা প্রথমে খাসির মাংস এবং ১৫/২০ টা লুচি অর্ডার করলাম। খাবারের টেস্ট মনে হচ্ছে অন্যান্য দিনের তুলনায় একটু বেশিই ছিল। হয়তো অনেক দিন পর খাচ্ছিলাম সেজন্য বেশি টেস্ট মনে হচ্ছে। নামি-দামি অনেক রেস্টুরেন্টে খেয়েছি তবে এখানকার লুচি এবং খাসির মাংসের স্বাদ আমার কাছে সত্যিই খুব ভালো লাগে।

Notes_230411_094604_a62.jpg

Notes_230411_094602_4f6.jpg

Notes_230411_094557_838.jpg

Notes_230411_094552_cf2.jpg

যাইহোক খাবার খাওয়ার ফাঁকে ফাঁকে কয়েকটি ফটোগ্রাফি করে নিলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আমরা যখন খাচ্ছিলাম,আমাদের এক বন্ধু ফোন দিল এবং বলল যে দুইজন বন্ধু নাকি আশেপাশেই রয়েছে। তারপর ওরা দুইজন বাইক নিয়ে এলো। এরপর ওদের জন্যও খাবারের অর্ডার দিলাম। খাওয়া দাওয়া শেষ করে চা খেলাম। এখানকার চায়ের কিন্তু বেশ সুনাম রয়েছে। বিভিন্ন ফ্লেভারের চা এখানে পাওয়া যায়। যেমন আমলকি চা,মাল্টা চা,তেঁতুল চা সহ বিভিন্ন ধরনের চা এখানে পাওয়া যায়। আমার কাছে তেঁতুল চা সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। আমরা চা পান করে বাইকে উঠলাম বাসার উদ্দেশ্যে। যেহেতু আমরা মোট পাঁচজন ছিলাম। আমি আর এক বন্ধু আমরা দুইজন এক বাইকে এবং তিনজন অন্য বাইকে। একটু পর নবীগঞ্জ ঘাটে চলে আসলাম। তারপর ফেরী দিয়ে নদী পার হয়ে বাসায় চলে আসলাম। অনেক দিন পর সন্ধ্যার পর সবার সাথে ঘুরাঘুরি এবং খাওয়া দাওয়া করে বেশ ভালো লাগলো।

Notes_230411_094608_c2f.jpg

Notes_230411_094606_d53.jpg

Notes_230411_094555_070.jpg

Notes_230411_094610_de5.jpg

Location

2FFvzA2zeqoVJ2SVhDmmumdPfnVEcahMce9nMwwksSDdRvZA8GzS2DQRCenaYmQc8PKmKoqUpUeK1EYkXvpDQ1G4vq9r2thnL24nVMe9HEoTA18P3XxZmEBqKV5Qa.png

পোস্টের বিবরণ

ক্যাটাগরিলাইফস্টাইল
ফটোগ্রাফার@mohinahmed
ডিভাইসSamsung Galaxy Note 20 Ultra 5g
তারিখ১১.৪.২০২৩
লোকেশনw3w

বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাল্লাহ দেখা হবে অন্য কোন পোস্টে।সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।

পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

9vWp6aU4y8kwSZ9Gw15LFL3aMdhmgmBBFMpDJregpdP328CzpX9QvbjSPXbrW8KqUMMwTrRCn3xcSQ6EA6R67TcD5gLnqAWu8W41xe41azymkyM19LEXr548bkstuK4YE8RXJKQJWbxQ1hVAD.gif

আমার পরিচয়

IMG_20220605_234413_388.jpg

🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹

5ZJ4Z52ZRyQfNkCWFfXsATSsPtfkBwT3a5k8RVinr67352Jpu6E5J43D5L7yhn5d5CrcpnTvTLcF5db3ftZK7V9GzsAkLjb3PriF27x53soS8yKq9EnT1Gez2W6L2XUZu7jXnMduxdzGd4QzpYoozSDTPz3jUEkZ8x9rPrFry12vk2pkpsukTxq2kgJhF2zDYwrV.png

cyxkEVqiiLy2ofdgrJNxeZC3WCHPBwR7MjUDzY4kBNr81RRg3nBstm6z4qmufGsvFT24rqXwtpQD564XVCvACqesd3KULjLw7vQPhCNBNpraDPBk9z8jqn3ncuykugzMhQ2.png

6nSeSEzKEwjJN68tMqgZXvpyk1cf2ihqXgmWESDgXSh21PxWHDWW9CETD5B5Jw9Q6ERAnD25KhyHKAX53jBLJKQRtPJf1WFG3aJd6PXbp2rpTXdWPxnRnq65CqtM8PawHiD5knScnfCbWvcVRuFVv1rtwzsXe59AixEGDGYZT2EWzPMzrWjWrbujcJd79Q1Sjs2X.gif

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

image.png

খাওয়ার কথা শুনে আমি তো প্রথম ভেবে নিয়েছিলাম ভাই, রোজার মাসে ভাই আবার কোথায় খেতে গেছে। কিন্তু পরে বুঝতে পারলাম ফেব্রুয়ারি মাসের শীতের সময় আপন এবং কয়েকজন বন্ধু মিলে ঘুরতে বের হয়েছিলেন। আপনার শীতলক্ষা নদী পার হয়েছিলেন ট্রলারে করে, নদী পার হওয়ার পর রিক্সা নিয়ে সোজা গেলেন তাষাড়া শহীদ মিনারের সামনে। এখানে যে আপনারা ১৫ থেকে ২০ টা লুচি অর্ডার করলেন এবং খাসির গোশ। বিভিন্ন ফ্লেভারের চা গুলো খেতে কিন্তু বেশ ভালো লাগে ভাই। পাঁচজন বন্ধু মিলে একত্রে দারুন কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন ভাই এবং সেগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

জি ভাই সবাই মিলে একসাথে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছি আমরা। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

তাহলে তো ঐ দিন আপনি অনেক ঘুরাঘুরি করেছেন। দরজা আর জানালার গ্রিলের তাহলে মোটামুটি ভালোই আইডিয়া নিয়ে এসেছেন। এছাড়া এই খাবার গুলো খেতে কিন্তু অনেক ভালো লাগে। আমি মাঝে মাঝে বাসায় লুচি তৈরি করি আমার খুব পছন্দ। ধন্যবাদ আপনার ঘুরাঘুরির সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।

লুচি আমারও খুব পছন্দের একটি খাবার। সাথে খাসির মাংস ভুনা, কলিজা ভুনা কিংবা মুরগির চাপ থাকলে খেতে দারুণ লাগে। সুন্দর ও সাবলীল ভাষায় মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

ভাইয়া একেবারে আমার বাসার কাছে এসে পড়েছিলেন। আমিও প্রায় সময় চাষাড়া শহীদ মিনারের পাশে স্ট্রিট ফোড গুলো খেয়ে থাকি। বেশি অংশ চা কফিই খাওয়া হয়। মাঝে মাঝে আপনার মত লুচি আর মাংসও খাওয়া হয়। ধন্যবাদ ভাইয়া।

জি ভাইয়া শিবু মার্কেট তো চাষাড়ার কাছাকাছি। জেনে ভালো লাগলো আপনিও মাঝে মধ্যে সেখানে গিয়ে খাওয়া দাওয়া করেন। সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে সাপোর্ট করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

বন্ধুরা মিলে দেখছি বেশ ভালোই ঘোরাঘুরি করেছেন আপনারা। সেই সাথে দেখছি বন্ধুদের সাথে স্ট্রিট ফুট ও খেয়েছেন। আপনার ফটোগ্রাফি দেখে বুঝতে পারছি আপনাদের মুহুর্তটা বেশ ভালোই কেটেছে। আপনাদের সবার কাটানো এত সুন্দর একটা মুহূর্তের পোস্ট পড়ে খুবই ভালো লেগেছে আমার কাছে। বলতে হচ্ছে এক কথায় অসাধারণ ছিল আপনার আজকের এই ঘুরাঘুরি করার পোস্ট।

জি আপু ঘুরাঘুরি এবং খাওয়া দাওয়া সবমিলিয়ে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছি আমরা। আর স্ট্রিট ফুড খেতে বরাবরই আমার খুব ভালো লাগে। সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে সাপোর্ট করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।

আপনিতো দুটো কাজ একসাথে বেশ ভালোভাবে শেষ করেছেন। ব্যক্তিগত কাজও সেরেছেন আবার বন্ধুদের সাথে আড্ডা ও খাওয়া দাওয়াও করেছেন। আপনার ফটোগ্রাফিগুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে বেশ আনন্দ করেছেন বন্ধুদের সাথে। অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য।

জি আপু এক ঢিলে দুই পাখি মেরেছি। সবমিলিয়ে বেশ মজা করেছি আমরা। গুছিয়ে মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।