আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি বাস্তব গল্প শেয়ার করবো। গত সপ্তাহে এই গল্পের দশম পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম এবং আজকে একাদশ পর্ব শেয়ার করতে যাচ্ছি। গত পর্বে আপনারা পড়েছিলেন, সীমার দ্বিতীয় স্বামী সীমাকে প্রায়ই বলে যে তার বাসা থেকে ব্যবসায়ের জন্য টাকা এনে দিতে। কিন্তু সীমা তার নিজের বাড়িতে যেতে চায় না বলে,এক পর্যায়ে সীমাকে তার স্বামী মারধর করা শুরু করে। সীমার শ্বশুর বাড়ির লোকজনও সীমার স্বামীকে তেমন কিছু বলে না। আসলে সীমার দ্বিতীয় স্বামী সহ তার পুরো পরিবার ছিলো লোভী প্রকৃতির। তাছাড়া সমাজের কেউ তাদেরকে ভালো বলে না। সীমা তো পরকীয়া প্রেমে অন্ধ হয়ে তাকে বিয়ে করেছে এবং সবকিছু হারিয়ে সীমা এখন সর্বশান্ত।
সীমা তার নিজের পরিবার হারালো,তার প্রথম স্বামী রতনকে হারালো এবং তার ছোট্ট মেয়েটাকে পর্যন্ত হারালো। একটা সময় সীমা বুঝতে পারলো সে কতো বড় ভুল করেছে। কিন্তু এমন ভুলের মাশুল দেওয়া সম্ভব নয়। সীমা প্রতিনিয়ত কষ্ট করে জীবনযাপন করছে, কিন্তু কাউকে কিছু বলতেও পারছে না। কারণ সীমার নিজের বলতে কেউ নেই। তারপর সীমা একদিন তার স্বামীর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে,টাকা আনতে তার নিজের বাসায় যায়। কিন্তু তার মা বাবা তাকে টাকা তো দেয়নি, বরং চরমভাবে অপমান করে বাসা থেকে তাড়িয়ে দেয়। তারপর সীমা তার দ্বিতীয় স্বামীর বাসায় চলে যায় এবং গিয়ে বলে যে টাকা আনতে পারেনি। এটা শুনে তার দ্বিতীয় স্বামী তাকে প্রচুর মারধর করে। এক পর্যায়ে সীমা সিদ্ধান্ত নেয় রতনকে ফোন করে সবকিছুর জন্য ক্ষমা চাইবে এবং রতনের পরিবারে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করবে।
তারপর হঠাৎ করে সীমা একদিন রতনকে ফোন করে হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে। রতন প্রথমে ফোন রিসিভ করতে চায়নি। কিন্তু সীমা অনেক গুলো ম্যাসেজ দিয়ে অনুরোধ করতে থাকে এবং বারবার রতনকে ফোন করতে থাকে,যাতে করে রতন একবার সীমার সাথে কথা বলে। অবশেষে রতন সীমার ফোন রিসিভ করে কথা বলে। তারপর সীমা রতনকে সবকিছু খুলে বলে। সবকিছু শুনে রতনের কিছুটা খারাপ লাগলেও,রতন সেটা সীমাকে বুঝতে দেয় না। আসলে রতন তো মন থেকে সীমাকে ভালোবেসেছিল। সীমা রতনকে বারবার অনুরোধ করে তাকে যাতে রতন শেষ বারের মতো মাফ করে দেয় এবং যেভাবেই হোক তার সংসারে ফিরিয়ে নেয়। কিন্তু রতন কোনোভাবেই সীমার কথায় রাজি হয় না। আসলে রতন সীমাকে বেশ কয়েকবার বিশ্বাস করে ঠকেছে।
তাছাড়া সীমা যে কাজটা করেছে, তার কোনো ক্ষমা হয় না। এমন নিকৃষ্ট কাজের আসলেই কোনো ক্ষমা নেই। তারপর রতন বলে যে, একটা মেয়ের সাথে তার বিয়ে ঠিক হয়েছে। সুতরাং আর কখনোই যাতে রতনকে সীমা ফোন না করে। আসলে রতনের কারো সাথেই বিয়ে ঠিক হয়নি। কিন্তু সে সীমাকে মিথ্যা বলেছে। কারণ সীমার সাথে যদি রতন বারবার কথা বলে,হয়তোবা আবারও সীমার প্রতি রতন দুর্বল হয়ে যেতে পারে। তাই রতন ভাবে যে,সীমার সাথে যোগাযোগ না করাটাই উত্তম। এদিকে রতনের মেয়েকে রতনের মা মোটামুটি ভালোভাবেই লালন পালন করছিলো। পাশাপাশি রতনের মা রতনকে বিয়ে করানোর জন্য ভালো মেয়ের খোঁজ করছিলো। যাইহোক এরপর আর কি কি হলো,সেটা পরবর্তী পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো ইনশাআল্লাহ। (চলবে)
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | ক্রিয়েটিভ রাইটিং(গল্প) |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy S24 Ultra |
তারিখ | ২৬.১২.২০২৪ |
লোকেশন | নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
ডেইলি টাস্ক প্রুফ:
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
X-promotion
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit