ভিডিওগ্রাফি পোস্ট || সূর্যোদয় এবং সুগন্ধা বীচের মনোমুগ্ধকর দৃশ্যের ভিডিওগ্রাফি

in hive-129948 •  10 months ago 

আসসালামু আলাইকুম,

আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।



প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত নিত্য নতুন পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করতে। সেই প্রেক্ষাপটে আজকে আবারো ভিডিওগ্রাফি পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি। অনেকের ভিডিওগ্রাফি পোস্ট দেখে আমি ভীষণ অনুপ্রাণিত হই প্রতিনিয়ত। আমরা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাই বা কোনো সুন্দর কিছু চোখে পরলে ফটোগ্রাফি করি সচরাচর। তবে অনেক সময় ফটোগ্রাফির মাধ্যমে সবকিছু তুলে ধরা সম্ভব হয় না। তাই মাঝে মধ্যে ভিডিওগ্রাফি করার প্রয়োজন হয়।



20240215_064617.jpg



সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত দেখতে বরাবরই আমার ভীষণ ভালো লাগে। আর সমুদ্রে সৈকতে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত দেখতে যে কি ভালো লাগে, সেটা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। যাইহোক গতকাল রাতে ২ টার দিকে ঘুমিয়েছিলাম এবং ঘুমানোর আগে মোবাইলে এলার্ম সেট করে রেখেছিলাম সকাল ৬ টা বাজে উঠার জন্য। কারণ সূর্যোদয়ের সময় ছিলো ৬.২৩ মিনিটে। যাইহোক ৬ টা বাজে ঘুম থেকে উঠে তাড়াহুড়া করে রেডি হয়ে ৬.১৯ মিনিটে সুগন্ধা বীচে পৌঁছে গিয়েছিলাম সূর্যোদয় দেখতে। আমার ওয়াইফ ঘুম থেকে উঠতেই পারছিল না,তাই আমি একাই চলে গিয়েছিলাম। যাইহোক বীচে পৌঁছে অপেক্ষা করতে লাগলাম সূর্যোদয় দেখার জন্য। কিন্তু সূর্যি মামার কোনো খবর নেই। তারপর দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ দেখছিলাম এবং সমুদ্রের গর্জন শুনছিলাম। এতো সকালবেলা সেই মুহূর্তটা ভীষণ ভালো লেগেছিল। তখনও বীচের মধ্যে প্রচুর মানুষ ছিলো। সুগন্ধা বীচে সবসময়ই মানুষ বেশি থাকে। হঠাৎ করে দেখলাম ৬.৪০ মিনিটে সূর্যি মামা উঁকি দিচ্ছে। সূর্যি মামাকে দেখতে ভীষণ সুন্দর লাগছিল। আমি তখন ভিডিওগ্রাফি করা শুরু করলাম সূর্যি মামা এবং সমুদ্র সৈকতের চমৎকার দৃশ্যের।


20240215_063949.jpg

20240215_064636.jpg


ভিডিওগ্রাফি শেষ করে কিছু ফটোগ্রাফিও করে নিয়েছিলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করতে। কারণ আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পারলে ভালো লাগা দ্বিগুণ হয়ে যায়। ফটোগ্রাফি এবং ভিডিওগ্রাফি করতে আমার সবসময়ই ভীষণ ভালো লাগে। কারণ সুন্দর সুন্দর মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দী করা আমার এক ধরনের শখ বলা যায়। সবমিলিয়ে সেই মুহূর্তের অনুভূতিটা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। আমি চাইলে ব্যাকগ্রাউন্ড সাউন্ড দূর করে কোনো গান অ্যাড করে দিতে পারতাম। তাহলে আপনারা সমুদ্রের গর্জনের সাউন্ড মিস করতেন। সেটা ভেবেই আমি অরিজিনাল সাউন্ড রেখে দিয়েছি। যাইহোক ভিডিওগ্রাফিটা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের কাছে খুব ভালো লাগবে।


20240215_065139.jpg



👇ভিডিওগ্রাফির লিংক👇


ভিডিওগ্রাফিটা ইনশট অ্যাপ দিয়ে এডিট করা হয়েছে


2FFvzA2zeqoVJ2SVhDmmumdPfnVEcahMce9nMwwksSDdRvZA8GzS2DQRCenaYmQc8PKmKoqUpUeK1EYkXvpDQ1G4vq9r2thnL24nVMe9HEoTA18P3XxZmEBqKV5Qa.png

পোস্টের বিবরণ

ক্যাটাগরিভিডিওগ্রাফি
ভিডিওগ্রাফার@mohinahmed
ডিভাইসSamsung Galaxy Note 20 Ultra 5g
তারিখ১৬.২.২০২৪
লোকেশনw3w

বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।

পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

9vWp6aU4y8kwSZ9Gw15LFL3aMdhmgmBBFMpDJregpdP328CzpX9QvbjSPXbrW8KqUMMwTrRCn3xcSQ6EA6R67TcD5gLnqAWu8W41xe41azymkyM19LEXr548bkstuK4YE8RXJKQJWbxQ1hVAD.gif

আমার পরিচয়

IMG_20220605_234413_388.jpg

🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹

5ZJ4Z52ZRyQfNkCWFfXsATSsPtfkBwT3a5k8RVinr67352Jpu6E5J43D5L7yhn5d5CrcpnTvTLcF5db3ftZK7V9GzsAkLjb3PriF27x53soS8yKq9EnT1Gez2W6L2XUZu7jXnMduxdzGd4QzpYoozSDTPz3jUEkZ8x9rPrFry12vk2pkpsukTxq2kgJhF2zDYwrV.png

cyxkEVqiiLy2ofdgrJNxeZC3WCHPBwR7MjUDzY4kBNr81RRg3nBstm6z4qmufGsvFT24rqXwtpQD564XVCvACqesd3KULjLw7vQPhCNBNpraDPBk9z8jqn3ncuykugzMhQ2.png

6nSeSEzKEwjJN68tMqgZXvpyk1cf2ihqXgmWESDgXSh21PxWHDWW9CETD5B5Jw9Q6ERAnD25KhyHKAX53jBLJKQRtPJf1WFG3aJd6PXbp2rpTXdWPxnRnq65CqtM8PawHiD5knScnfCbWvcVRuFVv1rtwzsXe59AixEGDGYZT2EWzPMzrWjWrbujcJd79Q1Sjs2X.gif

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

image.png