ক্রিয়েটিভ রাইটিং(গল্প) || বিপদ কখনোই বলে আসে না (শেষ পর্ব)

in hive-129948 •  2 months ago 

আসসালামু আলাইকুম,

আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।


চতুর্থ পর্ব


প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি বাস্তব গল্প শেয়ার করবো। গত সপ্তাহে এই গল্পের চতুর্থ পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম এবং আজকে পঞ্চম ও শেষ পর্ব শেয়ার করতে যাচ্ছি। যাইহোক গত পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম, মোশাররফ ভাইয়ের সাথে হসপিটালে থাকার জন্য আমরা একজন লোক খুঁজছিলাম, যে কিনা মোশাররফ ভাইয়ের একটু দেখাশোনা করতে পারবে। আমরা সবাই তো অফিসে ভীষণ ব্যস্ত ছিলাম। যাইহোক এমন একজন লোক আমরা খুঁজে পেয়েছিলাম। কারণ সেই লোকের তখন চাকরি ছিলো না।


man-1846050_1280.jpg

Source


সেই লোক হসপিটালে যাওয়ার পর আমাদেরকে জানালো, হসপিটাল থেকে বলা হয়েছে দ্রুত মোশাররফ ভাইয়ের হার্টে রিং বসাতে হবে। সবমিলিয়ে হসপিটালে কেমন বিল আসতে পারে সেটা জানতে চাইলে, তারা জানালো বাংলাদেশী টাকার প্রায় ৮/১০ লাখ টাকা বিল আসতে পারে। কারণ মোশাররফ ভাইয়ের তো মেডিকেল কার্ড ছিলো না। এটা শুনে তো আমরা ভাবলাম মোশাররফ ভাইয়ের একাউন্টে তো এতো টাকা নেই। কারণ উনি প্রায় প্রতি মাসেই বেতনের টাকা উনার পরিবারের কাছে পাঠিয়ে দেয়। যাইহোক উনার ভাইদের সাথে যোগাযোগ করলে উনারা জানায় যে, যত দ্রুত সম্ভব উনারা টাকা পাঠিয়ে দিবে এবং তাড়াতাড়ি মোশাররফ ভাইয়ের হার্টে রিং বসাতে বলে।


তবুও আমরা বেশ কয়েক জায়গায় ফোন দিয়ে জানার চেষ্টা করলাম আরও কম খরচে কোথায় হার্টের রিং বসানো যায়। কারণ দক্ষিণ কোরিয়াতে খ্রিস্টানদের বিভিন্ন ধরনের সংস্থা রয়েছে এবং সেসব সংস্থা বিভিন্ন হসপিটালে মোটা অংকের অনুদান প্রায়ই দিয়ে থাকে। আর সেসব হসপিটালে সাধারণত বিদেশীরা যায় চিকিৎসা করাতে। কারণ সেসব হসপিটালে চিকিৎসা করালে চিকিৎসা খরচ খুবই কম আসে এবং এককথায় বলতে গেলে নামেমাত্র খরচ হয়। যাইহোক আমরা অনেক খোঁজাখুঁজি করে শেষ পর্যন্ত এমন একটি হসপিটালের সন্ধান পাই সেদিনই। তারপর যে হসপিটালে মোশাররফ ভাই ভর্তি ছিলেন,সেই হসপিটালের বিল মিটিয়ে সেখান থেকে রিলিজ নিয়ে, নতুন হসপিটালে মোশাররফ ভাইকে নিয়ে যাওয়া হলো।


সেখানে মোশাররফ ভাইয়ের হার্টে রিং বসাতে বাংলাদেশী টাকার ১ লাখ টাকাও খরচ হবে না। তারপর মোশাররফ ভাইয়ের পরিবারকে সেটা ফোন দিয়ে জানানো হলো এবং এতে করে তারা বেশ খুশি হলো। তবে তারা বললো দ্রুত রিং বসাতে। নতুন হসপিটালে শিফট করার পর মোশাররফ ভাইয়ের ট্রিটমেন্ট শুরু করা হলো এবং পরের দিন উনার হার্টে সফলভাবে রিং বসানো হলো। আমরা সবাই উনাকে হসপিটালে দেখতে গেলাম। তারপর উনার পরিবারকে ফোন দিয়ে জানানোর পর খুব খুশি হলেন এবং মোশাররফ ভাইয়ের সাথে কথা বললেন। তার কিছুদিন পরেই মোশাররফ ভাই সাধারণ জীবনযাপন করা শুরু করলেন। তিনি কোম্পানিতে কাজ করা শুরু করলেন এবং বললেন যে কয়েক মাস পর তিনি কোরিয়া থেকে বাংলাদেশে চলে যাবেন।



