প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি রেসিপি পোস্ট শেয়ার করবো। আপনারা অনেকেই জানেন যে, আমি মাঝেমধ্যে বাসায় বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে থাকি। যাইহোক আজকে আমি আপনাদের সাথে হাঁসের মাংসের মজাদার ভুনা রেসিপি শেয়ার করবো। সত্যি বলতে হাঁসের মাংস আমার ভীষণ পছন্দ। যদিও শীতকালে হাঁসের মাংস বেশি খাওয়া হয়ে থাকে। তবে বেশ কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টি হচ্ছে বলে আবহাওয়া একেবারে শীতল। তাই ভাবলাম এমন ঠান্ডা ওয়েদারে হাঁসের মাংস খেতে দারুণ লাগবে। তাছাড়া এই হাঁস বাজার থেকে কেনা নয়। আমার নানী শ্বাশুড়ি বেশ কিছু হাঁস পালন করে থাকে উনাদের বাসায়। তো আমার জন্য এই হাঁস উনি আমাদের বাসায় পাঠিয়েছেন। আসলে বাসায় পালন করা হাঁস কিংবা মুরগির মাংস খাওয়ার মজাই আলাদা। রেসিপিটা একটু ঝাল ঝাল করে তৈরি করেছিলাম বলে খেতে সত্যিই দারুণ লেগেছিল। যাইহোক আপনারা চাইলে এই রেসিপিটা বাসায় তৈরি করে খেতে পারেন। রেসিপিটা আমি ধাপে ধাপে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের কাছে খুব ভালো লাগবে।

প্রথমে হাঁসের মাংস গুলোর মধ্যে পরিমাণ মতো হলুদ মরিচের গুঁড়া,লবণ,রাধুনি মাংসের মসলা,দুই কোয়া রসুন, দুটি শুকনা মরিচ দিয়ে ভালোভাবে মেখে মেরিনেট করে ১ ঘন্টার মতো রেখে দিলাম। তারপর পরিমাণ মতো সয়াবিন তেল ঢেলে,কিছু গরম মসলা এবং দুটি তেজপাতা দিয়ে দিলাম। এরপর একটু নেড়ে নিলাম।

🍲দ্বিতীয় ধাপ🍲

এরপর কেটে রাখা পেঁয়াজ কুঁচি দিয়ে দিলাম।

🍲তৃতীয় ধাপ🍲

তারপর পরিমাণ মতো আদা রসুন বাটা, লবণ এবং সয়া সস দিয়ে দিলাম। এরপর একটু কষিয়ে নিবো।

🍲চতুর্থ ধাপ🍲

কিছুক্ষণ কষানোর পর মেরিনেট করে রাখা হাঁসের মাংস এবং আস্ত রসুন গুলো দিয়ে দিলাম। এরপর কিছুক্ষণ ভালোভাবে কষিয়ে নিবো।

🍲পঞ্চম ধাপ🍲

কষানোর পর পরিমাণ মতো পানি দিয়ে দিলাম এবং ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিবো ৭/৮ মিনিটের জন্য।

🍲সর্বশেষ ধাপ🍲

৭/৮ মিনিট পর ঢাকনা খুলে দেখলাম ঝোল অনেকটা শুঁকিয়ে গিয়েছে। এরপর চুলা বন্ধ করে দিলাম। ব্যাস এভাবেই রেসিপিটা তৈরি করে ফেললাম।

🍲পরিবেশন🍲

তারপর একটি প্লেটে ঢেলে পরিবেশন করলাম। রেসিপিটা খেতে সত্যিই দারুণ লেগেছিল।