প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি ভ্রমণ বিষয়ক পোস্ট শেয়ার করবো। গত সপ্তাহে এই ট্যুরের দ্বিতীয় পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম এবং আজকে তৃতীয় পর্ব শেয়ার করতে যাচ্ছি। যাইহোক গত সপ্তাহে শেয়ার করেছিলাম আমরা সকাল ৬.৩০ টার আগে রাঙ্গামাটির ঝুলন্ত ব্রিজের গেইট এর সামনে পৌঁছে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে দেখলাম যে গেইট এর সামনে অনেক লোকজন ঘুরাঘুরি করছে। তবে টিকিট কাউন্টার তখন বন্ধ ছিলো। কিন্তু গেইট খোলা ছিলো বলে অনেকেই বিনা টিকিটে ভিতরে প্রবেশ করছে। আমরা গেইট দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করার চিন্তা ভাবনা করছিলাম, এমন সময় টিকেট কাউন্টার খুলে ফেললো। তারপর ড্রাইভার সহ ৮ জনের জন্য ১৬০ টাকা দিয়ে প্রবেশ টিকিট কিনলাম এবং ১০০ টাকা দিয়ে গাড়ি পার্কিং এর টিকিট কিনলাম।

এরপর ভিতরে গিয়ে রাঙ্গামাটির ঝুলন্ত ব্রিজের সামনে চলে গেলাম। সেদিন সেখানে মানুষের আনাগোনা ছিলো প্রচুর। তবে কিছু কিছু মানুষ বলাবলি করছিলো,ইউটিউবে নাকি রাঙ্গামাটির ঝুলন্ত ব্রিজ আরও বেশি সুন্দর লেগেছিল দেখতে। বাস্তবে নাকি ততোটা সুন্দর লাগছে না। আবার অনেকে বলাবলি করছে এটা কি অরিজিনাল রাঙ্গামাটির ঝুলন্ত ব্রিজ নাকি ফেইক হা হা হা। তাদের কথা শুনে আমার তো খুবই হাসি পাচ্ছিলো। তবে আমার কাছে রাঙ্গামাটির ঝুলন্ত ব্রিজ খুব সুন্দর লেগেছিল। এর আগে আমি খাগড়াছড়ি তে ঝুলন্ত ব্রিজ দেখেছিলাম,সেটাও খুব সুন্দর লেগেছিল। তবে নাইক্ষ্যংছড়ি উপবন পর্যটন কেন্দ্রের ভিতরে থাকা ঝুলন্ত ব্রিজটা একেবারেই ভালো লাগেনি। যাইহোক আমি ঝুলন্ত ব্রিজ এবং চারপাশের জায়গার বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করলাম। তারপর ভিডিওগ্রাফি ক্যাপচার করলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

এরপর আমরা ঝুলন্ত ব্রিজে বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে আশেপাশের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য উপভোগ করলাম। তারপর ঝুলন্ত ব্রিজের সামনের দিকে হাঁটা শুরু করলাম। হাঁটতে হাঁটতে পাহাড়ের উপর উঠে গেলাম। পাহাড়ের উপর থেকে কাপ্তাই লেক এবং ঝুলন্ত ব্রিজের সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। মনে হচ্ছিলো এতো সুন্দর জায়গায় যদি সবসময় থাকতে পারতাম। তারপর সেখানে দাঁড়িয়ে আরও কিছু ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করলাম। আসলে আমরা সবাই তখন বেশ ভালোই ক্ষুধার্ত ছিলাম। তাই পাহাড়ের উপরে খুঁজাখুঁজি করলাম নাস্তা করার কোনো ব্যবস্থা আছে কিনা। কিন্তু সেখানে নাস্তা করার কোনো ব্যবস্থা ছিলো না। তাই আমরা সেখান থেকে চা বিস্কুট এবং কেক খেয়ে নিলাম। অর্থাৎ হালকা নাস্তা করে নিলাম। তারপর পাহাড়ে আরও কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করতে করতে আমরা ভাবলাম যে একটা বোট ভাড়া করতে হবে।

কারণ বোট না নিলে কাপ্তাই লেকের সৌন্দর্য সেভাবে উপভোগ করতে পারবো না। তাছাড়া আমরা শুভলং ঝর্ণা এবং পলওয়েল পার্ক সহ আরও বেশ কিছু দর্শনীয় স্থান দর্শন করবো। তো পাহাড়ে উঠার সময়ই দেখেছিলাম,ঝুলন্ত ব্রিজের শেষ মাথায় একটা অফিস রুমের মতো রয়েছে। সেখান থেকে বোট ভাড়া করতে হয়। তো আমি এবং আরেক বন্ধু মিলে চলে গেলাম বোট ভাড়া করার ব্যাপারে কথা বলতে। আর বাকি সবাই পাহাড়ে ঘুরাঘুরি করতে লাগলো। ওদেরকে বলে এসেছিলাম বোট ভাড়া করা হয়ে গেলে, ফোন দিলে যাতে চলে আসে। বোট ভাড়া নেওয়ার ব্যাপারে কথা বলতে গিয়ে দেখি যে সেখানে কোনো লোক নেই। যাইহোক এরপর আমরা আর কি কি করলাম, সেটা পরবর্তী পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। (চলবে)