2FFvzA2zeqoVJ2SVhDmmumdPfnVEcahMce9nMwwksSDdRvZA8GzS2DQRCenaYmQc8PKmKoqUpUeK1EYkXvpDQ1G4vq9r2thnL24nVMe9HEoTA18P3XxZmEBqKV5Qa.png

পোস্টের বিবরণ

ক্যাটাগরিগল্প (ক্রিয়েটিভ রাইটিং)
পোস্ট তৈরি@mohinahmed
ডিভাইসSamsung Galaxy S9 Plus
তারিখ২০.৯.২০২৪
লোকেশননারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ

বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।

পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

9vWp6aU4y8kwSZ9Gw15LFL3aMdhmgmBBFMpDJregpdP328CzpX9QvbjSPXbrW8KqUMMwTrRCn3xcSQ6EA6R67TcD5gLnqAWu8W41xe41azymkyM19LEXr548bkstuK4YE8RXJKQJWbxQ1hVAD.gif

আমার পরিচয়

IMG-20240212-WA0036.jpg

🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹

5ZJ4Z52ZRyQfNkCWFfXsATSsPtfkBwT3a5k8RVinr67352Jpu6E5J43D5L7yhn5d5CrcpnTvTLcF5db3ftZK7V9GzsAkLjb3PriF27x53soS8yKq9EnT1Gez2W6L2XUZu7jXnMduxdzGd4QzpYoozSDTPz3jUEkZ8x9rPrFry12vk2pkpsukTxq2kgJhF2zDYwrV.png

cyxkEVqiiLy2ofdgrJNxeZC3WCHPBwR7MjUDzY4kBNr81RRg3nBstm6z4qmufGsvFT24rqXwtpQD564XVCvACqesd3KULjLw7vQPhCNBNpraDPBk9z8jqn3ncuykugzMhQ2.png

6nSeSEzKEwjJN68tMqgZXvpyk1cf2ihqXgmWESDgXSh21PxWHDWW9CETD5B5Jw9Q6ERAnD25KhyHKAX53jBLJKQRtPJf1WFG3aJd6PXbp2rpTXdWPxnRnq65CqtM8PawHiD5knScnfCbWvcVRuFVv1rtwzsXe59AixEGDGYZT2EWzPMzrWjWrbujcJd79Q1Sjs2X.gif

puss_mini_banner2.png

PUSS COIN: BUY/SELL

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আপনি ঠিক বলেছেন ভাইয়া বিপদ কখনো বলে কয়ে আসে না। আসলে ভাইয়া বিপদের সময় আপনজন পাশে থাকলে সত্যি অনেক ভালো লাগে। আপনারা মোশাররফ ভাইয়ের অনেক বড় উপকার করেছেন। মোশাররফ ভাই ভালো হয়েছে জেনে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

চেষ্টা করেছি মোশাররফ ভাইকে যতটা সম্ভব সহযোগিতা করা। যাইহোক পোস্টটি পড়ে যথাযথ মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

ভাইয়া আপনি আজকে আমাদের মাঝে খুবই সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। আসলে ভাইয়া আপনি ঠিকই বলেছেন বিপদ কখনো বলে কয়ে আসেনা। তবে বিপদের সময় আমাদের সাহসিকতার সাথে সেই বিপদকে রক্ষা করতে। এমনকি বিপদকে পাশ কাটিয়ে যেতে পারলেই তবে সফলতার পথ পাওয়া যায়। পোস্টটি দারুণ ছিল ধন্যবাদ শেষ পর্বটি শেয়ার করার জন্য।

যেকোনো বিপদ থেকে উদ্ধার পেতে চাইলে ভালোভাবে মোকাবেলা করতে হয়। মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ।

বিপদ আমাদের জীবনে হঠাৎ করেই চলে আসে। কখন কার জীবনে বিপদ ঘনিয়ে আসে কেউ তা জানে না। মোশারফ ভাইয়ের জীবনেও তেমন ঘটনা ঘটেছে।তার হার্টে রিং বসাতে হবে। কিন্তু তার কাছে সে পরিমাণ অর্থ ছিল না। তবুও তার পরিবার বলেছে চিকিৎসা চালিয়ে যেতে।আপনার অন্য জায়গায় অল্প টাকায় চিকিৎসার ব্যবস্থা করে খুবই উপকার করেছেন ভাইয়া।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

অল্প টাকায় হার্টের রিং বসাতে পেরে, মোশাররফ ভাইয়ের বেশ কয়েক লাখ টাকা বেঁচে গিয়েছিল। যাইহোক পোস্টটি পড়ে এতো চমৎকার মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।