আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। এই পোস্টের টপিক হচ্ছে,ঈদ শপিং একাল এবং সেকাল। প্রথমেই সেকাল নিয়ে যদি বলি,ছোটবেলায় ঈদের শপিং করতে যে কি ভালো লাগতো,সেটা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। কারণ তখন মনে হতো এর চেয়ে ভালো কিছু আর হতে পারে না। তো রমজান মাস আসার পর থেকেই মনের মধ্যে বাড়তি উত্তেজনা কাজ করতো কবে ঈদের শপিং করতে যাবো। আর তখন তো টিভিতে বিভিন্ন ধরনের জুতা যেমন জাম্প কেডস, পেগাসাস কেডস এর বিজ্ঞাপন গুলো দেখতাম। আর দেখা মাত্রই বাসায় বলে দিতাম, এবারের ঈদে জাম্প কেডস কিংবা পেগাসাস কেডস কিনে দিতেই হবে। কারণ টিভিতে বিজ্ঞাপন গুলো যে দেখাতো,কেডস পড়ে বাচ্চারা উড়ছে হা হা হা।
আর তখন সেটা সত্যিই মনে হতো আমার। তারপর বাসার সবাই মিলে যেদিন ঈদের শপিং করতে যেতাম,আগে থেকেই ভেবে রাখতাম মিনিমাম ৩/৪টা শার্ট কিংবা টি-শার্ট কিনবোই। কারণ ছোটবেলায় কিন্তু ঈদের আমেজ ৭ দিন থাকতো। আর আমরা তখন ৭ দিনই ঘুরাঘুরি করতাম। তাই শার্ট কিংবা টি-শার্ট চেঞ্জ করে পড়তে খুব ভালো লাগতো। তাই সময় নিয়ে বিভিন্ন শপে ঘুরে ঘুরে শার্ট এবং টি-শার্ট গুলো কেনার চেষ্টা করতাম। কারণ বন্ধুদের শার্ট কিংবা টি-শার্ট এর সাথে যাতে না মিলে যায়, সেই ব্যাপারটা অবশ্যই মাথায় থাকতো। কারণ মিলে গেলে তো একেবারেই কমন হয়ে যাবে এবং তখন পড়তেও ইচ্ছে করবে না। আসলে ছোটবেলায় এসব ব্যাপার গুলোকে অনেক বড় করে দেখতাম। কারণ তখন তো এতকিছু বুঝতাম না। যাইহোক শার্ট এবং টি-শার্ট কেনার পর,প্যান্ট কিনতাম মিনিমাম ২টা।
তারপর যেতাম জাম্প কেডস কিংবা পেগাসাস কেডস কিনতে। আর কেডস পড়ে তো দোকানের মধ্যেই কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করতাম এবং দোকানদারকে জিজ্ঞেস করতাম, এই কেডস পড়ে উড়তে পারবো কিনা হা হা হা। যাইহোক কেনাকাটা শেষ করে বাসায় গিয়ে তো দরজা জানালা বন্ধ করে, শার্ট এবং টি-শার্ট গুলো ভালোভাবে ট্রায়াল দিতাম এবং যেটা সবচেয়ে বেশি ভালো লাগতো,সেটা ঈদের দিন সকালবেলা পড়ার জন্য সিলেক্ট করে রাখতাম। তারপর সবগুলো আলমারিতে রেখে দিতে বলতাম আম্মুকে। ভুলেও যাতে বের করে কাউকে না দেখায়,সেটাও বলে দিতাম। কারণ অন্য কেউ দেখলে যদি আবার একইরকম কিনে নিয়ে আসে হা হা হা। তো তখন ঈদ শপিং নিয়ে চরম উত্তেজনা কাজ করতো। আর একাল নিয়ে যদি বলি,এখন ঈদ শপিং করতে তেমন কোনো আনন্দ-ই লাগে না।
বরং পরিবারের সবার জন্য শপিং করতেই খুব ভালো লাগে। সবাইকে কিনে দিতে পারলে মনের মধ্যে এক ধরনের তৃপ্তি কাজ করে। আসলে এখন বুঝি, পুরুষ মানুষেরা পরিবারের যেকোনো দায়িত্ব পালন করতে পারলে,তখন অন্য রকম শান্তি লাগে। তবে নিজের জন্য টুকটাক ঈদ শপিং করা হয়। যেমন শার্ট, পাঞ্জাবি, প্যান্ট,জুতা এসব আর কি। কিন্তু এগুলো কেনার প্রতি ছোটবেলায় যেমন উত্তেজনা কাজ করতো,এখন সেটা একেবারেই নেই। আসলে দিন যতই অতিবাহিত হচ্ছে, আনন্দ যেনো ততটাই কমে যাচ্ছে। যাইহোক রোজা শুরু হওয়ার ২ দিন আগেই সবার জন্য ঈদ শপিং করে ফেলেছি। তাছাড়া নিজের জন্যও টুকটাক কেনাকাটা করেছি। হঠাৎ করে ছোটবেলার ঈদ শপিং এর স্মৃতি গুলো মনে পড়ে গিয়েছিল। তাই ভাবলাম আপনাদের সাথে কথা গুলো শেয়ার করা যাক। সেটা ভেবেই এই পোস্টটি শেয়ার করলাম।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy S24 Ultra |
তারিখ | ২১.৩.২০২৫ |
লোকেশন | নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
টাস্ক স্ক্রিনশট :
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
টাস্ক লিংক:
https://x.com/mohin3242127/status/1902753924370891000?t=sY1b51whImGShVtAy1Xf7w&s=19
https://x.com/mohin3242127/status/1902964906527260727?t=OBqbbPm6v1GtMl9MuTjIHQ&s=19
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
X-promotion
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে আনন্দ সব ছোটবেলাতেই থাকে। বড় হওয়ার পর আস্তে আস্তে এই আনন্দ গুলো নষ্ট হয়ে যায়। ছোটবেলায় ঈদের নতুন ড্রেস লুকিয়ে রাখতাম কারণ সেগুলো কেউ দেখে ফেললে ঈদ পুরানো হয়ে যাবে। ছোটবেলার এই কথাগুলো মনে পড়লে এখন হাসি পায়। বেশ ভালো লাগলো আপনার সুন্দর অনুভূতি গুলো পড়ে। ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ছোটবেলায় ড্রেস লুকিয়ে রাখার স্মৃতি গুলো এখনও মনে পড়ে। এতো চমৎকার মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঠিক বলেছেন ভাইয়া ছোটবেলায় ঈদের শপিং করতে যতটা আনন্দ লাগতো। কিন্তু এখন বড় হয়ে সবাইকে কিনে দিতে পারলে তেমন আনন্দ লাগে। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে নিজের মনের অনুভূতিটা ঈদের শপিং সেকাল এবং একাল নিয়ে লিখেছেন। খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া আপনার পোস্ট পড়ে ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সবাইকে ঈদের কেনাকাটা করে দিতে পারলে মনের মধ্যে আলাদা একটা তৃপ্তি কাজ করে। যথাযথ মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit