আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। এই পোস্টের টপিক হচ্ছে ছোটবেলার ডিসেম্বর মাসের মধুর স্মৃতি। ইতিমধ্যেই ডিসেম্বর মাস চলে এসেছে অর্থাৎ শীত সারাদেশের সব জায়গায় কমবেশি পড়েছে। ছোটবেলা থেকেই শীতকালটা আমার খুব পছন্দ। অর্থাৎ শীতকালে মনের মধ্যে ভিন্ন ধরনের অনুভূতির সৃষ্টি হয়। এককথায় বলতে গেলে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয় চারিদিকে। যদিও ছোটবেলা শীতকালে অনেক বেশি মজা করতাম। এটা অবশ্য শুধুমাত্র আমার ক্ষেত্রে না। বরং প্রায় সবাই ছোটবেলা ডিসেম্বর মাসে অনেক মজা করতো। যদিও একেক জন একেক রকম ভাবে ডিসেম্বর মাসটা কাটাতো। যাইহোক ছোটবেলা সারাবছর অপেক্ষা করে থাকতাম কবে বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হবে। অর্থাৎ ডিসেম্বর মাসের জন্য সারা বছর অপেক্ষা করে থাকতাম।
বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হলেই নিজেকে একেবারে স্বাধীন মনে হতো। ইচ্ছে করতো পাখির মতো ডানা মেলে আকাশে উড়তে। যাইহোক ছোটবেলা থেকেই আমার ক্রিকেট এবং ব্যাডমিন্টন খেলা খুবই পছন্দ। সারাবছর পড়াশোনার ফাঁকে ফাঁকে ক্রিকেট খেলার সুযোগ হলেও, ব্যাডমিন্টন খেলার সুযোগ সেভাবে পেতাম না। কারণ ব্যাডমিন্টন শুধুমাত্র শীতকালে খেলতে ভালো লাগতো। তো ডিসেম্বর মাসে দিনের বেলা ক্রিকেট এবং সন্ধ্যার পর ব্যাডমিন্টন খেলার সুযোগ পেতাম। আমাদের ক্রিকেট এবং ব্যাডমিন্টন খেলার গ্রুপ ছিলো। আমরা সকাল বেলা ৮/৯টার দিকে শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ে অবস্থিত বড় মাঠে চলে যেতাম ক্রিকেট খেলতে। সেখানে অবশ্য ২ টা মাঠ ছিলো। তাই অনেকেই ক্রিকেট খেলতে আসতো সেখানে। তো আমরা দুটি দল ভাগাভাগি করে ক্রিকেট খেলতাম। আমরা তো তখন টেপ টেনিস বল দিয়ে ক্রিকেট খেলতাম।
তো শীতের দিন সকালে ফিল্ডিং করার সময় হাতের অবস্থার বারোটা বেজে যেতো। অর্থাৎ ব্যাটসম্যান সজোরে হিট করলে,বল ধরার সময় হাতের মধ্যে সেই লেভেলের ব্যথা লাগতো। তবুও তখন ক্রিকেট খেলতে অনেক আনন্দ লাগতো। আমরা দুপুর ১টা পর্যন্ত ক্রিকেট খেলে, তারপর বাসায় ফিরে যেতাম। বাসায় ফেরার আগে সবাইকে বলে রাখতাম, দুপুর ২.৩০-৩টার মধ্যে সবাইকে মাঠে উপস্থিত থাকতে। তো মাঝেমধ্যে দুপুরে খাওয়া দাওয়া করে, বাসা থেকে সময়মতো বের হতে পারতাম না আম্মুর জন্য। কারণ আম্মু বলতো দুপুরে একটু ঘুমিয়ে, তারপর বিকেলে মাঠে গিয়ে ক্রিকেট খেলতে। কিন্তু শীতকালে তো দিন ছোট। তাই বিকেলে মাঠে গেলে একটু পরেই সন্ধ্যা হয়ে যেতো। তাই বেশিক্ষণ ক্রিকেট খেলার সুযোগ থাকতো না। তাই আমরা দুপুরে খাওয়া দাওয়া করে, অল্প কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়েই মাঠে চলে যাওয়ার চেষ্টা করতাম।
