আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি ভ্রমণ বিষয়ক পোস্ট শেয়ার করবো। এর আগে আমি আপনাদের সাথে কক্সবাজার ভ্রমণের দশম পর্ব শেয়ার করেছিলাম এবং আজকে একাদশ পর্ব শেয়ার করতে যাচ্ছি। যাইহোক গত পর্বে শেয়ার করেছিলাম আমরা রাতের বেলা সুগন্ধা পয়েন্টে সামুদ্রিক মাছের ফ্রাই খেয়ে হোটেলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। মাছের ফ্রাই খেয়ে পেট মোটামুটি ভরা ছিলো, তাই তখন ডিনার করতে ইচ্ছে করছিলো না। সেজন্য একটি খাবার হোটেলে ঢুকে রাতের জন্য ডিনার পার্সেল করে নিয়েছিলাম। কারণ পরবর্তীতে হোটেল থেকে বের হতে ইচ্ছে করবে না।
যাইহোক যেহেতু পরের দিন অর্থাৎ ১৪ ই ফেব্রুয়ারিতে আমাদের প্ল্যান ছিলো, রামুতে অবস্থিত ১০০ ফিট গৌতম বুদ্ধের মূর্তি দেখে, বান্দরবান নাইক্ষ্যংছড়ি উপবন পর্যটন কেন্দ্রে ঘুরতে যাবো,তাই সেদিন রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমানোর। কারণ সকালে তাড়াতাড়ি উঠতে পারলে হাতে পর্যাপ্ত সময় থাকবে ঘুরাঘুরি করার। তবে সেদিন রাতে কমিউনিটির কাজ শেষ করতে করতে রাত প্রায় ৩ টা বেজে যায়। যদিও আমরা রাত ১ টার দিকে ডিনার করে নিয়েছিলাম। যাইহোক সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি ১০.৩০ টা বেজে গিয়েছে। তারপর আমরা গোসল করে রেডি হয়ে হোটেল থেকে বের হয়ে গেলাম বেলা ১১ টার পর। যেহেতু অনেক বেলা হয়ে গিয়েছিলো,তাই আমরা একটি খাবার হোটেলে ঢুকে জিজ্ঞেস করলাম লাঞ্চ করা যাবে কিনা। তারা জানালো বেশ কয়েকটি লাঞ্চ আইটেম রেডি করা হয়ে গিয়েছে।
তারপর আমরা টুনা মাছ ও সুরমা মাছের কারি নিলাম এবং সাথে নিলাম ২/৩ ধরনের ভর্তা, ভাজি ও ডাল। কক্সবাজারে গিয়ে প্রতি বেলায় বিভিন্ন ধরনের সামুদ্রিক মাছ খাওয়ার চেষ্টা করেছি। কারণ সেখানে সামুদ্রিক তাজা মাছ পাওয়া যায়। সাধারণত মাংস তো যেকোনো জায়গায় খাওয়া যায়, কিন্তু সামুদ্রিক তাজা মাছ সব জায়গায় পাওয়া যায় না। যাইহোক খাবারের মান মোটামুটি ভালোই ছিলো। খাওয়া দাওয়া শেষ করে প্রথমে গেলাম স্লিপার কোচের টিকেট কিনতে। কারণ পরের দিন অর্থাৎ ১৫ ই ফেব্রুয়ারি সকালে আমরা কক্সবাজার ত্যাগ করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিবো। যাইহোক স্লিপার কোচের দুটি টিকেট কিনলাম ২৮০০ টাকা দিয়ে। বাস ছাড়বে বেলা ১১.৩০ টার দিকে। আসলে আগের দিন বাসের টিকেট না কিনলে, মনমতো সিট পাওয়া যায় না। তাছাড়া স্লিপার কোচের লোয়ার ডেক এর সিটগুলো আমার খুব ভালো লাগে।
কারণ আপার ডেক এর সিট নিলে উঠানামা করতে বেশ ঝামেলা লাগে। সেটা ভেবেই আগের দিন বাসের টিকেট কনফার্ম করা। মানে পরের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে নাস্তা করে, হোটেল থেকে চেক আউট করেই বাসে উঠে যাবো এবং সেই প্ল্যান মোতাবেক সবকিছু করলাম। যাইহোক তারপর আমরা সিএনজি ঠিক করলাম ৯০০ টাকা দিয়ে, বেলা ১২ টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘুরাঘুরি করার জন্য। প্রথমে রামুতে অবস্থিত ১০০ ফিট গৌতম বুদ্ধের মূর্তি দেখবো, তারপর বান্দরবান নাইক্ষ্যংছড়ি উপবন পর্যটন কেন্দ্রে ঘুরতে যাবো। যাইহোক আমরা ৩৫/৪০ মিনিটের মধ্যেই ১০০ ফিট গৌতম বুদ্ধ মূর্তির গেইটের সামনে পৌঁছে গিয়েছিলাম। তারপর এন্ট্রি টিকেট কিনে, বেশ কয়েকটি ফটোগ্রাফি করে নিয়েছিলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করতে। যাইহোক এরপর আমরা সেখানে আর কি কি করলাম, সেটা পরবর্তী পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। (চলবে)
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | ভ্রমণ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ২১.৬.২০২৪ |
লোকেশন | কক্সবাজার,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
X-promotion
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
কক্সবাজার ভ্রমণের অন্য আরেকটি পর্ব শেয়ার করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। স্লিপার কোচের সিট গুলো আমার নিজের কাছেও খুব ভালো লাগে। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুব ভালো লাগলো। খুব সুন্দর কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন আপনি। ধন্যবাদ মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
স্লিপার কোচে শুয়ে শুয়ে জার্নি করতে আসলেই খুব ভালো লাগে। যাইহোক পোস্টটি পড়ে এতো চমৎকার মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
কক্সবাজার ভ্রমণের বেশ কিছু পর্ব আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ইতোমধ্যে। আজকেউ একটি পর্ব দেখতে পারলাম। অনেক অনেক ভালো লেগেছে আপনার আজকের এই পর্ব দেখতে পেরে। খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন সুন্দর একটি স্থান এবং সেই জায়গার বিস্তারিত বিষয়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
চেষ্টা করছি কক্সবাজার ভ্রমণের সবকিছু এই ব্লগের মাধ্যমে তুলে ধরতে। যাইহোক পোস্টটি পড়ে এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অনেক অনেক ভালো লাগলো আপনার আজকের এই সুন্দর পোস্ট দেখে। ইতোমধ্যে আমাদের মাঝে অনেকগুলো পোস্ট আপনি শেয়ার করেছেন পরিবারকে সাথে নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার বিষয়ে। আজকে আবারো অসাধারণ একটি পোস্ট নিয়ে উপস্থিত হয়েছেন। তবে বিস্তারিত বিষয় এখনো দেখার রয়েছে আশা করি পরবর্তীতে শেয়ার করবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
পরবর্তী পর্বে কক্সবাজার ভ্রমণের আরও অনেক কিছু শেয়ার করার চেষ্টা করবো। যাইহোক পোস্টটি পড়ে এভাবে সাপোর্ট করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit