আজকে আমি আপনাদের সামনে একটি নাটকের রিভিউ নিয়ে হাজির হয়েছি। নাটকের নাম হচ্ছে প্রেমিক। এই নাটকটি ৪/৫ দিন আগে রিলিজ হয়েছে। এই নাটকটি অল্প কয়েকদিনে বেশ ভালোই জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। যাইহোক এই নাটকের প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছে খায়রুল বাশার এবং তানজিন তিশা। এই নাটকটি মূলত একটি রোমান্টিক নাটক,তাই দেখতে খুব ভালো লেগেছে আমার কাছে। মাঝে মধ্যে সময় পেলে আমি বাংলা নাটক দেখি। একসময় হিন্দি মুভি অনেক দেখা হতো, তবে এখন এতোটা সময় নিয়ে মুভি দেখার সময় হয়ে উঠে না। তাই বিনোদনের জন্য অল্প সময়ে বাংলা নাটক দেখা হয়। যাইহোক আপনাদের সাথে এই নাটকের রিভিউ শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের কাছে খুব ভালো লাগবে।

নাটকের শুরুতে দেখা যায়, নাটকের নায়িকা তানজিন তিশার বড় ভাই, এলাকার এক ছেলেকে তার লোকের মাধ্যমে ধরিয়ে নিয়ে গিয়ে ইচ্ছেমতো মারধর করতে থাকে। কারণ সেই ছেলেটার দোষ হচ্ছে,সে তানজিন তিশার দিকে তাকিয়েছে। অর্থাৎ যে ছেলে তানজিন তিশার দিকে তাকায়,তাকে ধরে নিয়ে এমন মারধর করে। তো নাটকের নায়ক খায়রুল বাশার পুরো এলাকার মধ্যে পোস্টার লাগিয়ে দেয়। সেই পোস্টার গুলোতে তানজিন তিশার ছবি আছে এবং লেখা আছে "আমি তোমাকে আর দেখবো না"। তো পোস্টারের কথা যখন তিশা এবং তার ভাই জানতে পারে,তখন তো তাদের মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। তারপর তিশার ভাই লোক লাগিয়ে দেয় কে এই কাজটা করেছে, সেটা খুঁজে বের করার জন্য। তো তাদের লোক খুঁজে বের করে, সেই লোকের নাম হচ্ছে অপু। তো তিশা কয়েকজন লোক নিয়ে বের হয় অপুকে খুঁজে বের করার জন্য।

ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে

একটি চায়ের দোকানে অপু অর্থাৎ বাশার বসে আড্ডা দিচ্ছিলো তার বন্ধুর সাথে। এমন সময় তিশা জিজ্ঞেস করে অপুকে চিনে নাকি। তারপর অপু অর্থাৎ খায়রুল বাশার নিজে নিজেই গাড়িতে উঠে বসে এবং বলে যে আমিই অপু। তো এতে করে তিশা বেশ অবাক হয়। তারপর তিশা এবং তার লোকজন বাশারকে নিয়ে যায় তাদের বাড়িতে। তারপর তিশা গুলি করে মেরে ফেলতে চায় বাশারকে। কিন্তু সেই মুহূর্তে তিশার ভাই সেখানে উপস্থিত হয়ে যায় এবং তিশাকে বলে যে বাশারের সাথে একা কথা বলবে। তখন বাশার তিশার ভাইকে বলে যে, আপনি যদি এলাকার যুবকদের এভাবে মারেন,তাহলে তো আপনি ভোট পাবেন না। তিশার ভাই হচ্ছে এলাকার চেয়ারম্যান। তখন তিশার ভাই ব্যাপারটা পজিটিভলি নিলো। এরপর কথায় কথায় জানতে পারে,তিশার বাবা এবং বাশারের বাবা বন্ধু ছিলো। কিন্তু তিশার বাবা মারা গিয়েছে এবং বাশারের বাবা বেঁচে আছে।

ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে

যাইহোক তারপর তিশার ভাই বাশারকে ছেড়ে দেয় এবং বাশার বাসায় আসার সময় তিশাকে বলে,আপনার দিকে ছেলেরা কেনো যে তাকায় বুঝি না। কারণ আপনি দেখতে একেবারেই সুন্দর না হা হা হা। এটা শুনে তিশার মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। আসলে বাশার তিশাকে অনেক আগে থেকেই ভালোবাসে। কিন্তু তিশাকে এটা বলে না। মূলত সে তিশাকে ইমপ্রেস করার জন্য উল্টো পথে হাঁটে। যাতে করে তিশা তার প্রতি দুর্বল হয়ে যায়। তাছাড়া তিশা তো বাশারের সাহস দেখে এমনিতেই অনেকটা দুর্বল হয়ে যায়। একসময় তিশা ভালোবেসে ফেলে বাশারকে। তারপর বাশার এবং তিশা চুটিয়ে প্রেম করতে থাকে। বাশার এবং তিশা যে প্রেম করে,সেটা তিশার ভাইকে জানায় তার ভাইয়ের এক লোক। তারপর তিশার ভাই বাশারকে লোকের মাধ্যমে ধরিয়ে নিয়ে গিয়ে ইচ্ছেমতো মারধর করে। মার খাওয়ার পরেও বাশার বলতে থাকে সে তিশাকে ভালোবাসে। যাইহোক এরপর কি হলো সেটা জানতে হলে আপনাদেরকে অবশ্যই নাটকটি দেখতে হবে।

ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে

আসলে কাউকে মন থেকে ভালোবাসলে এমনিতেই সাহস বেড়ে যায়। এটা আমি বাস্তবেও অনেক দেখেছি। কারণ যারা মন থেকে ভালোবাসে,তারা কিন্তু যেকোনো মূল্যে ভালোবাসার মানুষকে নিজের করে পেতে চায়। তাই যেকোনো ধরনের রিস্ক নিতেও তারা পিছপা হয় না। আর এটা হচ্ছে ভালোবাসার শক্তি। এই নাটকেও এমনটা দেখা যায়। বাশার জানতো যে তিশাকে নিজের করে পেতে হলে জীবনের ঝুঁকি রয়েছে। তবুও সে পিছপা হয়নি। আর সে শেষ পর্যন্ত সফল হয়েছে। অর্থাৎ তিশা তাকে পরবর্তীতে ভালোবেসে ফেলে। আসলে মেয়েরা কিন্তু সাহসী ছেলেদের খুব পছন্দ করে। যাইহোক সত্যি বলতে খায়রুল বাশারের অভিনয় আমার বরাবরই খুব পছন্দ। কারণ তার অভিনয় একেবারে নিখুঁত হয়। মনে হয় যে অভিনয় করছে না,অর্থাৎ তার অভিনয় দেখলে একেবারে বাস্তব চিত্র মনে হয়। তাছাড়া তিশাও বেশ ভালো অভিনয় করে থাকে। সবমিলিয়ে নাটকটি আমার কাছে দারুণ লেগেছিল।

আমার রেটিং