ভ্রমণ পোস্ট || পরিবার নিয়ে শ্রীমঙ্গল ভ্রমণ (চতুর্থ পর্ব)

in hive-129948 •  12 hours ago 

আসসালামু আলাইকুম,

আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।


তৃতীয় পর্ব


প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি ভ্রমণ বিষয়ক পোস্ট শেয়ার করবো। গত সপ্তাহে শ্রীমঙ্গল ট্যুরের তৃতীয় পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম এবং আজকে চতুর্থ পর্ব শেয়ার করতে যাচ্ছি। যাইহোক আমরা লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে একটু হাঁটাহাঁটি করে সামনের দিকে যেতেই দেখলাম যে রেললাইন। সেখানে দাঁড়িয়ে অনেকেই দেখলাম ফটোগ্রাফি করছে। সেই জায়গাটা বেশ জনপ্রিয় বলা যায়। কারণ সেখানে একটি ইংরেজি মুভির শুটিং করা হয়েছে। রেললাইনের দুপাশে প্রচুর গাছগাছালি রয়েছে। সবমিলিয়ে জায়গাটা আসলেই খুব সুন্দর। আমরা বেশ কিছু ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করে,সামনের দিকে যাওয়া শুরু করলাম।


Notes_250120_111634_2ce.jpg


সামনে গিয়ে দেখলাম যে দুই দিকে রাস্তা রয়েছে। আমরা আসলে তখন খাসিয়া পল্লীর দিকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু দুই পাশে রাস্তা দেখে কনফিউশনে পড়ে গিয়েছিলাম। কারণ ভুল রাস্তায় গেলে, আবার অনেকটা পথ হাঁটাহাঁটি করে সঠিক রাস্তায় আসতে হবে। যদিও লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে প্রবেশ করার টিকেট কেনার সময়, টিকেট কাউন্টার থেকে আমাকে জিজ্ঞেস করেছিল ট্যুর গাইড লাগবে কিনা। আমি তখন বলেছিলাম গাইড লাগবে না। ভিতরে গিয়ে দেখলাম অনেকে গাইড নিয়েছে। যাতে করে ঠিকমতো সব জায়গায় ঘুরতে পারে। আমি বাহিরে থাকা অবস্থায় ভেবেছিলাম ভিতরে প্রবেশ করার পর মোবাইলে নেটওয়ার্ক থাকবে। কিন্তু ভিতরে ঢুকে দেখলাম যে মোবাইল ডাটা আসে না।


Notes_250120_111447_f6f.jpg

Notes_250120_111441_ba2.jpg

Notes_250120_111437_a64.jpg

Notes_250120_111434_3d6.jpg


তাই একটু ঝামেলা হয়ে গেলো আর কি। তো সেখানে থাকা একজন লোককে জিজ্ঞেস করেছিলাম খাসিয়া পল্লী কোনদিকে। কারণ আদিবাসী এবং তাদের বাড়িঘর দেখার ইচ্ছে ছিলো আমার বহুদিনের। তারপর একজন লোক আমাদেরকে খাসিয়া পল্লী যাওয়ার রাস্তা দেখিয়ে দিলো। তারপর আমরা সেই রাস্তা দিয়ে হাঁটতে লাগলাম। হাঁটাহাঁটি করার পাশাপাশি আমি ফাঁকে ফাঁকে কিছু ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করে নিয়েছিলাম। একটু পর দেখলাম যে একজন মহিলা অনেকগুলো পাহাড়ি আনারস বিক্রি করছে। আসলে পাহাড়ি আনারস, কলা এবং পেঁপে খেতে খুব মিষ্টি লাগে। আমি বেশ কয়েকবার খেয়েছিলাম। তো আমরা ৫ জনের জন্য ৫টা আনারস অর্ডার দিলাম। সেই মহিলা আনারস গুলো কেটে আমাদেরকে খেতে দিলেন প্লেটে করে।


Notes_250120_111431_6dd.jpg

Notes_250120_111428_5ee.jpg

Notes_250120_111425_edd.jpg

Notes_250120_111422_047.jpg


তো আমরা আনারস খেতে খেতে মহিলাকে জিজ্ঞেস করলাম আপনি কোথায় থাকেন। সেই মহিলা বললো খাসিয়া পল্লীতে থাকে। তবে রাতের বেলা নাকি তারা খাসিয়া পল্লী থেকে বের হয় না। কারণ রাতের বেলা জঙ্গলের রাস্তায় নাকি বিষাক্ত সাপ সহ অনেক জীবজন্তু বের হয়। কিন্তু দিনের বেলা মানুষের আনাগোনা থাকার কারণে, সেগুলো নাকি রাস্তায় বের হয় না। যাইহোক আমরা সবাই বেশ তৃপ্তি সহকারে আনারস খেয়েছিলাম। তারপর দুটি শসা খেয়ে বিল মিটিয়ে সামনের দিকে যাওয়া শুরু করলাম। কিন্তু হাঁটতে হাঁটতে সবার পা ব্যথা হয়ে গিয়েছিল। খাসিয়া পল্লীর দেখা তবু্ও পাচ্ছিলাম না হা হা হা। যাইহোক এরপর আমরা আর কি কি করলাম, সেটা পরবর্তী পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। (চলবে)


