আসসালামু আলাইকুম,

আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।

প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটর কেনার অভিজ্ঞতা ও অনুভূতি শেয়ার করবো। ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটর হচ্ছে আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মধ্যে একটি। আধুনিক যুগের বেশিরভাগ মানুষই ফ্রিজ ছাড়া একদিনও চলতে পারে না। সামনে আসছে কোরবানির ঈদ। আর এখন থেকে ফ্রিজ কেনার ধুম পড়ে যাবে এবং ফ্রিজের দামও অনেক বেড়ে যাবে। আপনারা অনেকেই জানেন যে, আমার বাসার নির্মাণ কাজ চলছে। আশা করি কোরবানির ঈদের আগেই নতুন ফ্ল্যাটে উঠতে পারবো। আমার ওয়াইফ বলছিল নতুন ফ্ল্যাটে উঠলে, রুমের সব আসবাবপত্র যেন নতুন কিনি। তাই বিভিন্ন ধরনের আসবাবপত্রের পাশাপাশি নতুন রেফ্রিজারেটর কেনার প্ল্যান করলাম।

আর সেগুন কাঠের বিভিন্ন ধরনের আসবাবপত্র বানানোর অর্ডার দেওয়া হয়েছে ইতিমধ্যেই। যাইহোক গতকাল বিকেলে আমাদের মদনপুরে, ওয়াল্টন এবং সিংগার এর শোরুমে কয়েকটি রেফ্রিজারেটর দেখেছিলাম। তবে পুরোপুরি পছন্দ হয়নি। তারপর আজকে সকালে সোজা চলে গেলাম কাঁচপুরের ওয়াল্টন প্লাজাতে। কারণ আমি সেখান থেকে এসি কিনেছিলাম। সেখানে যাওয়ার পর কয়েকটি ফ্রিজ দেখে ছবি তুলে আমার ওয়াইফকে পাঠালাম এবং আমরা দুইজন মিলে একটি ফ্রিজ পছন্দ করলাম। ফ্রিজ এর মডেল হচ্ছে ওয়াল্টন রেফ্রিজারেটর ডব্লিউএফসি-থ্রিডিএইট-জিডিইএইচ-ডিডি(ইনভার্টার)। এবার বলি কেনো এই ফ্রিজটি আমাদের পছন্দ হয়েছে। ইনভার্টার সিস্টেম হবার কারণে বিদ্যুৎ বিল সাশ্রয়ী।

ফ্রিজের রং হচ্ছে কালো এবং আমাদের মনে হয়েছে এই ফ্রিজটি দেখতে স্ট্যান্ডার্ড, আর সেজন্যই আমাদের বেশি পছন্দ হয়েছে। এই ফ্রিজের গ্রস ভলিউম হচ্ছে ৩৪৮ লিটার। ভালো মানের কনডেনসার এবং কয়েল ব্যবহার করা হয়েছে। ভিতরে ফুড গ্রেড প্লাস্টিক ব্যবহার করা হয়েছে। এই ফ্রিজটাতে ডিজিটাল টাচ সিস্টেম রয়েছে। টাচ করার মাধ্যমে কুলিং লেভেল সেট করা যাবে। এই ফ্রিজ ব্যবহার করার সময় আলাদাভাবে স্ট্যাবিলাইজার এর প্রয়োজন নেই এবং এটি একটি ফ্রস্ট ফ্রিজ। ফ্রস্ট ফ্রিজে বরফ জমে বিধায়, দীর্ঘক্ষণ বিদ্যুৎ না থাকলেও খাবার ভালো থাকে। আমাদের দেশের বিদ্যুৎ এর যা অবস্থা, সেটা ভেবেই আমি ফ্রস্ট ফ্রিজ কিনেছি। ফ্রিজের ডিপটাও বেশ বড়। দাম হচ্ছে একেবারে সাধ্যের মধ্যে।

এমআরপি ছিলো ৫১,৬৯০ টাকা। যদি নগদ টাকা দিয়ে কিনি, তাহলে ৮% ডিসকাউন্ট দিবে এবং যদি ডিজিটাল পেমেন্ট করি তাহলে ১০% ডিসকাউন্ট দিবে। ডিজিটাল পেমেন্ট বলতে বিকাশ বা কার্ডের মাধ্যমে বিল পেমেন্ট করতে হবে। আমি প্রিমিয়ার ব্যাংকের ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে ১০% ডিসকাউন্ট পেয়ে ৪৬,৫২১ টাকা বিল পেমেন্ট করলাম। তারপর প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস নিয়ে ভ্যান গাড়ি ওয়ালার সাথে কথা বলে বাসায় চলে আসলাম। তারপর আজকে জুম্মার নামাজের পর সেই ভ্যান ওয়ালা ফ্রিজটা বাসায় ডেলিভারি দিয়ে গিয়েছে। বাসায় আনার পর ফ্রিজটা সবাই খুব পছন্দ করেছে। সবমিলিয়ে বেশ ভালো অভিজ্ঞতা হয়েছে আমার। আমার মনে হয় কোনো একটা জিনিস কেনার আগে খুব ভালোভাবে যাচাই করে কেনা উচিত। সবমিলিয়ে দারুণ অনুভূতি হয়েছে আমার।

পোস্টের বিবরণ

বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাল্লাহ দেখা হবে অন্য কোন পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।

পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

আমার পরিচয়

🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