ক্রিয়েটিভ রাইটিং পোস্ট || কিছু কিছু মেয়ে মা হওয়ার যোগ্য না (পঞ্চম পর্ব)

in hive-129948 •  6 days ago 

আসসালামু আলাইকুম,

আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।


চতুর্থ পর্ব


প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি বাস্তব গল্প শেয়ার করবো। গত সপ্তাহে এই গল্পের চতুর্থ পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম এবং আজকে পঞ্চম পর্ব শেয়ার করতে যাচ্ছি। যাইহোক সীমাকে রতনের মা রতনের বাসায় নিয়ে যাওয়ার পর, সীমা এবং রতন সবকিছু ভুলে নতুন করে তাদের জীবনটা শুরু করলো। বেশ ভালোই যাচ্ছিলো তাদের দিনকাল। এরমধ্যে সীমা এবং রতন প্ল্যান করলো তাদের একটা বাচ্চা নেওয়া দরকার। তারপর রতন বললো কোম্পানিতে এখন কাজের চাপ বেশি,তাই ছুটি নেওয়া যাবে না। তবে কিছুদিন পরে কাজের চাপ কিছুটা কমলে,তারপর কয়েক মাসের জন্য ছুটিতে বাংলাদেশে আসবে। তো কয়েক মাস পর রতন সৌদি আরব থেকে ৬ মাসের জন্য বাংলাদেশে ছুটিতে আসলো।


treason-6971578_1280.jpg

Source


আসার পর সীমা এবং রতন চমৎকার সময় কাটাতে লাগলো। রতন বাংলাদেশে আসার ৩ মাস পর সীমা বেবি কনসিভ করলো। তারপর তারা একজন ভালো ডক্টরের কাছে গেলো এবং সীমাকে সেই ডক্টর রেগুলার চেক-আপ করতো। তো রতনের ছুটি শেষ হয়ে যাওয়ার পর, সে আবারও সৌদি আরব ফিরে গেলো। রতন চলে যাওয়ার পর সীমা অনেক একাকী অনুভব করতো। তাছাড়া রতনকে এই কয়েক মাসে আরও বেশি ভালোবেসে ফেলেছে সীমা। যাইহোক কয়েক মাস পর সীমা ফুটফুটে একটা কন্যা সন্তানের জন্ম দেয়। রতন এবং সীমার পরিবার ভীষণ খুশি হয়েছিল। রতন তো প্রতিদিন বেশ কয়েকবার ভিডিও কল দিয়ে তার মেয়েকে দেখতো। রতন মনে মনে ভাবে সে পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে সুখী মানুষ। দেখতে দেখতে রতন এবং সীমার মেয়ের এক বছর বয়স হয়ে গেলো।


এরমধ্যে সীমা রতনকে বললো বাংলাদেশে চলে আসতে একেবারে। দেশে এসে ছোটখাটো একটা ব্যবসা করতে। তাহলে মিলেমিশে তারা বেশ আনন্দে থাকতে পারবে। রতন বললো হাতে তো নগদ টাকা তেমন নেই,এখন থেকে ভালোভাবে টাকা জমিয়ে বাংলাদেশে তাড়াতাড়ি চলে যাবো। এতে করে সীমা কিছুটা খুশি হলো। এদিকে সীমার সাথে ফেসবুকের মাধ্যমে একটি ছেলের পরিচয় হয়। ছেলেটার বাড়ি সীমাদের মহল্লাতেই। ছেলেটা সীমাকে ভালোভাবেই চিনতো,তবে সীমা ছেলেটাকে চিনতো না। তো ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে প্রতিদিন সীমা ও সেই ছেলেটা চ্যাট করতো এবং রাতের বেলা কল দিয়ে কথাও বলতো। কারণ সীমার বাচ্চা হওয়ার পর রতনের মা অন্য রুমে ঘুমাতো এবং সীমা তার মেয়েকে নিয়ে আলাদা রুমে ঘুমাতো। তাই সীমা মন ভরে সেই ছেলেটার সাথে কথা বলতে পারতো।


তাছাড়া ছেলেটা ছিলো ডিভোর্সী,তাই রাতের বেলা ফোনে কথা বলতে তারও কোনো ঝামেলা হতো না। ছেলেটা সীমার ব্যাপারে আগেই অনেক খোঁজখবর নিয়েছে এবং ছেলেটা ভেবেছে যে সীমাকে সহজেই প্রেমের ফাঁদে ফেলা যাবে। তাছাড়া সীমা যে আগেও একটা ছেলের সাথে পরকীয়া প্রেম করেছিল,সেটাও এই ছেলেটা জানতো। সবমিলিয়ে ছেলেটা ভেবেছে সীমাকে কনভিন্স করা একেবারে সহজ হবে। তাছাড়া ছেলেটা দেখতেও ভালো ছিলো। ছেলেটা সীমার কাছে তার ডিভোর্সের কথা এমনভাবে বলে যে, সীমা ছেলেটাকে সান্ত্বনা দিতে থাকে। ছেলেটার জন্য সীমার মনে একটা সফট কর্ণার কাজ করতো। এভাবেই সীমা এবং সেই ছেলেটা কথা বলতে লাগলো প্রতিদিন। যাইহোক এরপর আর কি কি হলো,সেটা পরবর্তী পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো ইনশাআল্লাহ। (চলবে)