Notes_250120_111419_c2d.jpg

Notes_250120_111416_122.jpg

Notes_250120_111414_633.jpg

Notes_250120_111412_986.jpg



2FFvzA2zeqoVJ2SVhDmmumdPfnVEcahMce9nMwwksSDdRvZA8GzS2DQRCenaYmQc8PKmKoqUpUeK1EYkXvpDQ1G4vq9r2thnL24nVMe9HEoTA18P3XxZmEBqKV5Qa.png

পোস্টের বিবরণ

ক্যাটাগরিভ্রমণ
ফটোগ্রাফার@mohinahmed
ডিভাইসSamsung Galaxy Note 20 Ultra 5g
তারিখ২০.১.২০২৫
লোকেশনw3w

বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।

পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

9vWp6aU4y8kwSZ9Gw15LFL3aMdhmgmBBFMpDJregpdP328CzpX9QvbjSPXbrW8KqUMMwTrRCn3xcSQ6EA6R67TcD5gLnqAWu8W41xe41azymkyM19LEXr548bkstuK4YE8RXJKQJWbxQ1hVAD.gif

আমার পরিচয়

IMG-20240212-WA0036.jpg

🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹

5ZJ4Z52ZRyQfNkCWFfXsATSsPtfkBwT3a5k8RVinr67352Jpu6E5J43D5L7yhn5d5CrcpnTvTLcF5db3ftZK7V9GzsAkLjb3PriF27x53soS8yKq9EnT1Gez2W6L2XUZu7jXnMduxdzGd4QzpYoozSDTPz3jUEkZ8x9rPrFry12vk2pkpsukTxq2kgJhF2zDYwrV.png

cyxkEVqiiLy2ofdgrJNxeZC3WCHPBwR7MjUDzY4kBNr81RRg3nBstm6z4qmufGsvFT24rqXwtpQD564XVCvACqesd3KULjLw7vQPhCNBNpraDPBk9z8jqn3ncuykugzMhQ2.png

6nSeSEzKEwjJN68tMqgZXvpyk1cf2ihqXgmWESDgXSh21PxWHDWW9CETD5B5Jw9Q6ERAnD25KhyHKAX53jBLJKQRtPJf1WFG3aJd6PXbp2rpTXdWPxnRnq65CqtM8PawHiD5knScnfCbWvcVRuFVv1rtwzsXe59AixEGDGYZT2EWzPMzrWjWrbujcJd79Q1Sjs2X.gif

puss_mini_banner2.png

PUSS COIN: BUY/SELL

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

ডেইলি টাস্ক প্রুফ:

GridArt_20250120_090646361.jpg

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

image.png

এই ভ্রমনের মধ্যে দিয়ে আশা করি আপনার আদিবাসীদের ঘরবাড়ি দেখার সুযোগ হয়েছে।তাছাড়া শ্রীমঙ্গল নামটি বেশ সুন্দর, জঙ্গল টাইপের মনে হচ্ছে।এমন জায়গায় ঘুরতে বেশ ভালো লাগে, সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন।ধন্যবাদ ভাইয়া।

হ্যাঁ আপু আরও বেশ কিছুক্ষণ হাঁটার পর আদিবাসীদের ঘরবাড়ি দেখার সুযোগ পেয়েছিলাম। যাইহোক এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

পরিবার নিয়ে শ্রীমঙ্গল ভ্রমণ করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। পরিবার নিয়ে কোথাও ভ্রমন করলে মন মানসিকতা ভালো হয়ে যায়। শ্রীমঙ্গল পাহাড়ী জায়গা, তাই প্রচুর আনারস পাওয়া যায়। আপনি আনারস খেয়ে চমৎকার ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন ভাই। এমন জায়গায় ভ্রমন করলে ভীষণ ভালো লাগে। আপনার ভ্রমণ অনুভূতি পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো, ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।

পাহাড়ি আনারস খাওয়ার মজাই আলাদা ভাই। কখনো পাহাড়ি অঞ্চলে গেলে অবশ্যই আনারস খেয়ে দেখবেন। এভাবে সাপোর্ট করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।

আপনার শ্রীমঙ্গল ভ্রমণের আগের পোস্টগুলো দেখা হয়েছে। আজকে নতুন আরেকটা পর্ব দেখে ভালো লাগলো। এই ধরনের জায়গাগুলোতে গেলে আসলে মোবাইলের নেটওয়ার্ক খুব একটা থাকে না। আপনারা অনেকটা হেঁটেছেন তাহলে। এ ধরনের পথগুলোতে হাঁটা একটু ভয়ঙ্কর। আপনারা আনারস এবং শসা খেয়েছেন। মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

হ্যাঁ আপু অনেক হাঁটাহাঁটি করেছিলাম সেদিন। যাইহোক এতো চমৎকার মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।