প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আবারো স্পোর্টস বিষয়ক একটি পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। ক্রিকেট খেলা ছোটবেলা থেকেই আমার ভীষণ পছন্দ। তাই চেষ্টা করি সবসময় ক্রিকেট ম্যাচ দেখতে। আপনারা অনেকেই জানেন যে,ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকা দলের ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচ, গতকালকে অনুষ্ঠিত হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকার পার্লের বোলান্ড পার্ক স্টেডিয়ামে। প্রথম দুই ম্যাচে উভয় দল একটি করে ম্যাচ জিতে। তো এটা ছিলো সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ। যাইহোক দক্ষিণ আফ্রিকা টসে জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয়। ভারতের দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান রজত পাতিদার এবং সাই সুদর্শন ব্যাট করতে নামেন।

স্ক্রিনশট - স্কাই স্পোর্টস

রজত পাতিদার শুরুতেই মারমুখী ভঙ্গিতে ব্যাট করতে থাকে। তবে বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি তিনি। দলীয় পঞ্চম ওভারে ৩৪/১ রানের মাথায় রজত বোল্ড আউট হয়ে যায়। রজত মাত্র ১৬ বল মোকাবেলা করে ২২ রান করে আউট হয়ে যায়। এর মধ্যে তিনটি চার এবং একটি ছয়ের মার রয়েছে। যাইহোক এরপর সানজু স্যামসন ব্যাট করতে নামেন। একটু পর সুদর্শন আউট হয়ে যায়। এরপর সানজু এবং কে এল রাহুল ছোটখাটো একটি পার্টনারশিপ গড়ে তুলে। যাইহোক দলীয় ১৯ তম ওভারে ১০১/৩ রানের মাথায় রাহুল আউট হয়ে গেলে,সানজু এবং তিলক বার্মা দুর্দান্ত একটি পার্টনারশিপ গড়ে তুলে। তাদের পার্টনারশিপ এর উপর ভিত্তি করে ভারতের স্কোর বেশ ভালোই বড় হতে থাকে। তিলক বার্মা ব্যক্তিগত ৫২ রান করে আউট হওয়ার পর, রিংকু সিং দ্রুত গতিতে রান তুলে।

স্ক্রিনশট - স্কাই স্পোর্টস

কারণ রিংকু সিং যখন ব্যাট করতে নামেন,তখন ৮/৯ ওভার বাকি ছিলো তাদের ইনিংসের। সানুজ স্যামসন সেঞ্চুরি তুলে নেয় এবং ব্যক্তিগত ১০৮ রান করে আউট হয়ে যায়। এরপর রিংকু সিং শেষের সারির ব্যাটসম্যানদের সাথে নিয়ে, শেষ ওভার পর্যন্ত ব্যাট করেন। ভারত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২৯৬/৮ রান করতে সক্ষম হয়। দক্ষিণ আফ্রিকার নান্দ্রে বার্গার ২টি এবং বিউরেন হেনড্রিক্স ৩ টি উইকেট তুলে নেয়। তবে তারা বেশ খরুচে বোলিং করে। কেশব মহারাজ বেশ কিপটে বোলিং করে। তিনি ১০ ওভার বল করে ৩৭ রান দিয়ে ১ উইকেট পান। যাইহোক ২৯৭ রান চেজ করতে দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্বোধনী দুই ব্যাটসম্যান রিজা হেনড্রিক্স এবং টনি দে জর্জি ব্যাট করতে নামেন।

স্ক্রিনশট - স্কাই স্পোর্টস

তারা দুইজন উড়ন্ত সূচনা করেন। তবে দলীয় নবম ওভারে ৫৯/১ রানের মাথায় রিজা হেনড্রিক্স আউট হয়ে যাওয়ার পর, দাসেন ও আউট হয়ে যায় মাত্র ২ রান করে। এরপর এইডেন মার্করাম এবং টনি দে জর্জি ৬৫ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তুলে। মার্করাম দলীয় ২৬ তম ওভারে ১৪১ রানের মাথায় আউট হয়ে যাওয়ার পর, ৩০ তম ওভারে দারুণ খেলতে থাকা টনি দে জর্জি অর্শদীপ শিং এর বলে এলবিডব্লিউ আউট হয়ে যায় ব্যক্তিগত ৮১ রান করে। এরপর থেকেই দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং শিবিরে ধ্বস নামে। তারা মোটামুটি ভালোভাবেই এগিয়ে যাচ্ছিলো, কিন্তু ৩০ তম ওভারে ১৬১/৪ রানে চার উইকেট পতনের পর তারা ব্যাকফুটে চলে যায়। এরপর তাদের আর কোনো ব্যাটসম্যান ই প্রতিরোধ গড়তে পারেনি। ডেভিড মিলার দলীয় ১৯২ রানের মাথায় আউট হওয়ার পর মহারাজ এবং বিউরেন হেনড্রিক্স হারের ব্যবধান কমাতে চেষ্টা করেন।

স্ক্রিনশট - স্কাই স্পোর্টস

কিন্তু দলীয় ৪১ তম ওভারে ২০০ রানের মাথায় মহারাজ কে, আম্পায়ার এলবিডব্লিউ আউট দিলে তিনি রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান। তবুও দক্ষিণ আফ্রিকা দল বেশিদূর যেতে পারেনি। তারা ৪৫.৫ ওভারে ২১৮/১০ রান করে অলআউট হয়ে যায়। এতে করে ভারত ৭৮ রানের বিশাল জয় পায় এই ম্যাচে। ভারত ওয়ানডে সিরিজটি জিতে নেয় ২-১ ব্যবধানে। ভারতের প্রতিটি বোলার এই ম্যাচে উইকেট পান। তবে অর্শদীপ সিং দুর্দান্ত বোলিং করেন। তিনি ৯ ওভার বল করে মাত্র ৩০ রান দিয়ে চারটি মূল্যবান উইকেট তুলে নেন। দুর্দান্ত ব্যাটিং পারফরম্যান্সের জন্য সানজু স্যামসন ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হয় এবং অর্শদীপ সিং ম্যান অফ দ্যা সিরিজ নির্বাচিত হয়। অর্শদীপ সিং এই সিরিজে অল্প রান দিয়ে ১০ টি উইকেট পান। সব মিলিয়ে এই ম্যাচটি বেশ উপভোগ করেছি।

স্ক্রিনশট - স্কাই স্পোর্টস