2FFvzA2zeqoVJ2SVhDmmumdPfnVEcahMce9nMwwksSDdRvZA8GzS2DQRCenaYmQc8PKmKoqUpUeK1EYkXvpDQ1G4vq9r2thnL24nVMe9HEoTA18P3XxZmEBqKV5Qa.png

পোস্টের বিবরণ

ক্যাটাগরিক্রিয়েটিভ রাইটিং(গল্প)
পোস্ট তৈরি@mohinahmed
ডিভাইসSamsung Galaxy S9 Plus
তারিখ১৬.১১.২০২৪
লোকেশননারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ

বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।

পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

9vWp6aU4y8kwSZ9Gw15LFL3aMdhmgmBBFMpDJregpdP328CzpX9QvbjSPXbrW8KqUMMwTrRCn3xcSQ6EA6R67TcD5gLnqAWu8W41xe41azymkyM19LEXr548bkstuK4YE8RXJKQJWbxQ1hVAD.gif

আমার পরিচয়

IMG-20240212-WA0036.jpg

🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹

5ZJ4Z52ZRyQfNkCWFfXsATSsPtfkBwT3a5k8RVinr67352Jpu6E5J43D5L7yhn5d5CrcpnTvTLcF5db3ftZK7V9GzsAkLjb3PriF27x53soS8yKq9EnT1Gez2W6L2XUZu7jXnMduxdzGd4QzpYoozSDTPz3jUEkZ8x9rPrFry12vk2pkpsukTxq2kgJhF2zDYwrV.png

cyxkEVqiiLy2ofdgrJNxeZC3WCHPBwR7MjUDzY4kBNr81RRg3nBstm6z4qmufGsvFT24rqXwtpQD564XVCvACqesd3KULjLw7vQPhCNBNpraDPBk9z8jqn3ncuykugzMhQ2.png

6nSeSEzKEwjJN68tMqgZXvpyk1cf2ihqXgmWESDgXSh21PxWHDWW9CETD5B5Jw9Q6ERAnD25KhyHKAX53jBLJKQRtPJf1WFG3aJd6PXbp2rpTXdWPxnRnq65CqtM8PawHiD5knScnfCbWvcVRuFVv1rtwzsXe59AixEGDGYZT2EWzPMzrWjWrbujcJd79Q1Sjs2X.gif

puss_mini_banner2.png

PUSS COIN: BUY/SELL

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

image.png

এই গল্পের আগের কয়েকটা পর্ব আমার পড়া হয়েছে। আজকে আপনি পঞ্চম পর্ব শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো। সীমা আর রতনের সম্পর্কটা ভালোই যাচ্ছিল। আর তাদের কিউট একটা মেয়ে বাবু হয়েছে এটা জেনে ভালো লাগলো। কিন্তু তারপর থেকেই সীমা দেখছি অন্য একটা ছেলের সাথে কথা বলা শুরু করেছে। শেষ পর্যন্ত আসলে কি হবে এটা জানার জন্য অপেক্ষায় থাকলাম এখন।

সীমার মতো মেয়েরা কখনোই ভালো হয় না। যাইহোক গল্পটা পড়ে যথাযথ মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

পুনরায় সীমা এবং রতন আগের অবস্থায় ফিরে এসেছিল তারপরে রতন দেশে এসেছিল ওয়াইফ এর সাথে আনন্দময় সময় কাটিয়েছে ফলপ্রসু হিসেবে তাদের পরিবারে ফুটফুটে একটি কন্যা সন্তান এসেছে। অবশেষে রতন কিছু টাকা জমিয়ে পুরোপুরি বাংলাদেশে আসার চিন্তাভাবনা করছিল এই পর্যন্ত সবটাই ভালই ছিল ভালই লাগলো। কিন্তু সীমা যে পুনরায় তার মহল্লার আরও একটি ছেলের সাথে কথা বলা শুরু করেছে এটা খুবই খারাপ লাগলো। তার কারণ এর ফলাফল কখনোই ভালো হবে না খারাপ ছাড়া। যাই হোক দেখা যাক পরবর্তী পর্বগুলোতে সীমা রতন এবং ঐ ছেলে তিনজনের মধ্যে কি কি কাণ্ড ঘটে। অপেক্ষায় রইলাম।

আসলেই এর ফলাফল খুব খারাপ হবে। যাইহোক গল্পটা পড়ে এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

এই গল্পটা অনেক সুন্দর। আমার কাছে অনেক ভালো লাগে এই গল্পটা। আপনার আগের পোস্টগুলোর মাধ্যমে এই গল্পের আগের পর্বগুলো আমি পড়েছিলাম। আসলে কিছু কিছু মানুষ আসলে সুখের মর্যাদাটা বোঝেনা। সীমার ক্ষেত্রেও ঠিক এরকমটা হয়েছে। একটা ভুল কাজ করার পর সেই যখন ভালো হয়েছিল, বাচ্চা হওয়ার পর এখন সেই একই ভুল কাজটা করছে।

আসলে কিছু কিছু মানুষকে সুখে থাকলে ভূতে কিলায়। যাইহোক গল্পটা পড়ে এতো চমৎকার মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার আগের পর্ব গুলো আমার পড়া হয়নি। তবে আজকের পর্ব পড়ে অনেক কিছু বুঝলাম। আসলে সীমার একটা মেয়ে রেখে পরকীয়া করা মোটেও উচিত হয়নি।দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়।

আগের পর্ব গুলো সময় পেলে পড়ে নিবেন। যাইহোক গল্পটা পড়ে আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।