তো আম্মু যখন ঘুমিয়ে পড়তো, তখন সুযোগ বুঝে মাঠে চলে যেতাম। তারপর সবাই মিলে বেশ মজা করে ক্রিকেট খেলতাম। তবে শীতকালে সকাল বেলার চেয়ে দুপুরের পর ক্রিকেট খেলতে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগতো। তো সন্ধ্যা পর্যন্ত ক্রিকেট খেলে,সন্ধ্যার পর বাসার আশেপাশে ব্যাডমিন্টন খেলতাম। আমরা আগে থেকেই ব্যাডমিন্টন খেলার কোর্ট বানিয়ে রাখতাম এবং নেট ও লাইটিং এর ব্যবস্থা করে রাখতাম। মোটামুটি রাত ১০ টা পর্যন্ত ব্যাডমিন্টন খেলে, তারপর বাজারে গিয়ে আমরা গরম গরম কাবাব খেতাম। সবমিলিয়ে ছোটবেলার শীতকালটা ছিলো বেশ আনন্দময়। সেই দিনগুলো সত্যিই খুব মিস করি। বারবার ইচ্ছে করে ছোটবেলার সেই মধুর দিনগুলোতে ফিরে যেতে। আজকে হঠাৎ করে ছোটবেলার এই স্মৃতি গুলো মনে পড়ে গেলো। তাই ভাবলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করা যাক। আর আপনাদের সাথে ছোটবেলার এই স্মৃতিগুলো শেয়ার করতে পেরে ভীষণ ভালো লাগছে।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy S9 Plus |
তারিখ | ১৪.১২.২০২৪ |
লোকেশন | নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
ডেইলি টাস্ক প্রুফ:
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
X-promotion
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার আম্মুর ভয়ে যখন আপনার আম্মু ঘুমাতো তখন খেলতে যেতেন। ডিসেম্বর মাসটা সবারই সবদিক থেকে ছুটি থাকে সবাই অনেক ঘোরাফেরা করে। আর এই সময় সবাই তার নিজেদের বাড়িতে যাই। তাই সবাই মিলে খেলাধুলা আড্ডা দেওয়া বেশ ভালই হয়। খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া আপনার সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সেই দিনগুলো আসলেই খুব মিস করি। সারাদিন খেলাধুলা নিয়ে ব্যস্ত থাকতাম তখন। যাইহোক পোস্টটি পড়ে এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাই আপনার পোস্ট পড়ে আমার পুরাতন স্মৃতিগুলো আবার নতুন করে ঝালাই হয়ে গেল। হ্যাঁ একটা সময় ছিল যখন বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হলেই নিজেকে যেন স্বাধীন মনে হতো পুরোটা সময় খেলাধুলা আর বন্ধুদের সাথে ঘোরাফেরায় কেটে যেত। আর শীতকালে এই সময়টা আরো ভালোভাবে উপভোগ করা যেত সবার জীবনে এরকম ছোটখাটো কিছু স্মৃতি আছে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ছোটবেলা শীতকালে সত্যিই অনেক মজা করতাম। যাইহোক যথাযথ মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
শীতের দিনে খেলার দারুণ স্মৃতি শেয়ার করলেন ভাই। শীতের দুপুর বাণী এক রাশ আনন্দ এবং অনেক কিছু ছেলেবেলার স্মৃতি। আপনি সেই সময় ক্রিকেট খেলতে যেতেন দেখে খুব ভালো লাগছে। অনেকটা আমার স্মৃতির সঙ্গেও মিলে যাচ্ছে। শীতকাল মানেই মাঠে বিভিন্ন ধরনের খেলা এবং হইচই বেড়ে যেত। আর তখন মা-বাবার বকুনি সত্ত্বেও খেলাটতেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হতো। আপনার স্মৃতি পড়ে ভালো লাগলো। শীতকাল মানেই তাই অনেকগুলো ইচ্ছেকে নিয়ে একসঙ্গে তার উদযাপন করার সময়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমি ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেট খেলতে খুব পছন্দ করি। সত্যি বলতে এখনও করি। যাইহোক এভাবে সাপোর্ট করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit