আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে জাতীয় জাদুঘরে থাকা বিভিন্ন ধরনের প্রদর্শনীর ফটোগ্রাফি (দ্বিতীয় পর্ব) শেয়ার করবো। এই পর্বে আমি গ্রাম বাংলার পুরনো ঐতিহ্য এবং তাদের জীবনপ্রণালীর কয়েকটি ফটোগ্রাফি শেয়ার করার চেষ্টা করবো। আসলে পুরনো দিনে গ্রামের মানুষজন অতি সাধারণ জীবনযাপন করতেন। তারা ফসল চাষ করে, মাছ ধরে, তাছাড়া আরো নানানভাবে তাদের জীবিকা নির্বাহ করতো। গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য এবং অপরুপ সৌন্দর্য বরাবরই আমাকে মুগ্ধ করে। সবুজ গাছগাছালি, ধানক্ষেত এবং পুরনো ঐতিহ্য দেখতে কার না ভালো লাগে। জাতীয় জাদুঘরে এইসব কিছুর প্রদর্শনী দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। আমাদের দেশের গুণী শিল্পীদের এতো সুন্দর সুন্দর কাজ যে কাউকে মুগ্ধ করবে বলে আমার বিশ্বাস। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের কাছে খুব ভালো লাগবে।
📸১নং ফটোগ্রাফি📸
What 3 Words Location
Device Name- Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g
এই ফটোগ্রাফিতে আপনার দেখতে পাচ্ছেন দুইজন কামার লোহার বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি তৈরি করছে। কৃষি যন্ত্রপাতি এবং ঘর বাড়ি তৈরীর বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি আগের দিনে কামারেরা তৈরি করে থাকতো। এটা খুব পুরনো একটি পেশা।
খুব নিখুঁতভাবে আর্ট এবং পেইন্টিং করা হয়েছে। দেখে সত্যিই মুগ্ধ হয়ে গিয়েছি।
📸২নং ফটোগ্রাফি📸
What 3 Words Location
Device Name- Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g
এই ফটোগ্রাফিতে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন একজন জেলে জাল দিয়ে মাছ ধরছে। অন্য দিকে মাছ শুকানোর জন্য পাটিতে বিছিয়ে রাখা হয়েছে এবং দুইজন মাছ আলাদা করছে পাতি থেকে। দেখে বুঝা যাচ্ছে এই মানুষগুলো মাছ বিক্রি করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করতো।
📸৩নং ফটোগ্রাফি📸
What 3 Words Location
Device Name- Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g
এটা হচ্ছে গ্রামের হাট বাজারের ফটোগ্রাফি। সবজি ব্যবসায়ী খরিদ্দারের কাছে সবজি বিক্রি করছে। আলু মেপে খরিদ্দারের কাছে বিক্রি করার মুহূর্তটি চমৎকার ভাবে আর্ট করে পেইন্টিং করা হয়েছে। ফটোগ্রাফিটি হঠাৎ করে দেখে মনে হয় একেবারে বাস্তব।
📸৪নং ফটোগ্রাফি📸
What 3 Words Location
Device Name- Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g
এই ফটোগ্রাফিতে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন একজন বয়স্ক লোক ঘরের সামনে বসে বসে হুক্কা টানছে। শুনেছি আগের দিনের মানুষেরা হুক্কা টানতে খুব পছন্দ করতো। অপরদিকে দেখা যাচ্ছে দুইজন মানুষ বসে খাবার খাচ্ছে এবং বাড়ির উঠোনের মধ্যে মুরগি খাবার খাচ্ছে। সবমিলিয়ে ফটোগ্রাফিটা এককথায় চমৎকার লেগেছে আমার কাছে।
📸৫নং ফটোগ্রাফি📸
What 3 Words Location
Device Name- Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g
এই ফটোগ্রাফিতে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন দুইজনই মহিলা চাল গুঁড়ো করছে। চাল গুঁড়ো করে হয়তো পিঠা বানানোর জন্য। আগের দিনে তো আর ব্লেন্ডার মেশিন বা অত্যাধুনিক কোন যন্ত্রপাতি ছিলো না চাল গুঁড়ো করার জন্য। তাই এই পদ্ধতি অথবা ঢেকি দিয়ে চাল গুঁড়ো করতো তখন।
📸৬নং ফটোগ্রাফি📸
What 3 Words Location
Device Name- Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g
এই ফটোগ্রাফিতে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন একজন মহিলা মাছ ধরার জাল বানাচ্ছে। মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করা ছিলো তখনকার দিনের অন্যতম একটি মাধ্যম। তবে আগের দিনের মানুষজন খুব পরিশ্রমী ছিলেন। তারা নির্ভেজাল খাবার খেতে পারতো, সেজন্য শরীরে শক্তি ছিলো প্রচুর।
📸৭নং ফটোগ্রাফি📸
What 3 Words Location
Device Name- Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g
এই ফটোগ্রাফিতে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন একজন মহিলা বসে বসে শাড়ি কাপড় বানাচ্ছে। হাতে বানানো শাড়ি দেখতে দারুণ লাগে। তবে এই ধরনের শাড়ি বানাতে প্রচুর পরিশ্রম করতে হয় এবং প্রচুর পরিমাণে সময় ব্যয় করতে হয়। হাতে বানানো শাড়ি এখনো আমাদের নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন জায়গায় তৈরি করা হয়ে থাকে।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | ফটোগ্রাফি |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ১০.৫.২০২৩ |
লোকেশন | ঢাকা,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাল্লাহ দেখা হবে অন্য কোন পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
Twitter Link
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
This is a manual curation from the @tipU Curation Project. Your post was promoted on Twitter by the account josluds
@tipu curate
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Upvoted 👌 (Mana: 5/7) Get profit votes with @tipU :)
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাইয়া আপনি খুব সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। জাতীয় জাদুঘরের ভিতরের গ্রাম বাংলার পুরনো ঐতিহ্যের খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার প্রতিটা ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর হয়েছে। গ্রামীন এই দৃশ্য গুলো এখন যেন হারিয়ে যাচ্ছে। ধন্যবাদ এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঠিক বলেছেন আপু, গ্রাম বাংলার এমন দৃশ্য গুলো দিনদিন হারিয়ে যাচ্ছে। সুন্দর ও সাবলীল ভাষায় মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আসলে মনেই হচ্ছে না যেগুলো ফটোগ্রাফি। মনে হচ্ছে যে কিছু একটা দিয়ে ডেমো তৈরি করে রেখেছে। আমি যখন কলকাতা মিউজিয়ামে গেছিলাম ঠিক এরকম টাইপের একটা পোস্ট শেয়ার করেছিলাম। এখানে সেটা অনেকটা এরকম দেখতে ছিল। তবে সেগুলো ছিল লাইভ ডেমো, ফটোগ্রাফি না।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এতো সুন্দর মন্তব্য পেয়ে ভীষণ ভালো লাগলো ভাইয়া। আসলে এমন মন্তব্য পেলে কাজের গতি অনেকটা বেড়ে যায়। এমন প্রশংসনীয় মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জাতীয় জাদুঘরে থাক বিভিন্ন ধরনের প্রদর্শনির খুব সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন এগুলো দেখতে খুবই ভালো লাগছে।এগুলো সামনে থেকে দেখতে আরো বেশি ভালো লাগে।তবে ফটোগ্রাফি তেও কিছু কম লাগছে না।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঠিক বলেছেন আপু সামনাসামনি দেখে তো মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। আমাদের দেশের গুণী শিল্পীদের এমন নিখুঁত কাজ যে কাউকে মুগ্ধ করবে বলে আমি মনে করি। এমন অনুপ্রেরণা মূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit